ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার
সুস্থতার জন্য প্রয়োজন ঘুম। ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি, পরিশ্রম দূর করে সতেজ করে তোলে। চাঙ্গা হয় দেহমন। ঘুম ঠিকমতো না হলে সারাদিন কাটে অসহ্য ক্লান্তিতে, মেজাজ হয় খিটখিটে। যাদের রাত কাটে নিদ্রাহীনতায়, কেবল তারাই বোঝেন এর যন্ত্রণা। অনিদ্রার ফলে মানসিক ও শারীরিকভাবে দ্রুত ভেঙে পড়ে। আবার অতিরিক্ত ঘুমও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন ড. হুমায়ূন কবীর হিমু ষ অনেকেই বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করেন। কয়েকবার ঘুম থেকে জেগে যান। অনেকের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও মনে হয় ঘুম ভালো হয়নি। তারাই নিদ্রাহীনতায় আক্রান্ত।
ষ আবার কেউবা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন স্বল্প সময়ের জন্য। রাতের পর রাত কাটে নির্ঘুম। ফলে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা।
ষ বিভিন্ন কারণে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। ক্যান্সার, হাঁপানি, আর্থ্রাইটিস, মানসিক চাপ, অবসাদ, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ অনিদ্রা বাড়ায়।
ষ রাতের খাবার শোয়ার ২-৩ ঘণ্টা আগেই শেষ করুন। ডিনারে পরিহার করুন রিচ ফুড ও চর্বি জাতীয় খাবার। অবশ্য ঘুমানোর আগে হালকা স্ন্যাকস ঘুম ভালো করে।
ষ রাতে ঘুমের আগে চা-কফি পান না করাই ভালো।
এ ছাড়া সিগারেটের নিকোটিন মস্তিষ্ককে উদীপ্ত
করে নিদ্রাহীনতার কারণ হতে পারে। মদ ঘুম
তাড়ায়।
ষ পরিবর্তন করতে হবে ঘুমের অভ্যাস, মেনে চলতে হবে নিয়ম-কানুন। দিনের ঘুম রাতের ঘুমকে ব্যাহত করে। দিনে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে বাদ দিন।
ষ যারা স্বল্প সময়ের জন্য নিদ্রাহীনতায় ভোগেন তাদের সমস্যা মিটে যেতে পারে আপনা আপনি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি নিদ্রাহীনতার জন্য প্রয়োজন চিকিৎসা।
ষ ঘুমের আগে জটিল কোনো আলোচনা থেকে বিরত থাকুন। রাতে কম্পিউটার ব্যবহার, ইন্টারনেটে বসে চ্যাট, টিভি দেখার অভ্যাস দূর করুন।
ষ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান, এমনকি ছুটির দিনেও। ঘুমানোর আগে পড়তে পারেন বই।
ষ ব্যায়াম ঘুম গাঢ় করে। কমপক্ষে ঘুমানোর ৫-৬ ঘণ্টা আগে ব্যায়াম শেষ করুন। ঘুম না এলে বিছানায় শুধু শুয়ে থাকবেন না। বিছানা থেকে উঠে কম মনোযোগ দিতে হয় এমন কাজ যেমন_ হাঁটাহাঁটি ও মৃদু বাজনার গান শুনতে পারেন।
ষ কোনো দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুমাবেন না। সমস্যার সমাধান করে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ূন।
ষ ঘুম না এলে করতে পারেন রিলাক্সেশন টেকনিক। শুয়ে বুক ভরে শ্বাস নিন। প্রতিবারের শ্বাস হতে হবে আগেরবারের চেয়ে গাঢ়।
ষ পায়ের মাংসপেশিগুলো টানটান করে কিছুক্ষণ ধরে রেখে আগের অবস্থায় নিয়ে আসুন। এভাবে প্রতিটি মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ করতে পারেন।
ষ ঘুমানোর আগে ভাবতে থাকুন কোনো সুখস্মৃতি।
ষ দিনের বেলা ঘুমাবেন না। দুপুরে খাওয়ার পর লম্বা সময় ঘুমানো শরীরের জন্য ক্ষতিকর, আবার এর ফলে রাতেও ঘুম আসতে চায় না।
ষ ঘুমানোর স্থান ও পরিবেশকে ঘুমের উপযোগী হতে হবে। আরামদায়ক বিছানা ও শান্ত পরিবেশে ঘুম আসে দ্রুত।
ষ অনেকেই আছেন একটু ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলেই শুরু করেন ঘুমের ওষুধ সেবন। এটা একেবারেই উচিত নয়। ঘুমের ওষুধ সেবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব ওষুধের আছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। একসময় এমন অবস্থা দেখা দেয়, ওষুধ সেবন ছাড়া ঘুম আসেই না। শুধু তা-ই নয়, ওষুধের ডোজও বাড়াতে হয়। ঘুমের ওষুধ থেকে সাবধান।
ষ দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারেন ওষুধ।
লেখা : পারভীন নীলা
ষ আবার কেউবা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন স্বল্প সময়ের জন্য। রাতের পর রাত কাটে নির্ঘুম। ফলে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা।
ষ বিভিন্ন কারণে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। ক্যান্সার, হাঁপানি, আর্থ্রাইটিস, মানসিক চাপ, অবসাদ, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ অনিদ্রা বাড়ায়।
ষ রাতের খাবার শোয়ার ২-৩ ঘণ্টা আগেই শেষ করুন। ডিনারে পরিহার করুন রিচ ফুড ও চর্বি জাতীয় খাবার। অবশ্য ঘুমানোর আগে হালকা স্ন্যাকস ঘুম ভালো করে।
ষ রাতে ঘুমের আগে চা-কফি পান না করাই ভালো।
এ ছাড়া সিগারেটের নিকোটিন মস্তিষ্ককে উদীপ্ত
করে নিদ্রাহীনতার কারণ হতে পারে। মদ ঘুম
তাড়ায়।
ষ পরিবর্তন করতে হবে ঘুমের অভ্যাস, মেনে চলতে হবে নিয়ম-কানুন। দিনের ঘুম রাতের ঘুমকে ব্যাহত করে। দিনে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে বাদ দিন।
ষ যারা স্বল্প সময়ের জন্য নিদ্রাহীনতায় ভোগেন তাদের সমস্যা মিটে যেতে পারে আপনা আপনি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি নিদ্রাহীনতার জন্য প্রয়োজন চিকিৎসা।
ষ ঘুমের আগে জটিল কোনো আলোচনা থেকে বিরত থাকুন। রাতে কম্পিউটার ব্যবহার, ইন্টারনেটে বসে চ্যাট, টিভি দেখার অভ্যাস দূর করুন।
ষ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান, এমনকি ছুটির দিনেও। ঘুমানোর আগে পড়তে পারেন বই।
ষ ব্যায়াম ঘুম গাঢ় করে। কমপক্ষে ঘুমানোর ৫-৬ ঘণ্টা আগে ব্যায়াম শেষ করুন। ঘুম না এলে বিছানায় শুধু শুয়ে থাকবেন না। বিছানা থেকে উঠে কম মনোযোগ দিতে হয় এমন কাজ যেমন_ হাঁটাহাঁটি ও মৃদু বাজনার গান শুনতে পারেন।
ষ কোনো দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুমাবেন না। সমস্যার সমাধান করে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ূন।
ষ ঘুম না এলে করতে পারেন রিলাক্সেশন টেকনিক। শুয়ে বুক ভরে শ্বাস নিন। প্রতিবারের শ্বাস হতে হবে আগেরবারের চেয়ে গাঢ়।
ষ পায়ের মাংসপেশিগুলো টানটান করে কিছুক্ষণ ধরে রেখে আগের অবস্থায় নিয়ে আসুন। এভাবে প্রতিটি মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ করতে পারেন।
ষ ঘুমানোর আগে ভাবতে থাকুন কোনো সুখস্মৃতি।
ষ দিনের বেলা ঘুমাবেন না। দুপুরে খাওয়ার পর লম্বা সময় ঘুমানো শরীরের জন্য ক্ষতিকর, আবার এর ফলে রাতেও ঘুম আসতে চায় না।
ষ ঘুমানোর স্থান ও পরিবেশকে ঘুমের উপযোগী হতে হবে। আরামদায়ক বিছানা ও শান্ত পরিবেশে ঘুম আসে দ্রুত।
ষ অনেকেই আছেন একটু ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলেই শুরু করেন ঘুমের ওষুধ সেবন। এটা একেবারেই উচিত নয়। ঘুমের ওষুধ সেবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব ওষুধের আছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। একসময় এমন অবস্থা দেখা দেয়, ওষুধ সেবন ছাড়া ঘুম আসেই না। শুধু তা-ই নয়, ওষুধের ডোজও বাড়াতে হয়। ঘুমের ওষুধ থেকে সাবধান।
ষ দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারেন ওষুধ।
লেখা : পারভীন নীলা
No comments