দখলদার-চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করুন-আগুন আতঙ্কে বস্তিবাসী
দালানকোঠা পুড়ে গেলে তার ধ্বংসাবশেষ থাকে। কিন্তু বস্তিঘর পুড়লে কিছুই থাকে না। সব ছাই হয়ে যায়। শুক্রবার রায়েরবাজারের রহিম ব্যাপারীর টঙ বস্তিতে আগুন লেগে কয়েক শ ঘর পুড়ে যায়। এসব ঘরের বাসিন্দারা সর্বস্ব হারিয়ে এখন অন্যের দয়ায় বেঁচে আছে।
এমনিতে তাদের সঞ্চয় বলতে কয়েক দিনের জমানো খাবার, কিছু হাঁড়ি-পাতিল, কাপড়চোপড় ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার বই। এর আগে লালবাগের বস্তিতেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এসব নিরাশ্রয় নারী, পুরুষ ও শিশু যে এই মহানগরে কী দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে, তা হয়তো রাষ্ট্র ও সমাজের চালকদের জানা নেই। দুর্ঘটনা ঘটলেই কেবল তারা খবর হয়।
শীতের মৌসুমে আগুন লাগার ঘটনা বেশি ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা জরুরি। রায়েরবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গ্যাসের লাইন থেকে। এসব বস্তির স্থাপনাগুলো এতটাই নাজুক যে সেখানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন নিরাপদ নয়। তা ছাড়া বাসিন্দাদের সচেতনতারও অভাব রয়েছে। একশ্রেণীর দখলদার-চাঁদাবাজ সরকারি জমি দখল করে এসব বস্তি স্থাপন করে। অনেক সময় এলাকার আধিপত্য বিস্তার কিংবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বস্তিতে আগুন লাগিয়ে থাকে, যার শিকার হয় নিরীহ ও নিরপরাধ বস্তিবাসী। এ কারণেই বস্তির বাসিন্দাদের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। কেউ যাতে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে সবাইকে। দখলদারদের হাত থেকে খাসজমি উদ্ধার করে সেখানে পরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে হবে। প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থার সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
রায়েরবাজার বা লালবাগের বস্তিতে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের পুনর্বাসনে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। বিশেষ করে, যেসব ছেলেমেয়ের বইখাতা পুড়ে গেছে, তাদের বইখাতার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তারা বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষা দিতে পারে। এই কোমলমতি শিশুদের পাশে দাঁড়ানো সবার নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।
ভবিষ্যতে যাতে তারা এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই নিরন্ন ও বিপন্ন মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াই।
শীতের মৌসুমে আগুন লাগার ঘটনা বেশি ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা জরুরি। রায়েরবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গ্যাসের লাইন থেকে। এসব বস্তির স্থাপনাগুলো এতটাই নাজুক যে সেখানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন নিরাপদ নয়। তা ছাড়া বাসিন্দাদের সচেতনতারও অভাব রয়েছে। একশ্রেণীর দখলদার-চাঁদাবাজ সরকারি জমি দখল করে এসব বস্তি স্থাপন করে। অনেক সময় এলাকার আধিপত্য বিস্তার কিংবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বস্তিতে আগুন লাগিয়ে থাকে, যার শিকার হয় নিরীহ ও নিরপরাধ বস্তিবাসী। এ কারণেই বস্তির বাসিন্দাদের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। কেউ যাতে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে সবাইকে। দখলদারদের হাত থেকে খাসজমি উদ্ধার করে সেখানে পরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে হবে। প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থার সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
রায়েরবাজার বা লালবাগের বস্তিতে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের পুনর্বাসনে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। বিশেষ করে, যেসব ছেলেমেয়ের বইখাতা পুড়ে গেছে, তাদের বইখাতার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তারা বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষা দিতে পারে। এই কোমলমতি শিশুদের পাশে দাঁড়ানো সবার নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।
ভবিষ্যতে যাতে তারা এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই নিরন্ন ও বিপন্ন মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াই।
No comments