মুুক্তিযোদ্ধা ৩: ১ মোহামেডান-এবারও গ্রুপেই ছুটি মোহামেডানের
গিরিশৃঙ্গ থেকে খাদে পড়ার অভিজ্ঞতা মোহামেডানের কম হয়নি। কিন্তু মৌসুমসূচক ফেডারেশন কাপের গ্রুপ থেকে বিদায়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা গতবারই ছিল প্রথম। এবার নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফেডারেশন কাপের গ্রুপ থেকেই ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের ছুটি! কাল পড়ন্ত বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম উত্তপ্ত হয়ে উঠল মোহামেডানের পরাজয়ে। মুক্তিযোদ্ধার কাছে ৩-১ হারের পর মোহামেডানের উত্তেজিত সমর্থকেরা প্রচুর হইচই করল। সমর্থকদের গালাগাল-বৃষ্টির মধ্যে ভিআইপি বক্সে নিজেদের মধ্যে প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন দলটির কয়েকজন সাবেক তারকা!
দল নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত। কারও কারও ক্ষোভ কর্মকর্তাদের বিপক্ষে। এটা ঠিক, মোহামেডানের স্থানীয় খেলোয়াড় সংগ্রহ গতবারের চেয়ে ভালো। এবার ভালো মানের বিদেশি খেলোয়াড় আনার কথা বলেছিলেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু কোচ এমেকা ইউজিগোর মাধ্যমে কম খরচে যাঁদের আনা হয়েছে, স্ট্রাইকার উইলকক্সই যা একটু মানসম্মত।
এই উইলকক্সই ৩-০ স্কোরলাইনকে ৩-১ করেছেন ৭০ মিনিটে। ততক্ষণে ম্যাচ মুুক্তিযোদ্ধার মুঠোয়। এটি ছিল তিন ম্যাচে মোহামেডানের প্রথম গোল এবং একমাত্র সান্ত্বনা।
চোটের কারণে অভিজ্ঞ রজনী, মতিউর মুন্না ছিলেন না। তার পরও প্রথম গোলটা খাওয়ার আগ পর্যন্ত ভালোই খেলছিল মোহামেডান। গোটা দুই গোল বের করে নেওয়া উচিত ছিল প্রথম ৩০ মিনিটেই। কিন্তু মোহামেডান পারেনি। শক্তিতে এগিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সুযোগ কাজে লাগাল ঠিকই। গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে তারা উঠে গেল শেষ আটে।
তুলনায় মোহামেডানের পরিসংখ্যানটা খুবই রুগ্ণ। তিন ম্যাচে দুই পরাজয়, এক ড্র। বিজেএমসির সঙ্গে ড্র, পরের ম্যাচে অখ্যাত কক্স সিটির কাছে ১-০ হার! এই কক্স সিটিই মুক্তিযোদ্ধার কাছে ১০ গোল এবং কাল বিজেএমসির কাছে ছয় গোল খেয়েছে!
মোহামেডান স্ট্রাইকাররা লক্ষ্যভেদ করতে জানেন না। কক্স সিটি ম্যাচে তাঁরা প্রতিপক্ষের পোস্টে লক্ষ্যহীন শট নিয়েছেন কুড়িটিরও বেশি। লক্ষ্যে ছিল মাত্র গোটা চারেক। কাল ‘জিততেই হবে’ ম্যাচে অন্তত ১০-১২টি শট ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। মুক্তিযোদ্ধার মতো দলের বিপক্ষে সুযোগ নষ্ট করার মূল্যই দিয়েছে এমেকার দল।
গত লিগে মোহামেডানের নায়ক ছিলেন নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার সানডে, এবার মোহামেডান তাঁকে দলে নেয়নি। সানডে তাই বাড়তি কিছু করার সুযোগ খুঁজছিলেন। ৩৬ মিনিটে আসে সুযোগ। সানডের গোলমুখে ফেলা বল কোনো রকমে সতীর্থ স্ট্রাইকার এমিলির গায়ে লেগে মোহামেডানের পোস্টে লেগে জালে। গোলটা এমিলিরই।
৫৬ মিনিটে ২-০ করেছেন মাত্রই দুই মিনিট আগে এমিলির বদলি হিসেবে মাঠে নামা মিঠুন। ৬৫ মিনিটে সানডের দুর্দান্ত শটে তৃতীয় গোল পায় মুক্তিযোদ্ধা।
৩-১ জয়। মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলাম খুশি। মোহামেডান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এবার, মুক্তিযোদ্ধার কোচ হয়ে প্রতিশোধ নিলেন? ‘প্রতিপক্ষ কে, সেটা দেখিনি। জয়ের জন্য যা দরকার, সেটিই আমরা করেছি’—শফিকুলের কথাগুলো প্রায় হারিয়েই গেল মোহামেডান-সমর্থকদের ক্ষোভের আগুনে।
এই উইলকক্সই ৩-০ স্কোরলাইনকে ৩-১ করেছেন ৭০ মিনিটে। ততক্ষণে ম্যাচ মুুক্তিযোদ্ধার মুঠোয়। এটি ছিল তিন ম্যাচে মোহামেডানের প্রথম গোল এবং একমাত্র সান্ত্বনা।
চোটের কারণে অভিজ্ঞ রজনী, মতিউর মুন্না ছিলেন না। তার পরও প্রথম গোলটা খাওয়ার আগ পর্যন্ত ভালোই খেলছিল মোহামেডান। গোটা দুই গোল বের করে নেওয়া উচিত ছিল প্রথম ৩০ মিনিটেই। কিন্তু মোহামেডান পারেনি। শক্তিতে এগিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সুযোগ কাজে লাগাল ঠিকই। গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে তারা উঠে গেল শেষ আটে।
তুলনায় মোহামেডানের পরিসংখ্যানটা খুবই রুগ্ণ। তিন ম্যাচে দুই পরাজয়, এক ড্র। বিজেএমসির সঙ্গে ড্র, পরের ম্যাচে অখ্যাত কক্স সিটির কাছে ১-০ হার! এই কক্স সিটিই মুক্তিযোদ্ধার কাছে ১০ গোল এবং কাল বিজেএমসির কাছে ছয় গোল খেয়েছে!
মোহামেডান স্ট্রাইকাররা লক্ষ্যভেদ করতে জানেন না। কক্স সিটি ম্যাচে তাঁরা প্রতিপক্ষের পোস্টে লক্ষ্যহীন শট নিয়েছেন কুড়িটিরও বেশি। লক্ষ্যে ছিল মাত্র গোটা চারেক। কাল ‘জিততেই হবে’ ম্যাচে অন্তত ১০-১২টি শট ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। মুক্তিযোদ্ধার মতো দলের বিপক্ষে সুযোগ নষ্ট করার মূল্যই দিয়েছে এমেকার দল।
গত লিগে মোহামেডানের নায়ক ছিলেন নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার সানডে, এবার মোহামেডান তাঁকে দলে নেয়নি। সানডে তাই বাড়তি কিছু করার সুযোগ খুঁজছিলেন। ৩৬ মিনিটে আসে সুযোগ। সানডের গোলমুখে ফেলা বল কোনো রকমে সতীর্থ স্ট্রাইকার এমিলির গায়ে লেগে মোহামেডানের পোস্টে লেগে জালে। গোলটা এমিলিরই।
৫৬ মিনিটে ২-০ করেছেন মাত্রই দুই মিনিট আগে এমিলির বদলি হিসেবে মাঠে নামা মিঠুন। ৬৫ মিনিটে সানডের দুর্দান্ত শটে তৃতীয় গোল পায় মুক্তিযোদ্ধা।
৩-১ জয়। মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলাম খুশি। মোহামেডান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এবার, মুক্তিযোদ্ধার কোচ হয়ে প্রতিশোধ নিলেন? ‘প্রতিপক্ষ কে, সেটা দেখিনি। জয়ের জন্য যা দরকার, সেটিই আমরা করেছি’—শফিকুলের কথাগুলো প্রায় হারিয়েই গেল মোহামেডান-সমর্থকদের ক্ষোভের আগুনে।
No comments