শোকে-ক্ষোভে উত্তাল জাবি-তিন ছাত্রলীগ কর্মী আজীবন বহিষ্কার
ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আজীবন বহিষ্কার ও প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়ার পদত্যাগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উত্তাল ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে সকাল থেকেই 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে।
তাদের সঙ্গে যোগ দেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষক সমাজের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষকরা, প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা। নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবি করেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। জুবায়ের আহমেদ হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ কর্মী খন্দকার আশিকুল ইসলামকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে জুবায়েরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল ১০টায় বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক অনুষদ ভবনে গিয়ে ফের উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে যায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়।
এদিকে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরবিরোধী স্লোগান দিতে থাকলে উভয় ্রগুপের মাঝে মৃদু উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিকে সোমবারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারের আদেশ অনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে 'শিক্ষক সমাজে'র ব্যানারে সাধারণ শিক্ষকরা আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এ এ মামুন, শরীফ উদ্দিন, অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, এটিএম আতিকুর রহমান প্রমুখ। উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বক্তারা বলেন, 'শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে কেউ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাইলে ভুল করবে। যেহেতু প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাই পদত্যাগ করে তাদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত।' সমাবেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। এরপর শহীদ মিনার থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ক্লাস বর্জন, কালোব্যাজ ধারণ ও শোক র্যালির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ছাত্রলীগের কর্মীরা গতকাল মঙ্গলবার সকালে কয়েকটি হলের গেট বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তাদের মিছিলে যেতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের সম্পৃক্ত থাকার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক দায় অস্বীকার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, 'ছাত্রলীগ যখন কেন্দ্রঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তখন তাদের কোনো বক্তব্য থাকে না, অথচ যখন অপকর্ম করে তখন এর দায় অস্বীকার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ছড়িয়ে দেওয়া। এর দায় সরকার ও ছাত্রলীগ কেউ এড়াতে পারে না।'
সকাল ১০টায় বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক অনুষদ ভবনে গিয়ে ফের উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে যায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়।
এদিকে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরবিরোধী স্লোগান দিতে থাকলে উভয় ্রগুপের মাঝে মৃদু উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিকে সোমবারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারের আদেশ অনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে 'শিক্ষক সমাজে'র ব্যানারে সাধারণ শিক্ষকরা আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এ এ মামুন, শরীফ উদ্দিন, অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, এটিএম আতিকুর রহমান প্রমুখ। উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বক্তারা বলেন, 'শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে কেউ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাইলে ভুল করবে। যেহেতু প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাই পদত্যাগ করে তাদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত।' সমাবেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। এরপর শহীদ মিনার থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ক্লাস বর্জন, কালোব্যাজ ধারণ ও শোক র্যালির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ছাত্রলীগের কর্মীরা গতকাল মঙ্গলবার সকালে কয়েকটি হলের গেট বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তাদের মিছিলে যেতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের সম্পৃক্ত থাকার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক দায় অস্বীকার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, 'ছাত্রলীগ যখন কেন্দ্রঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তখন তাদের কোনো বক্তব্য থাকে না, অথচ যখন অপকর্ম করে তখন এর দায় অস্বীকার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ছড়িয়ে দেওয়া। এর দায় সরকার ও ছাত্রলীগ কেউ এড়াতে পারে না।'
No comments