বিনিয়োগ সমস্যা-অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক, এ তথ্য নতুন নয়। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না হলে নতুন কর্মসংস্থান যেমন সৃষ্টি করা সম্ভব হয় না, তেমনি কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশাও পূরণ হয় না। অর্থমন্ত্রী গত সোমবার ডিসিসিআই, এসএমই ফাউন্ডেশন ও এমসিসিআইর যৌথ আয়োজনে হোটেল রূপসী বাংলায় অনুষ্ঠিত 'দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব' শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিনিয়োগ পরিস্থিতির হতাশাজনক চিত্র তুলে ধরে দ্রুত এ ক্ষেত্রে উন্নতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। এবার অতীতের চেয়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে।
এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা আইন-কানুন সহজ করা, বিনিয়োগকারীরা যাতে বিনিয়োগকৃত অর্থ ও লাভ সহজে স্থানান্তর করতে পারে তার ব্যবস্থা করা, তাদের পুঁজির নিরাপত্তা বিধান ইত্যাদি বিষয় কম গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে উল্লেখ করে থাকেন। এর সঙ্গে আছে নীতি অব্যাহত থাকার গ্যারান্টি। দেখা যায়, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারও পাল্টে যায়। এতে বিদেশি বিনিয়োগ আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর দীর্ঘমেয়াদে আস্থা রাখতে পারে না। তাই বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রাইভেট বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষিত হয় না। তার ওপর আছে দুর্নীতি ও প্রকল্পের জন্য জায়গার সংস্থান। জায়গার ক্ষেত্রে বেপজার অতীত কর্মকাণ্ড বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রবণতার জন্ম দিয়ে থাকবে। দুর্নীতি দূর করা এবং জবাবদিহিতা কায়েম প্রশ্নেও তেমন অগ্রগতি নেই।
বিশ্ব্বে যখন গত কয়েক বছর বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন একই সময় বাংলাদেশে তা কমে যাওয়াটা আমাদের অর্থনীতির জন্য সুলক্ষণ নয়। দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ চিত্রও মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ জিডিপির ২৫ শতাংশের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে, অথচ নিকট ভবিষ্যতে ৮-৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে এই হার ৩৫-৪০ শতাংশ হওয়া চাই। যারা বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থলগি্ন করার মতো সামর্থ্য রাখে সেই ব্যাংকগুলোর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে। ফলে অভ্যন্তরীণভাবে বেসরকারি বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়ার সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। বিনিয়োগ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ সামর্থ্য কমে যাওয়ার ঘাটতিটা বিদেশি বিনিয়োগ দ্রুত আকর্ষণ করে মেটানো যায়। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ দরকার তা কি আমাদের রয়েছে? তাছাড়া দেশে পুনরায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এমন শঙ্কা দেখা যাচ্ছে। বর্তমান সরকার যদি পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় না আসতে পারে তখন কী হবে? নতুন সরকার ক্ষমতায় বসার পর পূর্বের সরকারের বিনিয়োগ ও সহায়ক সুযোগ-সুবিধাগুলো অক্ষুণ্ন রাখবে কি-না তার নিশ্চয়তা কি আছে? অনেক বিশেষজ্ঞ দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের বৃহৎ বাজারের কথা বিবেচনায় রেখে বিনিয়োগের কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সস্তা শ্রমশক্তির কথা বিবেচনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে হলেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা অর্জন করতে হবে। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এ দেশের ব্যবসায়ী সমাজেরও সমর্থন প্রয়োজন। তাছাড়া এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা জরুরি। রাজনৈতিক ঐকমত্যও গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব্বে যখন গত কয়েক বছর বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন একই সময় বাংলাদেশে তা কমে যাওয়াটা আমাদের অর্থনীতির জন্য সুলক্ষণ নয়। দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ চিত্রও মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ জিডিপির ২৫ শতাংশের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে, অথচ নিকট ভবিষ্যতে ৮-৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে এই হার ৩৫-৪০ শতাংশ হওয়া চাই। যারা বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থলগি্ন করার মতো সামর্থ্য রাখে সেই ব্যাংকগুলোর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে। ফলে অভ্যন্তরীণভাবে বেসরকারি বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়ার সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। বিনিয়োগ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ সামর্থ্য কমে যাওয়ার ঘাটতিটা বিদেশি বিনিয়োগ দ্রুত আকর্ষণ করে মেটানো যায়। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ দরকার তা কি আমাদের রয়েছে? তাছাড়া দেশে পুনরায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এমন শঙ্কা দেখা যাচ্ছে। বর্তমান সরকার যদি পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় না আসতে পারে তখন কী হবে? নতুন সরকার ক্ষমতায় বসার পর পূর্বের সরকারের বিনিয়োগ ও সহায়ক সুযোগ-সুবিধাগুলো অক্ষুণ্ন রাখবে কি-না তার নিশ্চয়তা কি আছে? অনেক বিশেষজ্ঞ দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের বৃহৎ বাজারের কথা বিবেচনায় রেখে বিনিয়োগের কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সস্তা শ্রমশক্তির কথা বিবেচনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে হলেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা অর্জন করতে হবে। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এ দেশের ব্যবসায়ী সমাজেরও সমর্থন প্রয়োজন। তাছাড়া এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা জরুরি। রাজনৈতিক ঐকমত্যও গুরুত্বপূর্ণ।
No comments