লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার যাচ্ছে কোথায় by আতাউর রহমান
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুয়েলারি দোকান ও বাসাবাড়ি থেকে লুট করা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সফলতা নেই। ডাকাত চক্রের সদস্যরা গ্রেফতার হলেও লুট হওয়া অলঙ্কার আড়ালেই থেকে যায়। দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ব্যবসায়ীসহ স্বর্ণালঙ্কারের মালিকরা এসব ফিরে পান না। উদ্ধার হয়নি জানিয়ে এ সংক্রান্ত মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার ফলে শেষ পর্যন্ত মামলাগুলো আদালতে টেকে না।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায়ই স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাজধানীতে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা স্বর্ণ ডাকাতি চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করলেও তারা জামিনে বের হয়ে আবারও ডাকাতিতে জড়াচ্ছে। কেউ কেউ কারাবন্দি থেকে নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন কৌশলে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হচ্ছে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত ১০ বছরে রাজধানীনসহ সারাদেশে পাঁচ হাজার ভরির বেশি স্বর্ণ লুট হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৫-৬শ' ভরি স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় এক পর্যায়ে জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও লুণ্ঠিত মালের অধিকাংশই রহস্যজনক কারণে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্বর্ণের দোকানে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী নেই। অনেক দোকানে সিসিটিভিও নেই। কোনো অঘটন করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়। লুণ্ঠিত সামগ্রী উদ্ধার হলেও তা হাতে পেতে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির নেতারা জানান, ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে ৪৩টি জুয়েলারি দোকানে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৩৬টি, ময়মনসিংহে দুটি, চট্টগ্রামে দুটি, যশোরে একটি, কুষ্টিয়ায় একটি ও সিলেটে একটি জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। তবে ১০ বছরেও এসব স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার হয়নি। গত কয়েক বছরে রাজধানীর উত্তরায় মাসকট প্লাজা, মিরপুর সড়কে আমিন জুয়েলার্স, বনানীর নিউ হীরা জুয়েলার্স, মিরপুরের শাহআলী মার্কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালে গুলশানের নাভানা টাওয়ারে ভেনাস জুয়েলার্সের প্রায় তিন হাজার ভরি স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতি হয়। গত বছরের জুন মাসে রাজধানীর বনানীতে নিউ হীরা জুয়েলার্স থেকে প্রায় ১২শ' ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়। ২০১০ সালে মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের নিউ সানন্দা জুয়েলার্সের ২০০ ভরি এবং এর আগে ২০০৯ সালে লুট হয় গুলশানের আমিন জুয়েলার্সের বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ। ২০০৮ সালে মিরপুরের শাহআলী মার্কেটের দেওয়ান জুয়েলার্সের ৭০০ ভরি স্বর্ণ লুট হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের স্বর্ণতারা জুয়েলার্স, পিসি জুয়েলার্স, ময়মনসিংহের শিলা জুয়েলার্স, জনতা জুয়েলার্স, খুলনার জনপ্রিয় জুয়েলার্স, নিউ জুয়েলার্স এবং সিলেটের পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার স্বর্ণ জুয়েলার্সসহ বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও বিভিন্ন বাসাবাড়ি এমনকি রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন মন্দির ও বাসাবাড়ি থেকেও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার চুরি ও ডাকাতি হয়েছে। তবে এর খুব কম অংশই উদ্ধার হয়েছে। কিছু অংশ উদ্ধার হলেও স্বর্ণ নীতিমালা না থাকায় তা পেতে ব্যবসায়ীদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। লুট করেই অধিকাংশ সময় দুর্বৃত্তরা স্বর্ণ গলিয়ে ফেলে। এরপর প্রমাণ দিয়ে, তা হাতে পেতে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়।
তবে গোয়েন্দা সূত্রমতে, ডাকাত দলের সদস্যরা গ্রেফতারের পর জামিনে বের হয়ে রাজধানীতে একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। গত এক বছরে দেড় শতাধিক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাব। তাদের বেশির ভাগ এখন জামিনে থেকে ডাকাতি পেশায় নেমে পড়েছে। জামিনপ্রাপ্ত ডাকাতদের দিকে পুলিশের নজরদারি কম হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন সমকালকে জানান, লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কার মাঝে মধ্যে উদ্ধার হলেও তা ব্যবসায়ীরা পেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
র্যাবের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ডাকাতির ঘটনা জানার পরপরই র্যাব জড়িত চক্র ও লুণ্ঠিত মাল উদ্ধারের চেষ্টা করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হলেও লুণ্ঠিত মাল বেহাত হওয়ার ফলে অনেক সময় সবটা উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত ১০ বছরে রাজধানীনসহ সারাদেশে পাঁচ হাজার ভরির বেশি স্বর্ণ লুট হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৫-৬শ' ভরি স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় এক পর্যায়ে জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও লুণ্ঠিত মালের অধিকাংশই রহস্যজনক কারণে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্বর্ণের দোকানে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী নেই। অনেক দোকানে সিসিটিভিও নেই। কোনো অঘটন করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়। লুণ্ঠিত সামগ্রী উদ্ধার হলেও তা হাতে পেতে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির নেতারা জানান, ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে ৪৩টি জুয়েলারি দোকানে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৩৬টি, ময়মনসিংহে দুটি, চট্টগ্রামে দুটি, যশোরে একটি, কুষ্টিয়ায় একটি ও সিলেটে একটি জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। তবে ১০ বছরেও এসব স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার হয়নি। গত কয়েক বছরে রাজধানীর উত্তরায় মাসকট প্লাজা, মিরপুর সড়কে আমিন জুয়েলার্স, বনানীর নিউ হীরা জুয়েলার্স, মিরপুরের শাহআলী মার্কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালে গুলশানের নাভানা টাওয়ারে ভেনাস জুয়েলার্সের প্রায় তিন হাজার ভরি স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতি হয়। গত বছরের জুন মাসে রাজধানীর বনানীতে নিউ হীরা জুয়েলার্স থেকে প্রায় ১২শ' ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়। ২০১০ সালে মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের নিউ সানন্দা জুয়েলার্সের ২০০ ভরি এবং এর আগে ২০০৯ সালে লুট হয় গুলশানের আমিন জুয়েলার্সের বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ। ২০০৮ সালে মিরপুরের শাহআলী মার্কেটের দেওয়ান জুয়েলার্সের ৭০০ ভরি স্বর্ণ লুট হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের স্বর্ণতারা জুয়েলার্স, পিসি জুয়েলার্স, ময়মনসিংহের শিলা জুয়েলার্স, জনতা জুয়েলার্স, খুলনার জনপ্রিয় জুয়েলার্স, নিউ জুয়েলার্স এবং সিলেটের পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার স্বর্ণ জুয়েলার্সসহ বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও বিভিন্ন বাসাবাড়ি এমনকি রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন মন্দির ও বাসাবাড়ি থেকেও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার চুরি ও ডাকাতি হয়েছে। তবে এর খুব কম অংশই উদ্ধার হয়েছে। কিছু অংশ উদ্ধার হলেও স্বর্ণ নীতিমালা না থাকায় তা পেতে ব্যবসায়ীদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। লুট করেই অধিকাংশ সময় দুর্বৃত্তরা স্বর্ণ গলিয়ে ফেলে। এরপর প্রমাণ দিয়ে, তা হাতে পেতে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়।
তবে গোয়েন্দা সূত্রমতে, ডাকাত দলের সদস্যরা গ্রেফতারের পর জামিনে বের হয়ে রাজধানীতে একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। গত এক বছরে দেড় শতাধিক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাব। তাদের বেশির ভাগ এখন জামিনে থেকে ডাকাতি পেশায় নেমে পড়েছে। জামিনপ্রাপ্ত ডাকাতদের দিকে পুলিশের নজরদারি কম হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন সমকালকে জানান, লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কার মাঝে মধ্যে উদ্ধার হলেও তা ব্যবসায়ীরা পেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
র্যাবের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ডাকাতির ঘটনা জানার পরপরই র্যাব জড়িত চক্র ও লুণ্ঠিত মাল উদ্ধারের চেষ্টা করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হলেও লুণ্ঠিত মাল বেহাত হওয়ার ফলে অনেক সময় সবটা উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।
No comments