সাভারে শত্রুতাবশত সহকারীকে খুন-ধামরাইয়ে চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই
রাজধানীর অদূরে সাভার ও ধামরাইয়ে একটি ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও এক বাসের সহকারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ ধামরাইয়ের কেলিয়া এবং সাভারের উলাইল থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পবাইলক্ষ্মীপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে মো. সেলিম (৩৫) ও বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডাকুরচক গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে মামুন অর রশিদ (১৭)।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পবাইলক্ষ্মীপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে মো. সেলিম (৩৫) ও বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডাকুরচক গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে মামুন অর রশিদ (১৭)।
ধামরাই থানা পুলিশ জানায়, নিহত সেলিম গাজীপুরের কোনাবাড়ী ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের চেয়ারম্যান সুন্দর আলীর ব্যক্তিগত গাড়ির (ঢাকা-মেট্রো-গ-২৩-৫৬৫০) চালক। গত মঙ্গলবার বিকেলে কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি সাভার যাওয়ার কথা বলে গাড়িটি ভাড়া নেয়। এরপর আর তিনি (সেলিম) গাড়ি নিয়ে বাসায় ফেরেননি। গতকাল সকাল নয়টার দিকে পুলিশ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কেলিয়া সেতুর কাছ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
সুন্দর আলীর ছেলে মজিবর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে চালক সেলিমের সঙ্গে তাঁদের সর্বশেষ মুঠোফোনে কথা হয়েছে। এর পর থেকে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। তিনি বাদী হয়ে গতকাল এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
অপরদিকে সাভার থানা পুলিশ জানায়, নিহত মামুন সাভারের আনন্দ সুপার পরিবহনের (টাঙ্গাইল-ব-৪১২) গাড়ির চালকের সহকারীর কাজ করত। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের উলাইল এলাকায় পড়ে থাকা ওই গাড়ি থেকে গতকাল সকাল ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামুনের মা মল্লিকা বেগম জানান, ১৫ জানুয়ারি তাঁর ছেলে গাড়িতে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকে প্রতিদিনই ছেলের সঙ্গে তাঁর মুঠোফোনে কথা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
মল্লিকা বেগম জানান, গতকাল সকালে এক ব্যক্তি তাঁর মুঠোফোনে কল করে উলাইল এলাকায় দুর্ঘটনায় মামুন মারা গেছে বলে অবহিত করেন। ওই ব্যক্তির কণ্ঠের সঙ্গে বাসের চালক সাগরের কণ্ঠের মিল রয়েছে। খবর পেয়ে উলাইল গিয়ে তিনি বাসের ভেতর তাঁর ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে সাভার থানাকে অবহিত করেন।
মল্লিকা বেগম অভিযোগ করেন, শত্রুতাবশত বাসের চালক সাগর ও সুপারভাইজার রহিম তাঁর ছেলেকে হত্যা করে থাকতে পারেন।
No comments