জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষার্থী ও প্রশাসন মুখোমুখি আজ থেকে ধর্মঘট
উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে আজ বুধবার থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ‘শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে’ ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হলে এবং এর কারণে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
উন্নয়ন ফি বাতিল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭(৪) ধারা বাতিলের দাবিতে ছয় দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তাঁরা।
একপর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে প্রক্টর কামালউদ্দীন আহমেদ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এর পরও আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন।
বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সমাবেশ থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।
সমাবেশে আন্দোলনকারীরা বলেন, উন্নয়ন ফির কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছেন না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী এখন আর উন্নয়ন ফি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দুই বছর আগেই তা শেষ হয়ে গেছে।
সূত্র জানায়, বেলা আড়াইটার পর উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদ নিজ কার্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি উন্নয়ন ফি নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অরুণ কুমার গোস্বামী প্রথম আলোকে বলেন, আইন মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে ‘উন্নয়ন ফি’ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুস্পষ্ট বক্তব্য ইতিমধ্যে আন্দোলনকারীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। কেউ বাধা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে আজ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গতকাল বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অর্থ-সহায়তা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে দাপ্তরিক আদেশ জারি করা হয়েছে।
সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ: শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গতকাল বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়। এতে অভিযোগ করা হয়, উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে কয়েক দিন ধরে প্রগতিশীল ছাত্রজোটসহ বহিরাগত কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন। তাঁরা ক্লাস থেকে জোর করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল-মিটিংয়ে নিয়ে আসছেন।
প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য: গতকাল প্রথম আলোয় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার বেপরোয়া ছাত্রলীগ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রশাসন। প্রতিবেদনে ছাত্রলীগ সম্পর্কে উপাচার্যের বক্তব্য মিথ্যা, অমূলক ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে উপাচার্য এ ধরনের বক্তব্য দেননি বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে প্রতিবেদক উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করে কথা বলেছেন। উপাচার্য অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে সংবাদ-সংশ্লিষ্ট বক্তব্যটুকু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তাঁরা।
একপর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে প্রক্টর কামালউদ্দীন আহমেদ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এর পরও আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন।
বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সমাবেশ থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।
সমাবেশে আন্দোলনকারীরা বলেন, উন্নয়ন ফির কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছেন না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী এখন আর উন্নয়ন ফি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দুই বছর আগেই তা শেষ হয়ে গেছে।
সূত্র জানায়, বেলা আড়াইটার পর উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদ নিজ কার্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি উন্নয়ন ফি নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অরুণ কুমার গোস্বামী প্রথম আলোকে বলেন, আইন মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে ‘উন্নয়ন ফি’ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুস্পষ্ট বক্তব্য ইতিমধ্যে আন্দোলনকারীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। কেউ বাধা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে আজ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গতকাল বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অর্থ-সহায়তা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে দাপ্তরিক আদেশ জারি করা হয়েছে।
সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ: শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গতকাল বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়। এতে অভিযোগ করা হয়, উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে কয়েক দিন ধরে প্রগতিশীল ছাত্রজোটসহ বহিরাগত কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন। তাঁরা ক্লাস থেকে জোর করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল-মিটিংয়ে নিয়ে আসছেন।
প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য: গতকাল প্রথম আলোয় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার বেপরোয়া ছাত্রলীগ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রশাসন। প্রতিবেদনে ছাত্রলীগ সম্পর্কে উপাচার্যের বক্তব্য মিথ্যা, অমূলক ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে উপাচার্য এ ধরনের বক্তব্য দেননি বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে প্রতিবেদক উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করে কথা বলেছেন। উপাচার্য অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে সংবাদ-সংশ্লিষ্ট বক্তব্যটুকু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
No comments