জারদারি ও গিলানিকে অযোগ্য ঘোষণার হুঁশিয়ারি আদালতের
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সৎ মানুষ নন। তিনি তাঁর সাংবিধানিক শপথ রাখেননি। দুর্নীতি মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট দুজনকেই অযোগ্য ঘোষণা করে তাঁদের পদ বাতিল করা হতে পারে। ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সরকার ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিনেন্স’-এর মাধ্যমে একটি সাধারণ দায়মুক্তি ঘোষণা করে।
এর ফলে প্রেসিডেন্ট জারদারিসহ আরও আট হাজার মানুষ দুর্নীতিসহ অন্যান্য অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যান। এঁদের মধ্যে ৩০ জনের বেশি রাজনীতিক ছিলেন। সবচেয়ে লাভবান হন জারদারি। তিনি সুইজারল্যান্ডের আদালতে দায়ের হওয়া অর্থ পাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিনেন্সের বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তখন থেকেই জারদারির বিরুদ্ধে মামলাটি আবার চালু করার জন্য সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার জন্য বলে আসছেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে বাধা দিয়ে আসছে জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সরকার। সরকারের বক্তব্য, প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক দায়মুক্তি আছে।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের একটি বেঞ্চ গতকাল এক আদেশে বলেছেন, জারদারির মামলাটি আবার চালু করতে সুইজারল্যান্ডকে চিঠি দিতে সরকারের অস্বীকৃতি সংবিধানের লঙ্ঘন।
এর আগে এ বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি আসিফ সাইদ খোসার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের ওই বেঞ্চ। কিন্তু গতকাল সেই সময়সীমা শেষ হলেও সরকার পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই আদেশ দিয়েছেন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গিলানি সংবিধানের পরিবর্তে নিজের রাজনৈতিক দলের প্রতিই আনুগত্য দেখিয়েছেন। তিনি সম্মানিত মানুষ নন এবং তিনি তাঁর সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করেছেন।
পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ আরও বলেন, জারদারির বিরুদ্ধে মামলাটি আবার চালু করার পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে আদালত প্রধানমন্ত্রী গিলানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তাঁকে দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
বিচারক সাইদ খোসা বলেন, সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গের দায়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট দুজনকেই অযোগ্য ঘোষণা করে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতে পারে।
তবে সুপ্রিম কোর্ট সরকারের বিরুদ্ধে কোনো রুল জারি করেননি, পরিবর্তে বিভিন্ন বিকল্পের কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণাসহ ওই সব বিকল্পের মধ্যে আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে কমিশন গঠন অথবা এ বিষয়ে দেশজুড়ে গণভোটের ব্যবস্থা করা।
বেঞ্চ বলেছেন, এ বিষয়ে ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানির জন্য আরও বড় আকারের একটি বেঞ্চ গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে সুপারিশ করেছেন বেঞ্চ। এ ছাড়া আগামী শুনানিতে এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য তুলে ধরতে অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ার-উল-হকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী শুনানির দিন অ্যাটর্নি জেনারেল, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশনা ও বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন বাবর আওয়ান। তিনি বলেন, ‘দেশের মধ্যে কে জনপ্রিয় ও কে অজনপ্রিয়, কে সৎ আর কে অসৎ, তা নির্ধারণের অধিকার কেবল পাকিস্তানের জনগণেরই আছে।’ এএফপি, রয়টার্স ও পিটিআই।
২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিনেন্সের বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তখন থেকেই জারদারির বিরুদ্ধে মামলাটি আবার চালু করার জন্য সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার জন্য বলে আসছেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে বাধা দিয়ে আসছে জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সরকার। সরকারের বক্তব্য, প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক দায়মুক্তি আছে।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের একটি বেঞ্চ গতকাল এক আদেশে বলেছেন, জারদারির মামলাটি আবার চালু করতে সুইজারল্যান্ডকে চিঠি দিতে সরকারের অস্বীকৃতি সংবিধানের লঙ্ঘন।
এর আগে এ বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি আসিফ সাইদ খোসার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের ওই বেঞ্চ। কিন্তু গতকাল সেই সময়সীমা শেষ হলেও সরকার পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই আদেশ দিয়েছেন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গিলানি সংবিধানের পরিবর্তে নিজের রাজনৈতিক দলের প্রতিই আনুগত্য দেখিয়েছেন। তিনি সম্মানিত মানুষ নন এবং তিনি তাঁর সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করেছেন।
পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ আরও বলেন, জারদারির বিরুদ্ধে মামলাটি আবার চালু করার পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে আদালত প্রধানমন্ত্রী গিলানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তাঁকে দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
বিচারক সাইদ খোসা বলেন, সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গের দায়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট দুজনকেই অযোগ্য ঘোষণা করে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতে পারে।
তবে সুপ্রিম কোর্ট সরকারের বিরুদ্ধে কোনো রুল জারি করেননি, পরিবর্তে বিভিন্ন বিকল্পের কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণাসহ ওই সব বিকল্পের মধ্যে আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে কমিশন গঠন অথবা এ বিষয়ে দেশজুড়ে গণভোটের ব্যবস্থা করা।
বেঞ্চ বলেছেন, এ বিষয়ে ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানির জন্য আরও বড় আকারের একটি বেঞ্চ গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে সুপারিশ করেছেন বেঞ্চ। এ ছাড়া আগামী শুনানিতে এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য তুলে ধরতে অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ার-উল-হকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী শুনানির দিন অ্যাটর্নি জেনারেল, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশনা ও বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন বাবর আওয়ান। তিনি বলেন, ‘দেশের মধ্যে কে জনপ্রিয় ও কে অজনপ্রিয়, কে সৎ আর কে অসৎ, তা নির্ধারণের অধিকার কেবল পাকিস্তানের জনগণেরই আছে।’ এএফপি, রয়টার্স ও পিটিআই।
No comments