দশ হাজার এমপিওভুক্তির আবেদন বস্তাবন্দিঃ বেসরকারি শিক্ষা বিপর্যয়ের শিকার
শিক্ষা নিয়ে মহাজোট সরকারের ঘোষণার শেষ নেই। সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও বটে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা প্রসারে তার আগ্রহের কথা প্রায়ই বলে থাকেন। অথচ প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা সরকারি ঘোষণার বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেয় না।
গতকাল প্রকাশিত আমার দেশ-এর খবরে জানা যায়, ২০০৪ সালের পর থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তি (মান্থলি পে-অর্ডার) বন্ধ হয়ে আছে। জরুরি অবস্থার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দু’বছর ও বর্তমান সরকারের এক বছর সময়কালে এ নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে সারাদেশে কয়েক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চরম আর্থিক সঙ্কটে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় দেড় লাখ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়মিত বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্দশায় জীবন কাটাচ্ছেন। অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য চাকরি খুঁজে নিতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। চাঁদা তুলে শিক্ষক-কর্মচারীদের ধরে রাখাও প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। ফলে প্রতিষ্ঠাতা বিদ্যোত্সাহী ব্যক্তিবর্গ হতাশ হয়ে পড়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে।
মহাজোট সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি শুরু করবে এমন প্রচারণার ফলে সংশ্লিষ্ট সবাই গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠে। শুরু হয় আবেদন-নিবেদন। দীর্ঘদিন এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকায় অল্প দিনেই দশ হাজারেরও বেশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। সেগুলো এখন বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। এ নিয়ে জেলা-উপজেলায় দৌড়-ঝাঁপের শেষ নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার পাওয়ার পরও কার্যোদ্ধারের নিশ্চয়তা লাভে সরকারি দলের নেতা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দলবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেছনে দিনের পর দিন ধরনা দিতে হয়েছে। মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের কথাও গোপন নয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সবই আটকে গেছে। এখন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নীতিমালা প্রণয়নের পরই এমপিওভুক্তি শুরু হবে বলে জানা গেছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টাকে প্রধান করে গঠিত ১০ সদস্যবিশিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি ৯ মাসেও কাজ শেষ করতে না পারায় এখন চলছে অপেক্ষার পালা।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আগ্রহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন ফরমেটে আবেদন করতে হবে। আরও জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে বাজেটে এ জন্য বরাদ্দকৃত ১১২ কোটি টাকায় খুব বেশি হলে হাজার খানেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি সম্ভব হবে। নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়িত করতে গেলে এ সংখ্যা আরও কমে আসবে। অথচ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির জন্য ন্যূনতম ৪শ’ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ অবস্থায় শিক্ষা প্রসারে নতুন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা দূরে থাক অনেক চালু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই যে বিপর্যয়ের শিকার হবে এতে সন্দেহ নেই। আর যে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নিজ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আশায় মাসের পর মাস খেয়ে না খেয়ে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন তাদেরইবা কী হবে? সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের আনাচে কানাচে আরও কত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন তার সঠিক হিসাব জানা না থাকলেও এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশের অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। এ অবস্থায় দিনবদলের বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী বারবার শিক্ষা প্রসারের যে আহ্বান ও ঘোষণা দিচ্ছেন তার বাস্তবায়নের কী হবে সে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক।
মহাজোট সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি শুরু করবে এমন প্রচারণার ফলে সংশ্লিষ্ট সবাই গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠে। শুরু হয় আবেদন-নিবেদন। দীর্ঘদিন এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকায় অল্প দিনেই দশ হাজারেরও বেশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। সেগুলো এখন বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। এ নিয়ে জেলা-উপজেলায় দৌড়-ঝাঁপের শেষ নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার পাওয়ার পরও কার্যোদ্ধারের নিশ্চয়তা লাভে সরকারি দলের নেতা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দলবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেছনে দিনের পর দিন ধরনা দিতে হয়েছে। মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের কথাও গোপন নয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সবই আটকে গেছে। এখন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নীতিমালা প্রণয়নের পরই এমপিওভুক্তি শুরু হবে বলে জানা গেছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টাকে প্রধান করে গঠিত ১০ সদস্যবিশিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি ৯ মাসেও কাজ শেষ করতে না পারায় এখন চলছে অপেক্ষার পালা।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আগ্রহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন ফরমেটে আবেদন করতে হবে। আরও জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে বাজেটে এ জন্য বরাদ্দকৃত ১১২ কোটি টাকায় খুব বেশি হলে হাজার খানেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি সম্ভব হবে। নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়িত করতে গেলে এ সংখ্যা আরও কমে আসবে। অথচ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির জন্য ন্যূনতম ৪শ’ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ অবস্থায় শিক্ষা প্রসারে নতুন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা দূরে থাক অনেক চালু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই যে বিপর্যয়ের শিকার হবে এতে সন্দেহ নেই। আর যে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নিজ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আশায় মাসের পর মাস খেয়ে না খেয়ে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন তাদেরইবা কী হবে? সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের আনাচে কানাচে আরও কত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন তার সঠিক হিসাব জানা না থাকলেও এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশের অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। এ অবস্থায় দিনবদলের বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী বারবার শিক্ষা প্রসারের যে আহ্বান ও ঘোষণা দিচ্ছেন তার বাস্তবায়নের কী হবে সে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক।
No comments