দায়ী নেতা-কর্মীদের আইনের হাতে সোপর্দ করুন-ছাত্রলীগের ভাঙচুর-তাণ্ডব
ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে সময় লাগল চার মাস। তবে কমিটি ঘোষণার প্রতিক্রিয়া টের পেতে সময় লাগল না এক দিনও। চাঁদপুরের লোকজন সোমবার রাতে ঝুঝতে পারল ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার ঝাঁজ কেমন হতে পারে। সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন বলে কথা!
ছাত্রলীগের ২২০ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা আসে সোমবার রাতে। সেই কমিটিতে স্থান পাবেন এমন আশা ছিল চাঁদপুরের ছাত্রলীগ নেতা আবদুল কাদের জিলানীর। কিন্তু আশা পূরণ না হওয়ায় তিনি ‘সমর্থকদের’ নিয়ে নেমে পড়লেন রাস্তায়। সামনে যা পাওয়া গেল তা-ই ভাঙচুর করলেন তাঁরা। যানবাহন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট কিছুই বাদ যায়নি। তাঁরা হামলা করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাহিদুল ইসলামের বাসায়ও। বর্তমানে আয়কর আইনজীবী হলেও জাহিদুল একসময় ছাত্রলীগ করা লোক, তাঁর বাসায় হামলা করাকে তিনি মেনে নেবেন কেন! একই স্টাইলে মাঠে নামলেন তাঁর ‘সমর্থক’ লোকজন। তাঁরাও হামলা চালালেন হাসপাতালসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে, ভাঙচুর করলেন যানবাহন। শেষমেশ প্রতিশোধ হিসেবে সেই জিলানীর বাসায় হামলা।
সাবেক আর পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের এই দুই নেতার মধ্যে না হয় স্বার্থের দ্বন্দ্ব রয়েছে, দুজন দুজনের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছেন। কিন্তু এই দুই নেতার সমর্থকেরা যে যানবাহন আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করলেন, তাঁদের চালক ও মালিকেরা কী দোষ করেছিলেন? দুই পক্ষ যখন এই তাণ্ডব চালায়, তখন পত্রিকার খবর অনুযায়ী পুলিশ নির্বিকার। এর অর্থ হচ্ছে ছাত্রলীগ যা খুশি তাই করবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীরও কিছু করার নেই!
এর আগে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুত বিচার আইনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মহমুদুল হক ভূইয়া। প্রতিক্রিয়ায় সেখানেও চলেছিল তাণ্ডব। যানবাহন ভাঙচুর হয়েছে, সড়ক অবরোধ হয়েছে, ককটেলও ফুটেছে। বন্ধ ছিল রেল চলাচলও। ছাত্রলীগ নেতাকে ধরলে যদি এত খেসারত দিতে হয়, তবে তাঁদের আইনের ঊর্ধ্বে রাখাই তো ভালো! সে জন্য তো সংবিধানে দায়মুক্তির বিধান এনে আইন পাস করতে হবে। আর সরকার যদি সত্যি সত্যি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হয়, তাদের উচিত হবে চাঁদপুরে তাণ্ডব সৃষ্টিকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পাকড়াও করে আইনের হাতে সোপর্দ করা।
সাবেক আর পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের এই দুই নেতার মধ্যে না হয় স্বার্থের দ্বন্দ্ব রয়েছে, দুজন দুজনের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছেন। কিন্তু এই দুই নেতার সমর্থকেরা যে যানবাহন আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করলেন, তাঁদের চালক ও মালিকেরা কী দোষ করেছিলেন? দুই পক্ষ যখন এই তাণ্ডব চালায়, তখন পত্রিকার খবর অনুযায়ী পুলিশ নির্বিকার। এর অর্থ হচ্ছে ছাত্রলীগ যা খুশি তাই করবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীরও কিছু করার নেই!
এর আগে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুত বিচার আইনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মহমুদুল হক ভূইয়া। প্রতিক্রিয়ায় সেখানেও চলেছিল তাণ্ডব। যানবাহন ভাঙচুর হয়েছে, সড়ক অবরোধ হয়েছে, ককটেলও ফুটেছে। বন্ধ ছিল রেল চলাচলও। ছাত্রলীগ নেতাকে ধরলে যদি এত খেসারত দিতে হয়, তবে তাঁদের আইনের ঊর্ধ্বে রাখাই তো ভালো! সে জন্য তো সংবিধানে দায়মুক্তির বিধান এনে আইন পাস করতে হবে। আর সরকার যদি সত্যি সত্যি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হয়, তাদের উচিত হবে চাঁদপুরে তাণ্ডব সৃষ্টিকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পাকড়াও করে আইনের হাতে সোপর্দ করা।
No comments