প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ-গতিশীল প্রশাসনের জন্য সচিবদের ভূমিকাই মুখ্য
সচিবদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সচিব সভায় কয়েকজন সচিব প্রধানমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েছেন_এমন খবর এসেছে পত্রপত্রিকায়। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী সচিবদের বক্তব্য শুনেছেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বলে একটা কথা চালু আছে। বাংলাদেশের গত চার দশকে এই জটিলতা যে দেশকে অনেকটাই পেছন দিকে ঠেলে দিয়েছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেক কাজই পিছিয়ে যায়। বর্তমান মহাজোট সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিল প্রায় তিন বছর আগে। দেশের মানুষের কাছে মহাজোট সরকারের অনেক প্রতিশ্রুতি ছিল। শুধু রাজনৈতিক দক্ষতা দিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন দাপ্তরিক সহযোগিতাও। সচিবরাই পারেন এই দাপ্তরিক সহযোগিতার সমন্বয়ের কাজটি করতে। এ ক্ষেত্রে সচিবদের অবহেলা পিছিয়ে দিতে পারে রাষ্ট্রকে। দেশের মানুষ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সচিবরা সেই দায়িত্ব কতটুকু পালন করছেন, তার ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করে দেশের অগ্রগতি। কিন্তু সেই অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচিবদের ঢিলেমি বা অবহেলায় দেশের মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এ কারণে সরকারের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হতে পারে, তেমনি গ্রহযোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। সচিবদের কর্মদক্ষতা ও গতিশীলতার ওপর একটি সরকারের দক্ষতাও প্রমাণিত হয়। সরকারের সচিবরা সেই দায়িত্ব কতটা দক্ষতার সঙ্গে পালন করছেন, সেটাই বিবেচনার বিষয়। সম্প্রতি বেশ কিছু বিষয়ে সরকারকে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। সচিবরা বেশ কিছু পদক্ষেপ আগে থেকেই নিতে পারতেন, যাতে সরকারের ভাবমূর্তি দেশের মানুষের কাছে উজ্জ্বল হতো। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা সরকারকে নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। যোগাযোগ, জ্বালানি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় হাতের কাছে জ্বলন্ত উদাহরণ। এ অবস্থায় সচিবদের সমন্বয় ও কাজের গতিশীলতাই পারে একটি রাজনৈতিক সরকারকে গ্রহণযোগ্য অবস্থানে নিয়ে যেতে। কিন্তু সচিবদের সেই সহযোগিতার অভাব যে একটি সরকারকে কতটা বেকায়দায় ফেলতে পারে, অতীতে তার অনেক উদাহরণও আছে।
সচিবরা প্রজাতন্ত্রের শীর্ষ কর্মকর্তা। তাঁদের কর্মপরিধি ব্যাপক। কিন্তু কাজের গতিশীলতা আনতে তাঁদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন যে উঠতে পারে, তা সচিব সভা থেকেই প্রমাণিত।
দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। এই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আরো সংহত করতে কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সচিবদেরই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। কেবল পদ আগলে বসে থাকলেই চলবে না বা ব্যক্তিবিশেষ পদের সুবিধা ভোগ করলে দেশ উপকৃত হবে না। এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে দেশকে। আমাদের দেশ এখনো বিদেশি সাহায্যনির্ভর। স্বাভাবিকভাবেই সচিবদের দায়িত্ব অনেক বেশি। মন্ত্রীদের কাজের দক্ষতাও অনেকটা নির্ভর করে সচিবদের আন্তরিকতা ও প্রতিশ্রুতির ওপর। সচিবরা দেশ ও রাষ্ট্রের কাছে কতটা দায়বদ্ধ ও প্রতিশ্রুতিশীল, তা প্রমাণ করতে হবে। সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে সে কথাটাই উঠে এসেছে। দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ ও প্রতিশ্রতিশীল হতে হবে। তাতেই মঙ্গল। আমরা আশা করব, সব অচলবস্থা দূর হবে। কেটে যাবে সব স্থবিরতা। গতিশীল প্রশাসন কাজ করবে জনকল্যাণে। সচিবরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। অর্জিত হবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।
সচিবরা প্রজাতন্ত্রের শীর্ষ কর্মকর্তা। তাঁদের কর্মপরিধি ব্যাপক। কিন্তু কাজের গতিশীলতা আনতে তাঁদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন যে উঠতে পারে, তা সচিব সভা থেকেই প্রমাণিত।
দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। এই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আরো সংহত করতে কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সচিবদেরই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। কেবল পদ আগলে বসে থাকলেই চলবে না বা ব্যক্তিবিশেষ পদের সুবিধা ভোগ করলে দেশ উপকৃত হবে না। এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে দেশকে। আমাদের দেশ এখনো বিদেশি সাহায্যনির্ভর। স্বাভাবিকভাবেই সচিবদের দায়িত্ব অনেক বেশি। মন্ত্রীদের কাজের দক্ষতাও অনেকটা নির্ভর করে সচিবদের আন্তরিকতা ও প্রতিশ্রুতির ওপর। সচিবরা দেশ ও রাষ্ট্রের কাছে কতটা দায়বদ্ধ ও প্রতিশ্রুতিশীল, তা প্রমাণ করতে হবে। সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে সে কথাটাই উঠে এসেছে। দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ ও প্রতিশ্রতিশীল হতে হবে। তাতেই মঙ্গল। আমরা আশা করব, সব অচলবস্থা দূর হবে। কেটে যাবে সব স্থবিরতা। গতিশীল প্রশাসন কাজ করবে জনকল্যাণে। সচিবরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। অর্জিত হবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।
No comments