জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল ও আমাদের নিরাপত্তা দর্শন-সমকালীন প্রসঙ্গ by এম আবদুল হাফিজ
আমাদের নিরাপত্তা হুমকির উৎস ভারত, পাকিস্তান বা মিয়ানমার নয় যদিও তাদের সঙ্গে আমাদের বিবাদ-বিভেদ ছিল বা এখনও আছে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের নিরাপত্তা হুমকির অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো শনাক্ত করে সেগুলোর বিহিত করতে পারি, তবে আমরা আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব না।
মনে রাখতে হবে, একটি বুলেট তা সীমান্তের ওপার থেকেই আসুক, নগরীর কোনো অন্ধগলিতে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীর অস্ত্র থেকেই বিক্ষিপ্ত হয়ে আসুক: দুটিই নিরাপত্তাহীনতার উৎস
যেকোনো নিরাপত্তা বিতর্কে এ দেশের জন্য একটি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন প্রস্তাবের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করে এসেছি। এক দশককাল নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে এ বিষয়ে আহরিত যৎসামান্য জ্ঞানের আলোকে আমার কাছে এমন প্রস্তাব প্রাসঙ্গিক মনে হয়নি। ২৩ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সদ্য গঠিত থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ফান্ড সিকিউরিটির উদ্যোগে রাওয়া ক্লাবে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সেমিনারটিতে উপস্থিত থাকার এবং বিতর্কে অংশগ্রহণের সৌভাগ্যও হয়েছে। এখানেও আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে এ দেশের জন্য এক নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের বিষয়টি উপরে উঠে আসে এবং পদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা (যাদের অধিকাংশই অবসরপ্রাপ্ত) এর সপক্ষে তাদের মতপ্রকাশ করেন। এখানেও আমার কাছে এমন কাউন্সিল গঠনের দাবি অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে।
এর প্রধান কারণ যে আমাদের মতো অনুন্নত ও পশ্চাৎপদ দেশের নিরাপত্তা দর্শনের সঙ্গে এমন দাবির কোনো মিল নেই। আমাদের বুঝতে হবে যে জাতীয় নিরাপত্তা একটি Perception -এর ব্যাপার এবং বিভিন্ন দেশে বিরাজমান বাস্তবতার নিরিখে Perception ভিন্ন ভিন্ন হতে বাধ্য। পৃথিবীতে কমবেশি ৪০টি শিল্পোন্নত অগ্রসর দেশ আছে। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় তারা অনেক এগিয়ে। তাদেরও নিরাপত্তা সমস্যা আছে কিন্তু তারা তা 'শক্তির ভারসাম্য' (Balance of Power ) বহাল রেখে নিশ্চিত করে। তাদের ভারসাম্য বিধানের মধ্যে আরও আছে অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং Deterrence -এর উদ্ভাবনা। বলাবাহুল্য, একটি অতিউন্নত দেশের জন্য তা একটি জটিল সমস্যা। সেই সমস্যা নিরসনে তাদের একটি নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রয়োজন থাকতে পারে।
আরও একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, তাবৎ বিশ্বে নিরাপত্তার বিষয়টি কিন্তু বেসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রিত। এ জন্য প্রয়োজনীয় রাজনীতিক, নিরাপত্তা কুশলী এবং বিশেষজ্ঞের অভাব উন্নত বিশ্বে নেই। ভাবার বিষয় যে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এমন কুশলী ব্যক্তিবর্গের সমাহার কি আমরা আমাদের দেশে ঘটাতে পেরেছি! তত্ত্বগতভাবে একটি নিরাপত্তা কাউন্সিলের শীর্ষে থাকেন দেশের প্রধান নির্বাহী, যিনি আমাদের এই গণতান্ত্রিক দেশে একজন রাজনীতিকও বটেন। চিন্তা করার বিষয়, আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের যারা ভবিষ্যৎ প্রধান নির্বাহী তাদের হাতে কি আমাদের রাজনৈতিক বিকাশের এই পর্যায়ে এমন গুরুদায়িত্ব ন্যস্ত হতে পারে। শুধু চার্চিলের মতো রাজনীতিক বা কিসিঞ্জার-ব্রেজনস্কির মতো নিরাপত্তা কুশলীই বেসামরিক অঙ্গনের হওয়া সত্ত্বেও বলতে পারেন যে Warfare is too serious malter to be left in the hands of generals. . আমাদের দেশে রাজনৈতিক পরিপকস্ফতা আসা পর্যন্ত অবশ্যই আমরা নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করে তার শীর্ষে একজন আনাড়ি রাজনৈতিক প্রধান নির্বাহীকে বসিয়ে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারি না।
রাওয়া ক্লাবের সেমিনারে একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল যেভাবে নিরাপত্তা কাউন্সিলের ওকালতি করে যেসব যুক্তিজালের উপস্থাপনা করেছেন, তা অনবদ্য; কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছুটা বাস্তবতাবর্জিত। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, তার অজ্ঞাতসারে উপস্থাপনাটি উন্নত বিশ্বের নিরাপত্তা দর্শনের ছায়া অবলম্বনে তৈরি। আমাদের দেশের নিরাপত্তা দর্শন উন্নয়নভিত্তিক এবং শক্তির ভারসাম্যের কথা আমরা ভাবতেই পারি না। তবে Basic deterrence অবশ্যই আমাদের থাকতে হবে এবং তার nucleus হবে আমাদের পনের কোটি দেশপ্রেমিক মানুষ। তবে দেশপ্রেম শুধু কথার কথা নয়। সুদর্শন দিয়ে, দারিদ্র্র্য বৈষম্য নিরসন করে, বেকারত্বের অবসান ঘটিয়েই শুধু সেই দেশপ্রেমকে উজ্জীবিত করা যায়। আমাদের নিরাপত্তা হুমকির উৎস ভারত, পাকিস্তান বা মিয়ানমার নয় যদিও তাদের সঙ্গে আমাদের বিবাদ-বিভেদ ছিল বা এখনও আছে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের নিরাপত্তা হুমকির অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো শনাক্ত করে সেগুলোর বিহিত করতে পারি, তবে আমরা আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব না। মনে রাখতে হবে, একটি বুলেট তা সীমান্তের ওপার থেকেই আসুক, নগরীর কোনো অন্ধগলিতে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীর অস্ত্র থেকেই বিক্ষিপ্ত হয়ে আসুক: দুটিই নিরাপত্তাহীনতার উৎস। নিরাপত্তাহীনতার আরও উৎস ক্ষুধা, দারিদ্র্য, ব্যাধি, আইন-শৃঙ্খলাহীনতা, আশ্রয়-আবাসনহীনতা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা। এসব বিহিত কোনো সামরিক পন্থায় নেই, অস্ত্রেও নেই। এর সমাধান রাজনৈতিক সরকারের। তাই সরকার যদি আন্তরিক হয় এবং তার ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব যোগ্যতা সহকারে পালন করতে থাকে, নিরাপত্তা কাউন্সিল নামে একটি বিষফোঁড়া তৈরির কোনো যৌক্তিকতা আছে কি। তার পরিবর্তে যদি জাতীয় সংসদে নিরাপত্তা সমস্যাগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয় এবং সংসদের Defence committee -কে 'জাতীয় নিরাপত্তা' ইস্যুগুলোর দায়িত্ব অর্পণ করা যায় তা প্রস্তাবিত কাউন্সিলের চেয়ে কম কার্যকরী হবে না। তবে সাধারণত জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলোর আলোচনা-বিতর্ক উৎসাহিত করা দরকার। এ জন্য যে সেটাও একটি deterrence হিসেবে কাজ করে। দেশের জনগণ যত বেশি নিরাপত্তাসচেতন হবে জাতীয় দুুর্দিনে তারা তত বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। আমার দৃষ্টিতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বিকল্প রাজনৈতিক পরিপকস্ফতা, নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতিতে ঐকমত্য এবং যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের সুশাসন।
ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম আবদুল হাফিজ : সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও কলাম লেখক
যেকোনো নিরাপত্তা বিতর্কে এ দেশের জন্য একটি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন প্রস্তাবের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করে এসেছি। এক দশককাল নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে এ বিষয়ে আহরিত যৎসামান্য জ্ঞানের আলোকে আমার কাছে এমন প্রস্তাব প্রাসঙ্গিক মনে হয়নি। ২৩ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সদ্য গঠিত থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ফান্ড সিকিউরিটির উদ্যোগে রাওয়া ক্লাবে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সেমিনারটিতে উপস্থিত থাকার এবং বিতর্কে অংশগ্রহণের সৌভাগ্যও হয়েছে। এখানেও আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে এ দেশের জন্য এক নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের বিষয়টি উপরে উঠে আসে এবং পদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা (যাদের অধিকাংশই অবসরপ্রাপ্ত) এর সপক্ষে তাদের মতপ্রকাশ করেন। এখানেও আমার কাছে এমন কাউন্সিল গঠনের দাবি অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে।
এর প্রধান কারণ যে আমাদের মতো অনুন্নত ও পশ্চাৎপদ দেশের নিরাপত্তা দর্শনের সঙ্গে এমন দাবির কোনো মিল নেই। আমাদের বুঝতে হবে যে জাতীয় নিরাপত্তা একটি Perception -এর ব্যাপার এবং বিভিন্ন দেশে বিরাজমান বাস্তবতার নিরিখে Perception ভিন্ন ভিন্ন হতে বাধ্য। পৃথিবীতে কমবেশি ৪০টি শিল্পোন্নত অগ্রসর দেশ আছে। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় তারা অনেক এগিয়ে। তাদেরও নিরাপত্তা সমস্যা আছে কিন্তু তারা তা 'শক্তির ভারসাম্য' (Balance of Power ) বহাল রেখে নিশ্চিত করে। তাদের ভারসাম্য বিধানের মধ্যে আরও আছে অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং Deterrence -এর উদ্ভাবনা। বলাবাহুল্য, একটি অতিউন্নত দেশের জন্য তা একটি জটিল সমস্যা। সেই সমস্যা নিরসনে তাদের একটি নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রয়োজন থাকতে পারে।
আরও একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, তাবৎ বিশ্বে নিরাপত্তার বিষয়টি কিন্তু বেসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রিত। এ জন্য প্রয়োজনীয় রাজনীতিক, নিরাপত্তা কুশলী এবং বিশেষজ্ঞের অভাব উন্নত বিশ্বে নেই। ভাবার বিষয় যে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এমন কুশলী ব্যক্তিবর্গের সমাহার কি আমরা আমাদের দেশে ঘটাতে পেরেছি! তত্ত্বগতভাবে একটি নিরাপত্তা কাউন্সিলের শীর্ষে থাকেন দেশের প্রধান নির্বাহী, যিনি আমাদের এই গণতান্ত্রিক দেশে একজন রাজনীতিকও বটেন। চিন্তা করার বিষয়, আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের যারা ভবিষ্যৎ প্রধান নির্বাহী তাদের হাতে কি আমাদের রাজনৈতিক বিকাশের এই পর্যায়ে এমন গুরুদায়িত্ব ন্যস্ত হতে পারে। শুধু চার্চিলের মতো রাজনীতিক বা কিসিঞ্জার-ব্রেজনস্কির মতো নিরাপত্তা কুশলীই বেসামরিক অঙ্গনের হওয়া সত্ত্বেও বলতে পারেন যে Warfare is too serious malter to be left in the hands of generals. . আমাদের দেশে রাজনৈতিক পরিপকস্ফতা আসা পর্যন্ত অবশ্যই আমরা নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করে তার শীর্ষে একজন আনাড়ি রাজনৈতিক প্রধান নির্বাহীকে বসিয়ে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারি না।
রাওয়া ক্লাবের সেমিনারে একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল যেভাবে নিরাপত্তা কাউন্সিলের ওকালতি করে যেসব যুক্তিজালের উপস্থাপনা করেছেন, তা অনবদ্য; কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছুটা বাস্তবতাবর্জিত। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, তার অজ্ঞাতসারে উপস্থাপনাটি উন্নত বিশ্বের নিরাপত্তা দর্শনের ছায়া অবলম্বনে তৈরি। আমাদের দেশের নিরাপত্তা দর্শন উন্নয়নভিত্তিক এবং শক্তির ভারসাম্যের কথা আমরা ভাবতেই পারি না। তবে Basic deterrence অবশ্যই আমাদের থাকতে হবে এবং তার nucleus হবে আমাদের পনের কোটি দেশপ্রেমিক মানুষ। তবে দেশপ্রেম শুধু কথার কথা নয়। সুদর্শন দিয়ে, দারিদ্র্র্য বৈষম্য নিরসন করে, বেকারত্বের অবসান ঘটিয়েই শুধু সেই দেশপ্রেমকে উজ্জীবিত করা যায়। আমাদের নিরাপত্তা হুমকির উৎস ভারত, পাকিস্তান বা মিয়ানমার নয় যদিও তাদের সঙ্গে আমাদের বিবাদ-বিভেদ ছিল বা এখনও আছে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের নিরাপত্তা হুমকির অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো শনাক্ত করে সেগুলোর বিহিত করতে পারি, তবে আমরা আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব না। মনে রাখতে হবে, একটি বুলেট তা সীমান্তের ওপার থেকেই আসুক, নগরীর কোনো অন্ধগলিতে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীর অস্ত্র থেকেই বিক্ষিপ্ত হয়ে আসুক: দুটিই নিরাপত্তাহীনতার উৎস। নিরাপত্তাহীনতার আরও উৎস ক্ষুধা, দারিদ্র্য, ব্যাধি, আইন-শৃঙ্খলাহীনতা, আশ্রয়-আবাসনহীনতা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা। এসব বিহিত কোনো সামরিক পন্থায় নেই, অস্ত্রেও নেই। এর সমাধান রাজনৈতিক সরকারের। তাই সরকার যদি আন্তরিক হয় এবং তার ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব যোগ্যতা সহকারে পালন করতে থাকে, নিরাপত্তা কাউন্সিল নামে একটি বিষফোঁড়া তৈরির কোনো যৌক্তিকতা আছে কি। তার পরিবর্তে যদি জাতীয় সংসদে নিরাপত্তা সমস্যাগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয় এবং সংসদের Defence committee -কে 'জাতীয় নিরাপত্তা' ইস্যুগুলোর দায়িত্ব অর্পণ করা যায় তা প্রস্তাবিত কাউন্সিলের চেয়ে কম কার্যকরী হবে না। তবে সাধারণত জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলোর আলোচনা-বিতর্ক উৎসাহিত করা দরকার। এ জন্য যে সেটাও একটি deterrence হিসেবে কাজ করে। দেশের জনগণ যত বেশি নিরাপত্তাসচেতন হবে জাতীয় দুুর্দিনে তারা তত বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। আমার দৃষ্টিতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বিকল্প রাজনৈতিক পরিপকস্ফতা, নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতিতে ঐকমত্য এবং যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের সুশাসন।
ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম আবদুল হাফিজ : সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও কলাম লেখক
No comments