অঁরি-রূপকথার দ্বিতীয় পর্ব
ঠিক যেন রূপকথার দ্বিতীয় পর্বের শুরু! সেই মাঠ, গায়ে সেই জার্সি, গ্যালারিতে সমর্থকদের গগনবিদারি চিৎকার, সেই একই রকম গোল উদ্যাপন—সবকিছুই মিলেছিল এক বিন্দুতে। হ্যাঁ, সাড়ে চার বছর আগে যেখানে শেষ করেছিলেন, আর্সেনালে দ্বিতীয় অধ্যায়টা থিয়েরি অঁরি শুরু করলেন সেখান থেকেই। আর্সেনালের জার্সি পরে দ্বিতীয় অভিষেকেই করলেন গোল। সেটাও মাঠে নামার ১১ মিনিটের মধ্যেই।
আর এই গোলই পরশু রাতে এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে লিডসের বিপক্ষে জেতাল আর্সেনালকে। চতুর্থ রাউন্ডে নিজেদের মাঠেই অ্যাস্টন ভিলার মুখোমুখি তাই গানাররা। অঁরি আরেকটি রূপকথাই তো লিখলেন। জয়সূচক গোলের মাধ্যমে অঁরির আবেগময় প্রত্যাবর্তনকে আর্সেন ওয়েঙ্গার বর্ণনা করেছেন ‘স্বপ্নের মতো’। আর অঁরি বলছেন, ‘এটা ব্যাখ্যা করে বোঝানো যাবে না। মেক্সিকোতে ছুটি কাটিয়ে আমি মাত্রই ১৫ দিন আগে ফিরেছি। আমি কখনোই ভাবিনি, আবার আর্সেনালের হয়ে খেলব এবং জয়সূচক গোল করব। গোল করার সময় আমার অনুভূতি ছিল বিস্ময়কর।’
অঁরি খেলবেন, এই ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন ওয়েঙ্গার। আর্সেনাল সমর্থকেরাও তাই প্রিয় তারকাকে নতুন করে বরণের প্রস্তুতি নিয়েই হাজির হয়েছিল এমিরেটসের গ্যালারিতে। হাতে শুভেচ্ছাবার্তা লেখা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, অঁরি-অঁরি চিৎকারে গলা ফাটানো বাদ যাচ্ছিল না কিছুই। কিন্তু রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা অঁরি যে মাঠেই নামছিলেন না!
এদিকে সময় দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকলেও আর্সেনাল গোল পাচ্ছিল না। প্রতিপক্ষ লিডস চ্যাম্পিয়নশিপের দল বলেই হয়তো আর্সেনাল কোচ দলের মূল স্ট্রাইকার অধিনায়ক রবিন ফন পার্সিকে ছুটি দিয়েছিলেন। পার্সির জায়গায় ওয়েঙ্গার খেলান মারুয়ানে চামাখকে। তবু গোলের দেখা নেই। অবশেষে এল সেই মুহূর্ত। ৬৮ মিনিটে অঁরিকে মাঠে নামালেন ওয়েঙ্গার। ম্যাচের কথা ভুলে সমর্থকেরা তখন মেতে উঠেছে অঁরি-বরণ উৎসবে। খেলোয়াড়টি অঁরি বলে তারা হয়তো জেনেই গিয়েছিল, গোল আসছে!
না, সমর্থকদের ধৈর্যের পরীক্ষাটা বেশি সময় নেননি দুই মাসের জন্য ধারে খেলতে আসা ফরাসি তারকা। অ্যালেক্স সংয়ের পাস থেকে ৭৯ মিনিটেই দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে করে বসেন গোল, যেন সেই মধ্য গগনের অঁরি।
২০০৭ সালে আর্সেনালে নিজের স্বপ্নের এক অধ্যায়ে যতি বসিয়ে অঁরি যোগ দেন বার্সেলোনায়। তার আগেই গড়েন আর্সেনালের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২৬ গোলের রেকর্ড। দ্বিতীয় অভিষেকে গোল করে সংখ্যাটাকে অঁরি নিয়ে গেলেন ২২৭-এ। অঁরির কথা, ‘আমি আজকের রাতটিকে মনে রাখব সর্বক্ষণ।’ আর ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘সে তো এমনিতেই এখানকার কিংবদন্তি। গোটা রূপকথায় সে আরেকটু রং চড়াল।’ এএফপি।
অঁরি খেলবেন, এই ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন ওয়েঙ্গার। আর্সেনাল সমর্থকেরাও তাই প্রিয় তারকাকে নতুন করে বরণের প্রস্তুতি নিয়েই হাজির হয়েছিল এমিরেটসের গ্যালারিতে। হাতে শুভেচ্ছাবার্তা লেখা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, অঁরি-অঁরি চিৎকারে গলা ফাটানো বাদ যাচ্ছিল না কিছুই। কিন্তু রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা অঁরি যে মাঠেই নামছিলেন না!
এদিকে সময় দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকলেও আর্সেনাল গোল পাচ্ছিল না। প্রতিপক্ষ লিডস চ্যাম্পিয়নশিপের দল বলেই হয়তো আর্সেনাল কোচ দলের মূল স্ট্রাইকার অধিনায়ক রবিন ফন পার্সিকে ছুটি দিয়েছিলেন। পার্সির জায়গায় ওয়েঙ্গার খেলান মারুয়ানে চামাখকে। তবু গোলের দেখা নেই। অবশেষে এল সেই মুহূর্ত। ৬৮ মিনিটে অঁরিকে মাঠে নামালেন ওয়েঙ্গার। ম্যাচের কথা ভুলে সমর্থকেরা তখন মেতে উঠেছে অঁরি-বরণ উৎসবে। খেলোয়াড়টি অঁরি বলে তারা হয়তো জেনেই গিয়েছিল, গোল আসছে!
না, সমর্থকদের ধৈর্যের পরীক্ষাটা বেশি সময় নেননি দুই মাসের জন্য ধারে খেলতে আসা ফরাসি তারকা। অ্যালেক্স সংয়ের পাস থেকে ৭৯ মিনিটেই দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে করে বসেন গোল, যেন সেই মধ্য গগনের অঁরি।
২০০৭ সালে আর্সেনালে নিজের স্বপ্নের এক অধ্যায়ে যতি বসিয়ে অঁরি যোগ দেন বার্সেলোনায়। তার আগেই গড়েন আর্সেনালের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২৬ গোলের রেকর্ড। দ্বিতীয় অভিষেকে গোল করে সংখ্যাটাকে অঁরি নিয়ে গেলেন ২২৭-এ। অঁরির কথা, ‘আমি আজকের রাতটিকে মনে রাখব সর্বক্ষণ।’ আর ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘সে তো এমনিতেই এখানকার কিংবদন্তি। গোটা রূপকথায় সে আরেকটু রং চড়াল।’ এএফপি।
No comments