খাদ্যসহায়তা নিয়ে দুর্নীতি-প্রয়োজনে টাস্কফোর্স গঠন করুন
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের ভর্তুকি দেওয়া খাদ্যের ৮০ শতাংশ দুর্নীতির কারণে প্রকৃত অভাবগ্রস্ত মানুষের কাছে পেঁৗছায় না। সংস্থাটি মূলত খাদ্যঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহীত ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং বা ভিজিএফ কর্মসূচি সামনে রেখে একটি সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর।
অন্যদিকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ক্ষেত্রেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আরেকটি সমীক্ষার প্রতিবেদন থেকে। সরকারি সহায়তার ক্ষেত্রে তারা দুই ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে চিহ্নিত করেছে। একটি হলো তালিকাভুক্তি, অন্যটি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে। এসব সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভিজিএফ পেতে পারে এমন লোককেও দেড় থেকে দুই হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করতে হয় এবং সেই টাকা জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নেন। কর্মসংস্থান প্রকল্পগুলোতেও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভৌতিক শ্রমিক পাওয়া গেছে।
একদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে দেশ উদ্বিগ্ন, তার ওপর যদি এ সমীক্ষাগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে সেটা শুধু দুঃখজনকই নয়, ভয়ানক অপরাধ বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর দ্রুত একটি প্রতিকার করা দরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএসএআইডি এবং অন্য কয়েকটি সংস্থা বাংলাদেশকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে আসছে। কাজেই খাদ্যনিরাপত্তা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্যের বরাদ্দ দেওয়া এবং তা সঠিকভাবে বণ্টন করা অতি জরুরি। এ কাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। মানবিক বিষয়ও আছে। যারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করে এবং খাদ্যসাহায্য থেকে দরিদ্রদের বঞ্চিত করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশ কোনোক্রমেই দুর্নীতিমুক্ত হবে না। সরকারকে প্রয়োজনে টাস্কফোর্স গঠন করে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের দুর্নীতির পুরোটা সরকারকেই বহন করতে হবে। ভিজিএফ কর্মসূচিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যাপারে কমিটি গঠন করা হয়ে থাকে। বস্তুত এ কমিটিগুলো অধিকাংশ স্থানেই স্বচ্ছ নয়। সরকারকে স্বচ্ছ কমিটি করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনগুলোকে কঠোর নির্দেশ দিতে হবে। দেশের যেসব অঞ্চলের ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং কর্মসূচি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করি, যারা এ ধরনের অতিদরিদ্র মানুষের মুখের আহার লুটে নিচ্ছে, তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সরেজমিনে গিয়ে সব অভিযোগের তদন্ত করতে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।
একদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে দেশ উদ্বিগ্ন, তার ওপর যদি এ সমীক্ষাগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে সেটা শুধু দুঃখজনকই নয়, ভয়ানক অপরাধ বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর দ্রুত একটি প্রতিকার করা দরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএসএআইডি এবং অন্য কয়েকটি সংস্থা বাংলাদেশকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে আসছে। কাজেই খাদ্যনিরাপত্তা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্যের বরাদ্দ দেওয়া এবং তা সঠিকভাবে বণ্টন করা অতি জরুরি। এ কাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। মানবিক বিষয়ও আছে। যারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করে এবং খাদ্যসাহায্য থেকে দরিদ্রদের বঞ্চিত করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশ কোনোক্রমেই দুর্নীতিমুক্ত হবে না। সরকারকে প্রয়োজনে টাস্কফোর্স গঠন করে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের দুর্নীতির পুরোটা সরকারকেই বহন করতে হবে। ভিজিএফ কর্মসূচিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যাপারে কমিটি গঠন করা হয়ে থাকে। বস্তুত এ কমিটিগুলো অধিকাংশ স্থানেই স্বচ্ছ নয়। সরকারকে স্বচ্ছ কমিটি করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনগুলোকে কঠোর নির্দেশ দিতে হবে। দেশের যেসব অঞ্চলের ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং কর্মসূচি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করি, যারা এ ধরনের অতিদরিদ্র মানুষের মুখের আহার লুটে নিচ্ছে, তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সরেজমিনে গিয়ে সব অভিযোগের তদন্ত করতে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।
No comments