৫-৭, ৬-৪, ৬-২, ৬-৭ (৫/৭), ৭-৫-শেষ পর্যন্ত জোকোভিচ
কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না নোভাক জোকোভিচ। প্রথমে শুয়ে পড়লেন কোর্টে। এরপর উঠেই চেষ্টা করলেন পরনের টি-শার্ট খুলে ফেলতে। খুলতে পারলেন, তবে তাড়াহুড়োতে ছিঁড়েই গেল সেটা! এরপর আদুল গায়েই দৌড়ে গেলেন গ্যালারিতে নিজের বক্সের দিকে। চিৎকার করে, গ্যালারির দেয়ালে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ভাগাভাগি করে নিলেন জয়ের আনন্দ।
এর আগেও চারটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন। তার পরও এমন বাঁধনহারা উল্লাস কেন? মহাকাব্যিক ফাইনালটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছে মোটেই বিস্ময় হয়ে আসেনি তা। শিরোপাটা যে এসেছে নাদালের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া এক ফাইনাল জিতে। ৫ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট স্থায়ী ইতিহাসের দীর্ঘতম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালটিতে ৫-৭, ৬-৪, ৬-২, ৬-৭ (৫/৭), ৭-৫ গেমে জিতে জোকোভিচ ধরে রাখলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেরও দীর্ঘতম ম্যাচটি যখন শেষ হলো, তখন মেলবোর্নের ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছে রাত ১টা ৩৭ মিনিট। এত দেরিতে এর আগে শেষ হয়নি কোনো টেনিস ম্যাচ। আর এই রাত গভীরেই টানা তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন ২৪ বছরের জোকোভিচ। টেনিসে উন্মুক্ত যুগে টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম-জয়ী মাত্র পঞ্চম খেলোয়াড় এখন নাদালকে টানা সাতটি ফাইনালে হারানো জোকোভিচ। আর নাদালের অনেক গৌরবের রেকর্ডের সঙ্গে যোগ হয়ে গেল একটি অগৌরবের রেকর্ডও। উন্মুক্ত যুগে তিনিই প্রথম হারলেন টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল।
প্রায় ছয় ঘণ্টা অবিশ্বাস্য টেনিসের অসাধারণ এক প্রদর্শনীতে গ্যালারি ও সারা বিশ্বের টেলিভিশন দর্শকদের বুঁদ করে রেখেছিলেন এঁরা দুজন। শক্তির শেষ বিন্দুটিও হয়তো ঢেলে দিয়েছিলেন, যার প্রমাণ মিলল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। নাদাল নেটে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জোকোভিচ বসে ছিলেন কোর্টে। তাঁদের অবস্থা দেখে দুটি চেয়ার আর দুই বোতল পানি দেওয়া হলো দুজনকে।
উত্থান-পতনে ভরা এই ম্যাচে জিততে পারতেন যে কেউই। পুরস্কার নিতে গিয়ে যেটা বলেছেন জোকোভিচও, ‘আমরা আজ ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো, দুজন তো আর জয়ী হয় না।’
২০০৯ সালে পাঁচ সেটের এক ফাইনালে রজার ফেদেরারকে কাঁদিয়েছিলেন নাদাল। কাল মহাকাব্যিক ম্যাচে হেরে নাদাল অবশ্য আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাননি। এমনকি মজাও করেছেন। বক্তৃতা শুরু করেছিলেন ‘সুপ্রভাত’ বলে। এরপর জোকোভিচকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ‘অসাধারণ কিছু’ করার জন্য।
চতুর্থ সেটে ৪-৫ গেমে পিছিয়ে ছিলেন নাদাল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ওই সেটটা টাইব্রেকে জিতে নেন এই স্প্যানিয়ার্ড। কিন্তু সেমিফাইনালে অ্যান্ডি মারেকে পাঁচ সেটের ম্যাচে হারিয়ে আসা বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় পরের সেটেই এর জবাব দেন। ৪-৫-এ পিছিয়ে পড়েও জিতে যান ৭-৫ গেমে। ওয়েবসাইট।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেরও দীর্ঘতম ম্যাচটি যখন শেষ হলো, তখন মেলবোর্নের ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছে রাত ১টা ৩৭ মিনিট। এত দেরিতে এর আগে শেষ হয়নি কোনো টেনিস ম্যাচ। আর এই রাত গভীরেই টানা তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন ২৪ বছরের জোকোভিচ। টেনিসে উন্মুক্ত যুগে টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম-জয়ী মাত্র পঞ্চম খেলোয়াড় এখন নাদালকে টানা সাতটি ফাইনালে হারানো জোকোভিচ। আর নাদালের অনেক গৌরবের রেকর্ডের সঙ্গে যোগ হয়ে গেল একটি অগৌরবের রেকর্ডও। উন্মুক্ত যুগে তিনিই প্রথম হারলেন টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল।
প্রায় ছয় ঘণ্টা অবিশ্বাস্য টেনিসের অসাধারণ এক প্রদর্শনীতে গ্যালারি ও সারা বিশ্বের টেলিভিশন দর্শকদের বুঁদ করে রেখেছিলেন এঁরা দুজন। শক্তির শেষ বিন্দুটিও হয়তো ঢেলে দিয়েছিলেন, যার প্রমাণ মিলল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। নাদাল নেটে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জোকোভিচ বসে ছিলেন কোর্টে। তাঁদের অবস্থা দেখে দুটি চেয়ার আর দুই বোতল পানি দেওয়া হলো দুজনকে।
উত্থান-পতনে ভরা এই ম্যাচে জিততে পারতেন যে কেউই। পুরস্কার নিতে গিয়ে যেটা বলেছেন জোকোভিচও, ‘আমরা আজ ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো, দুজন তো আর জয়ী হয় না।’
২০০৯ সালে পাঁচ সেটের এক ফাইনালে রজার ফেদেরারকে কাঁদিয়েছিলেন নাদাল। কাল মহাকাব্যিক ম্যাচে হেরে নাদাল অবশ্য আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাননি। এমনকি মজাও করেছেন। বক্তৃতা শুরু করেছিলেন ‘সুপ্রভাত’ বলে। এরপর জোকোভিচকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ‘অসাধারণ কিছু’ করার জন্য।
চতুর্থ সেটে ৪-৫ গেমে পিছিয়ে ছিলেন নাদাল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ওই সেটটা টাইব্রেকে জিতে নেন এই স্প্যানিয়ার্ড। কিন্তু সেমিফাইনালে অ্যান্ডি মারেকে পাঁচ সেটের ম্যাচে হারিয়ে আসা বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় পরের সেটেই এর জবাব দেন। ৪-৫-এ পিছিয়ে পড়েও জিতে যান ৭-৫ গেমে। ওয়েবসাইট।
No comments