পুরোপুরি বিধ্বস্ত একটি সড়ক by সুমনকুমার দাশ
সিলেট নগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটির দূরত্ব ৩৭ কিলোমিটার। সড়কটির কয়েক কিলোমিটার বাদে অধিকাংশ স্থান ভাঙাচোরা, ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দ। বিধ্বস্ত এ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে প্রায়ই বিকল হচ্ছে যানবাহন। ভোলাগঞ্জ যেতে সময় লাগছে তিন থেকে চার ঘণ্টা।
এ অবস্থায় ১৪ জানুয়ারির মধ্যে সড়কটির সংস্কারকাজ শুরুর দাবি জানিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাথর ব্যবসা ও পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সংগঠন।
এ অবস্থায় ১৪ জানুয়ারির মধ্যে সড়কটির সংস্কারকাজ শুরুর দাবি জানিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাথর ব্যবসা ও পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সংগঠন।
নইলে পরদিন ১৫ জানুয়ারি সর্বস্তরের লোকজনকে নিয়ে উপজেলায় হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। প্রসংগত, ভোলাগঞ্জ দেশের বৃহৎ পাথর কোয়ারি। সেখান থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাথর পরিবহনে এ সড়কটি ব্যবহূত হয়।
গত রোববার সকাল ১০টার দিকে সিলেট নগরের বন্দরবাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে রওনা দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ যেতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘণ্টা। এ সময় খানাখন্দে পড়ে স্প্রিং ভেঙে ও চাকা পাংচার হয়ে আটটি ট্রাক, নয়টি অটোরিকশা, ১১টি মোটরসাইকেল এবং তিনটি যাত্রীবাহী বাস সড়কে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিকল যানবাহনের কারণে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
সদর উপজেলার ধোপাগুল, গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর ও কোম্পানীগঞ্জের খাগাইল, ছালিয়া, হিঙ্গিডুবি, কাটাখাল, বড় বন্নি, বন্নি, লাছুখাল, টুকেরবাজার, তৈমুরনগর এবং বউবাজার এলাকায় সড়কের অবস্থা ছিল খুব খারাপ। এসব স্থানে ইট, সুরকি, বালু ও পিচ-খোয়া উঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ দেখা গেছে। সড়কে বালুর আস্তর পড়ায় উড়ছিল ধুলা। এতে যাত্রী, পথচারী, আশপাশের দোকানি ও বাসিন্দারা পড়েছিল চরম দুর্ভোগে। ভাঙা সড়কের কারণে যানবাহনগুলো চলছিল এঁকেবেঁকে।
লাছুখালে স্প্রিং ভেঙে বিকল হয়েছিল একটি ট্রাক। ট্রাকটির চালক রাকিব মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার রাত নয়টার দিকে বড় একটি গর্তে পড়ে ট্রাকটি বিকল হয়। বেলা একটা পর্যন্ত গাড়িটি সারাতে পারিনি।’
চালকদের এ ধরনের অসহায়ত্ব নতুন নয় বলে জানান লাছুখাল এলাকার বাসিন্দা কাওসার মিয়া। তাঁর মতে, প্রতিদিন এ সড়কে বিশাল খানাখন্দে পড়ে অন্তত ২০টি যানবাহন বিকল হয়। ঘটে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা।
ট্রাকচালক আশিক আলী বলেন, ‘গাড়ি চালাইতে ডর করে। মনে হয়, এই বুঝি গাড়ি পইড়া যাইব। এবড়োখেবড়ো সড়ক দিয়া গাড়ি চালাইয়া শরীর ও গাড়ি দুইটারই বারোটা বাজাইয়া দিতাছি।’
‘ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে বাসের ঝাঁকুনিতে পুরো শরীরে ব্যথা করে।’ বলছিলেন বাসযাত্রী আজাহার উদ্দিন।
সিলেটের সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্র জানিয়েছে, গত বর্ষা মৌসুমে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কটি বিধ্বস্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ইট, সুরকি ও পাথর ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হয় বলে সওজের দাবি। সম্প্রতি আট কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের ১৫ কিলোমিটার সংস্কারকাজ করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এ কাজ শুরু হবে।
সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম সড়কের দুরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ওই সড়কে মাত্রাতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলায় কিছুদিন পরপর সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে। কিছুদিনের মধ্যে সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তখন লোকজনের ভোগান্তি থাকবে না।’
কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রশিদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৪ জানুয়ারির মধ্যে সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু করতে হবে। নইলে পরদিন ১৫ জানুয়ারি উপজেলায় হরতাল এবং ১৬ জানুয়ারি জনসমাবেশ করবে কোম্পানীগঞ্জ স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতি, পাথর ব্যবসায়ী সমিতি ও ট্রাক মালিক সমিতি।’
গত রোববার সকাল ১০টার দিকে সিলেট নগরের বন্দরবাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে রওনা দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ যেতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘণ্টা। এ সময় খানাখন্দে পড়ে স্প্রিং ভেঙে ও চাকা পাংচার হয়ে আটটি ট্রাক, নয়টি অটোরিকশা, ১১টি মোটরসাইকেল এবং তিনটি যাত্রীবাহী বাস সড়কে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিকল যানবাহনের কারণে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
সদর উপজেলার ধোপাগুল, গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর ও কোম্পানীগঞ্জের খাগাইল, ছালিয়া, হিঙ্গিডুবি, কাটাখাল, বড় বন্নি, বন্নি, লাছুখাল, টুকেরবাজার, তৈমুরনগর এবং বউবাজার এলাকায় সড়কের অবস্থা ছিল খুব খারাপ। এসব স্থানে ইট, সুরকি, বালু ও পিচ-খোয়া উঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ দেখা গেছে। সড়কে বালুর আস্তর পড়ায় উড়ছিল ধুলা। এতে যাত্রী, পথচারী, আশপাশের দোকানি ও বাসিন্দারা পড়েছিল চরম দুর্ভোগে। ভাঙা সড়কের কারণে যানবাহনগুলো চলছিল এঁকেবেঁকে।
লাছুখালে স্প্রিং ভেঙে বিকল হয়েছিল একটি ট্রাক। ট্রাকটির চালক রাকিব মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার রাত নয়টার দিকে বড় একটি গর্তে পড়ে ট্রাকটি বিকল হয়। বেলা একটা পর্যন্ত গাড়িটি সারাতে পারিনি।’
চালকদের এ ধরনের অসহায়ত্ব নতুন নয় বলে জানান লাছুখাল এলাকার বাসিন্দা কাওসার মিয়া। তাঁর মতে, প্রতিদিন এ সড়কে বিশাল খানাখন্দে পড়ে অন্তত ২০টি যানবাহন বিকল হয়। ঘটে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা।
ট্রাকচালক আশিক আলী বলেন, ‘গাড়ি চালাইতে ডর করে। মনে হয়, এই বুঝি গাড়ি পইড়া যাইব। এবড়োখেবড়ো সড়ক দিয়া গাড়ি চালাইয়া শরীর ও গাড়ি দুইটারই বারোটা বাজাইয়া দিতাছি।’
‘ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে বাসের ঝাঁকুনিতে পুরো শরীরে ব্যথা করে।’ বলছিলেন বাসযাত্রী আজাহার উদ্দিন।
সিলেটের সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্র জানিয়েছে, গত বর্ষা মৌসুমে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কটি বিধ্বস্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ইট, সুরকি ও পাথর ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হয় বলে সওজের দাবি। সম্প্রতি আট কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের ১৫ কিলোমিটার সংস্কারকাজ করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এ কাজ শুরু হবে।
সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম সড়কের দুরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ওই সড়কে মাত্রাতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলায় কিছুদিন পরপর সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে। কিছুদিনের মধ্যে সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তখন লোকজনের ভোগান্তি থাকবে না।’
কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রশিদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৪ জানুয়ারির মধ্যে সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু করতে হবে। নইলে পরদিন ১৫ জানুয়ারি উপজেলায় হরতাল এবং ১৬ জানুয়ারি জনসমাবেশ করবে কোম্পানীগঞ্জ স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতি, পাথর ব্যবসায়ী সমিতি ও ট্রাক মালিক সমিতি।’
No comments