পুলিশের আইডল বাবুল আক্তার by জয়দেব দাশ

র্মরত অবস্থায় বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহে মূল্যায়িত করা হয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের। দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)। এ বাহিনীর সবচেয়ে চৌকস, কর্মদক্ষ ও মেধাবী সদস্যই পান এ পদক। নিজের কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতায় সেই পদক পরপর তিনবারই লাভ করেছেন বাবুল আক্তার। বাবুল আক্তার বর্তমানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)। তার কর্মস্থল চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে।


অপরাধ দমনে ধারাবাহিক সাফল্য এবং কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এএসপি বাবুল আক্তার এ বছর লাভ করেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম। এর আগের দু'বছর তিনি লাভ করেন রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)। পাঁচ বছরের চাকরি জীবনে তার তিনবার পদক পাওয়া পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে একটি মাইলফলক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক নেন বাবুল আক্তার। তার সঙ্গে আরও দুই পুলিশ সদস্য মরণোত্তর পদক পেয়েছেন। ওই দুই কর্মকর্তা হলেন ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান এবং অন্যজন বরিশালের এপিবিএন সদস্য মামুনুর রশিদ। সম্প্রতি চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন ঘটনার জন্ম দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করলেও ব্যতিক্রম ছিলেন বাবুল আক্তার। দায়িত্ব পালনের জন্য স্থান নয়, ব্যক্তি-মানসিকতাই গুরুত্বপূর্ণ_ সেটিই প্রমাণ করেছেন তিনি। তাই হাটহাজারীর মানুষের কাছে জনপ্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল। অতি কৌশলী অপরাধীও বাবুল আক্তারের চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি। নারীবেশী পুরুষ চোর রোকসানা ওরফে কবীরসহ তার হাতে ধরা পড়েছে দুইশ'র বেশি চোর, ডাকাত, খুনি, অটোরিকশা চোর, ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তরা। গত বছর বছর হাটহাজারীতে দুর্ধর্ষ ১১ ডাকাত গ্রেফতার ও অসংখ্য অস্ত্র উদ্ধার করেন এই সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা।
বিপিএম পদক লাভের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বাবুল আক্তার বলেন, 'পুরস্কারের জন্য কাজ করি না। তবে কাজ করে পুরস্কার পেলে দায়িত্ব ও কাজের প্রতি আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।'

No comments

Powered by Blogger.