পাটালি গুড়ে ভেজাল
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরে দুটি কারখানায় খেজুরের রসের ভেজাল গুড় তৈরি হচ্ছে। বন্দরের অসাধু ব্যবসায়ীরা শীত মৌসুম সামনে রেখে এক-দেড় মাস আগে থেকে এ কারখানা চালু করেছেন। ক্রেতা, স্থানীয় লোকজন, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাহা এন্টারপ্রাইজের মালিক দিলীপ সাহা ও মেসার্স অরুণ সাহা টরকী বন্দরে পাটালি গুড় তৈরির কারখানা চালু করেন।
এ কারখানায় তৈরি ও মজুদ আছে কয়েক লাখ টাকার ভেজাল পাটালি গুড়। গত বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও ২০ মণ গুড় জব্দ করে কারখানা বন্ধ করে দেন। এখন ওই কারখানাতেই আবার ভেজাল পাটালি গুড় তৈরি হচ্ছে।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, কারখানার ভেতরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে আট-দশজন কারিগর (শ্রমিক) গুড় তৈরি করছেন। এক পাশে ঢাকনাবিহীন দুটি হাউসের মধ্যে রয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত ঝোলা গুড়। হাউসে পিঁপড়া, মশা-মাছি, তেলাপোকা অবাধে বিচরণ করছে। শ্রমিক রণজিৎ সরকার (৪০) বলেন, ‘এগুলো দিয়েই তো পাটালি গুড় তৈরি করা হয়। ৬০ কেজি চিনি, ১৫ কেজি ময়দা, ১০ কেজি ঝোলা গুড় (দুর্গন্ধযুক্ত) ও ১০ কেজি চিটা গুড়, পাঁচ কেজি খেজুরের গুড় মিশিয়ে তাফালে (বড় কড়াইতে) জাল দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫০০ গ্রাম সালফেট, কিছু হাইড্রোজ ও বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হয় আকর্ষণীয় রঙের খেজুরের পাটালি গুড়।’ একই ধরনের কথা জানান শ্রমিক আবুল হোসেন (৩৫)।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার কর্মরত একাধিক কারিগর জানান, ১০০ কেজি পাটালি গুড় তৈরি করতে পাঁচ হাজার ২০০ টাকার মতো খরচ হয়। এতে প্রতি কেজি পাটালি গুড় তৈরিতে খরচ পড়ে প্রায় ৫২ টাকা। আর পাইকারি বিক্রি করা হয় ৭০ থেকে ৭২ টাকা।
স্থানীয় লাখেরাজ কসবা গ্রামের মো. লিয়াকত হোসেন (৫০) ও দক্ষিণ বিজয়পুর গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীন (৫৫) জানান, অসাধু ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ভেজাল গুড় তৈরি ও বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের এক গুড়ের আড়তদার বলেন, ‘টরকী থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে আড়াই শ মণ ভেজাল পাটালি গুড় সরবরাহ করা হয়। এসব গুড়ের রং এতই আকর্ষণীয় যে, সহজেই ক্রেতাদের মন কাড়ে। অথচ এ অঞ্চলে শীতের মৌসুমে খেজুরের রস নেই বললেই চলে।’
গুড় কারখানার মালিক দিলীপ সাহা ও অরুণ সাহা বলেন, ‘গুড়ের চকচকে রং ধারণের জন্য সালফেট মেশানো হয় এ কথা সত্য, কিন্তু বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানোর কথা ঠিক না। তবে ভেজাল নয়, কারখানায় আমাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের আসল গুড়ই তৈরি করা হয়।’
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ গাইন বলেন, খাদ্যজাতীয় দ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিক ও সালফেট ব্যবহার করলে শরীরে নানা জটিল রোগের সৃষ্টি করে। এগুলো মানবদেহের কিডনি ও লিভারের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আবার ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, কারখানার ভেতরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে আট-দশজন কারিগর (শ্রমিক) গুড় তৈরি করছেন। এক পাশে ঢাকনাবিহীন দুটি হাউসের মধ্যে রয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত ঝোলা গুড়। হাউসে পিঁপড়া, মশা-মাছি, তেলাপোকা অবাধে বিচরণ করছে। শ্রমিক রণজিৎ সরকার (৪০) বলেন, ‘এগুলো দিয়েই তো পাটালি গুড় তৈরি করা হয়। ৬০ কেজি চিনি, ১৫ কেজি ময়দা, ১০ কেজি ঝোলা গুড় (দুর্গন্ধযুক্ত) ও ১০ কেজি চিটা গুড়, পাঁচ কেজি খেজুরের গুড় মিশিয়ে তাফালে (বড় কড়াইতে) জাল দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫০০ গ্রাম সালফেট, কিছু হাইড্রোজ ও বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হয় আকর্ষণীয় রঙের খেজুরের পাটালি গুড়।’ একই ধরনের কথা জানান শ্রমিক আবুল হোসেন (৩৫)।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার কর্মরত একাধিক কারিগর জানান, ১০০ কেজি পাটালি গুড় তৈরি করতে পাঁচ হাজার ২০০ টাকার মতো খরচ হয়। এতে প্রতি কেজি পাটালি গুড় তৈরিতে খরচ পড়ে প্রায় ৫২ টাকা। আর পাইকারি বিক্রি করা হয় ৭০ থেকে ৭২ টাকা।
স্থানীয় লাখেরাজ কসবা গ্রামের মো. লিয়াকত হোসেন (৫০) ও দক্ষিণ বিজয়পুর গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীন (৫৫) জানান, অসাধু ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ভেজাল গুড় তৈরি ও বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের এক গুড়ের আড়তদার বলেন, ‘টরকী থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে আড়াই শ মণ ভেজাল পাটালি গুড় সরবরাহ করা হয়। এসব গুড়ের রং এতই আকর্ষণীয় যে, সহজেই ক্রেতাদের মন কাড়ে। অথচ এ অঞ্চলে শীতের মৌসুমে খেজুরের রস নেই বললেই চলে।’
গুড় কারখানার মালিক দিলীপ সাহা ও অরুণ সাহা বলেন, ‘গুড়ের চকচকে রং ধারণের জন্য সালফেট মেশানো হয় এ কথা সত্য, কিন্তু বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানোর কথা ঠিক না। তবে ভেজাল নয়, কারখানায় আমাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের আসল গুড়ই তৈরি করা হয়।’
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ গাইন বলেন, খাদ্যজাতীয় দ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিক ও সালফেট ব্যবহার করলে শরীরে নানা জটিল রোগের সৃষ্টি করে। এগুলো মানবদেহের কিডনি ও লিভারের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আবার ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments