পবিত্র কোরআনের আলো-মুনাফিকরা মুসলমানদের পরাজয় কামনা করত, কিন্তু পরাজয় নির্ধারিত ছিল তাদের জন্য
৪৯. ওয়া মিনহুম মান ইয়্যাক্বূলু'যান-লী ওয়া লা তাফতিন্নী; আলা ফিল ফিত্নাতি ছাক্বাত্বূ ওয়া ইন্না জাহান্নামা লামুহীত্বাতুম্ বিলকা-ফিরীন। ৫০. ইন্ তুসিবকা হাছানাতুন তাছূহুম; ওয়া ইন তুসিব্কা মুসীবাতুন ইয়াক্বূলূ ক্বাদ্ আখায্না আম্রানা মিন্ ক্বাবলু ওয়া ইয়াতাওয়াল্লাও ওয়াহুম ফারিহূন।
৫১. ক্বুল্ লান ইয়্যুসীবানা ইল্লা মা কাতাবাল্লা-হু লানা; হুয়া মাওলা-না ওয়া আ'লাল্লা-হি ফালইয়াতাওয়াক্কালিল্ মু'মিনুন।
৫২. ক্বুল হাল্ তারাব্বাসূনা বিনা ইল্লা ইহ্দাল হুছ্নাইয়াইনি; ওয়া নাহ্নু নাতারাব্বাসু বিকুম আন ইয়্যুসীবাকুমুল্লা-হু বিআ'যা-বিম্ মিন ই'নদিহী আও বিআইদীনা ফাতারাব্বাসূ ইন্না মাআ'কুম্ মুতারাবি্বসূন। [সুরা : আত্ তাওবা, আয়াত : ৪৯-৫২]
অনুবাদ : ৪৯. তাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষও আছে, যারা (নবীর উদ্দেশে) বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না। জেনে রাখা উচিত, এরা তো ফিতনায় পড়েই রয়েছে। জাহান্নাম তো কাফিরদের বেষ্টন করেই রেখেছে।
৫০. যখন আপনার কল্যাণকর কিছু হয় তখন তারা নাখোশ হয়, আর যখন আপনি কোনো বিপদে পড়ে যান তখন তারা বলে, আমরা তো আগেই আমাদের ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। এভাবেই তারা উৎফুল্ল চিত্তে সটকে পড়ে।
৫১. (হে নবী!) আপনি বলে দিন, আল্লাহ আমাদের তাকদিরে যে কষ্ট লিখে রেখেছেন তা ছাড়া অন্য কোনো কষ্ট আমাদের কিছুতেই স্পর্শ করবে না। তিনিই আমাদের অভিভাবক। আল্লাহর ওপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত।
৫২. আপনি বলে দিন, তোমরা তো আমাদের ব্যাপারে অপেক্ষায় আছ? আমাদের পরিণতি হবে দুটি কল্যাণের যেকোনো একটি (অর্থাৎ হয়তো বিজয়, অন্যথায় শাহাদত)। আর আমরা তোমাদের ব্যাপারে এই অপেক্ষায় আছি যে আল্লাহ তোমাদের শাস্তি দেবেন, হয়তো নিজে অথবা আমাদের হাত দিয়ে। সুতরাং তোমরা অপেক্ষা করো, আমরা তোমাদের মতো অপেক্ষায়ই আছি।
ব্যাখ্যা : ৪৯ নম্বর আয়াতটির শানেনুজুল এ রকম : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে, মুনাফিকদের মধ্যে জা'দ ইবনে কায়স নামের এক লোক ছিল। নবী (সা.) তাকে তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানালে সে জবাব দিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমি বড় নারীকাতর লোক। রোমান সুন্দরীদের দেখলে আমার পক্ষে ইন্দ্রিয় সংযম করা সম্ভব হবে না। ফলে আমি ফিতনায় পড়ে যাব। সুতরাং আমাকে এই যুদ্ধে শরিক না হওয়ার অনুমতি দিন এবং এভাবে আমাকে ফিতনার শিকার হওয়া থেকে বাঁচান। এ আয়াতে তার দিকেসহ এ ধরনের বাজে লোকদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ৫০ ও ৫১ নম্বর আয়াতে মুনাফিকদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যটি বর্ণনা করে এর পরিপ্রেক্ষিতে কী জবাব দিতে হবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। ৫২ নম্বর আয়াতে মুসলমানদের সঙ্গে মুনাফিকদের তুলনামূলক পরিণতির বর্ণনা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারা যদিও মনে করছে মুসলমানদের খারাপ পরিণতি তারা দেখবে, আসলে খারাপ পরিণতি হবে তাদেরই। মুসলমানরা তো সত্যের পথে লড়াই করছে, তারা হয়তো জয়লাভ করবে অথবা শাহাদত বরণ করবে। এ দুটিই তাদের জন্য কল্যাণকর এবং দুটিই বিজয়। আর মুনাফিকদের পরিণতি হবে এই যে তারা হয়তো মুসলমানদের হাতে পরাজিত হয়ে শাস্তি পাবে অথবা আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্য কোনোভাবে আসা শাস্তিতে তারা নিপতিত হবে। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং পরকালে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। মুনাফিকরা যে আসলে কাফিরদেরই দলভুক্ত_এ বিষয়টাও এই আয়াতগুলোতে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তারা মুসলমানদের দলভুক্ত বলে দাবি করে শুধু বিভ্রান্তিই ছড়াচ্ছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
৫২. ক্বুল হাল্ তারাব্বাসূনা বিনা ইল্লা ইহ্দাল হুছ্নাইয়াইনি; ওয়া নাহ্নু নাতারাব্বাসু বিকুম আন ইয়্যুসীবাকুমুল্লা-হু বিআ'যা-বিম্ মিন ই'নদিহী আও বিআইদীনা ফাতারাব্বাসূ ইন্না মাআ'কুম্ মুতারাবি্বসূন। [সুরা : আত্ তাওবা, আয়াত : ৪৯-৫২]
অনুবাদ : ৪৯. তাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষও আছে, যারা (নবীর উদ্দেশে) বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না। জেনে রাখা উচিত, এরা তো ফিতনায় পড়েই রয়েছে। জাহান্নাম তো কাফিরদের বেষ্টন করেই রেখেছে।
৫০. যখন আপনার কল্যাণকর কিছু হয় তখন তারা নাখোশ হয়, আর যখন আপনি কোনো বিপদে পড়ে যান তখন তারা বলে, আমরা তো আগেই আমাদের ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। এভাবেই তারা উৎফুল্ল চিত্তে সটকে পড়ে।
৫১. (হে নবী!) আপনি বলে দিন, আল্লাহ আমাদের তাকদিরে যে কষ্ট লিখে রেখেছেন তা ছাড়া অন্য কোনো কষ্ট আমাদের কিছুতেই স্পর্শ করবে না। তিনিই আমাদের অভিভাবক। আল্লাহর ওপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত।
৫২. আপনি বলে দিন, তোমরা তো আমাদের ব্যাপারে অপেক্ষায় আছ? আমাদের পরিণতি হবে দুটি কল্যাণের যেকোনো একটি (অর্থাৎ হয়তো বিজয়, অন্যথায় শাহাদত)। আর আমরা তোমাদের ব্যাপারে এই অপেক্ষায় আছি যে আল্লাহ তোমাদের শাস্তি দেবেন, হয়তো নিজে অথবা আমাদের হাত দিয়ে। সুতরাং তোমরা অপেক্ষা করো, আমরা তোমাদের মতো অপেক্ষায়ই আছি।
ব্যাখ্যা : ৪৯ নম্বর আয়াতটির শানেনুজুল এ রকম : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে, মুনাফিকদের মধ্যে জা'দ ইবনে কায়স নামের এক লোক ছিল। নবী (সা.) তাকে তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানালে সে জবাব দিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমি বড় নারীকাতর লোক। রোমান সুন্দরীদের দেখলে আমার পক্ষে ইন্দ্রিয় সংযম করা সম্ভব হবে না। ফলে আমি ফিতনায় পড়ে যাব। সুতরাং আমাকে এই যুদ্ধে শরিক না হওয়ার অনুমতি দিন এবং এভাবে আমাকে ফিতনার শিকার হওয়া থেকে বাঁচান। এ আয়াতে তার দিকেসহ এ ধরনের বাজে লোকদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ৫০ ও ৫১ নম্বর আয়াতে মুনাফিকদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যটি বর্ণনা করে এর পরিপ্রেক্ষিতে কী জবাব দিতে হবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। ৫২ নম্বর আয়াতে মুসলমানদের সঙ্গে মুনাফিকদের তুলনামূলক পরিণতির বর্ণনা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারা যদিও মনে করছে মুসলমানদের খারাপ পরিণতি তারা দেখবে, আসলে খারাপ পরিণতি হবে তাদেরই। মুসলমানরা তো সত্যের পথে লড়াই করছে, তারা হয়তো জয়লাভ করবে অথবা শাহাদত বরণ করবে। এ দুটিই তাদের জন্য কল্যাণকর এবং দুটিই বিজয়। আর মুনাফিকদের পরিণতি হবে এই যে তারা হয়তো মুসলমানদের হাতে পরাজিত হয়ে শাস্তি পাবে অথবা আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্য কোনোভাবে আসা শাস্তিতে তারা নিপতিত হবে। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং পরকালে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। মুনাফিকরা যে আসলে কাফিরদেরই দলভুক্ত_এ বিষয়টাও এই আয়াতগুলোতে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তারা মুসলমানদের দলভুক্ত বলে দাবি করে শুধু বিভ্রান্তিই ছড়াচ্ছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments