রাজ্জাক, শতায়ু হোন: কবরী
বদলে যাও, বদলে দাও—এ কথাটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলতে চাই, সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে যায়। ‘আমার নায়ক’ নামে একটা অনুষ্ঠান করেছিলাম চ্যানেল ওয়ানে। আমার চলচ্চিত্রের গুরু শ্রীসুভাষ দত্ত (দাদা) থেকে শুরু করে যতজন আমার নায়ক ছিলেন, সবাই এই অনুষ্ঠানে আমার আমন্ত্রণে এসেছিলেন, কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, একমাত্র রাজ্জাক সাহেব আসেননি অথবা আসতে পারেননি। আমার চলচ্চিত্রজীবনে তাঁর সঙ্গে অসংখ্য ছবি করেছি। তখন কতই বা বয়স! ঝগড়া, খুনসুটি হয়নি কোনোদিন, এ কথা বলতে পারব না। তার পরও ভালো লাগা বলে কথা।
ছোটবেলার চড়ুইভাতির মতো মজা হতো শুটিংয়ে। আমি কোনোদিনই হিসাব করে চলতাম না। তেমনি শুটিংয়েও মজা করতে পেরেছি। খাওয়াদাওয়া, অভিনয়—সবকিছুর মধ্যে সহশিল্পীদের সঙ্গে আন্তরিকতা আমাকে প্রতিবারই নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কী পেলাম, কী পাইনি—তার হিসাব করার সময় ছিল না। দেখতে দেখতে অনেক বছর গড়িয়েছে। রাজ্জাক সাহেব ৭১ বছরে পা দিলেন (তাই কি!)। আমার কিন্তু মনে পড়ে না, আমার কত বয়স হয়েছে। এখনো আমি তেমনটি রয়েছি মনেপ্রাণে, আগের মতো। শিল্পী শাহাবুদ্দিন তীব্র প্রাণশক্তিতে ভরপুর মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে আঁকেন, আমি এখনো সেভাবেই উচ্ছ্বসিত হই, নিজের মধ্যে তেমনটিই অনুভব করি। যা-ই হোক, রাজ্জাক সাহেবকে প্রথম দেখা থেকে শুরু করে যত দিন একসঙ্গে অভিনয় করেছি, তত দিনই দাপটের সঙ্গে জুটি হিসেবে অভিনয় করেছি। আমাদের দুজনের পর্দা-জুটিকে অনেকেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুচিত্রা-উত্তমের সঙ্গে তুলনা করেন। আজও ষাটের দশকের জুটিদের দেখে নতুন প্রজন্মের মানুষ উচ্ছ্বসিত হয়। তখনকার কবরী-রাজ্জাকের সাফল্য আন্তরিকভাবে অভিনয়শৈলীর ফসল।
যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম। ‘বদলে যাও বদলে দাও’-এর কথা বলছিলাম। আমরা যার যার মতো সবাই বদলে গেছি। আমি চলচ্চিত্রের কবরী হয়েছি, আয়না ছবির পরিচালক হয়েছি। সমাজসেবাতে যুুক্ত হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, সংসদ সদস্য হয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করছি। রাজ্জাক সাহেবও পরিচালক হয়েছেন। এখনো যুক্ত আছেন চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে। বদলে গেছে আমাদের সেই সময়ের চলচ্চিত্র-পরিবার। সুখে-দুঃখে কেউ কি এখন আর একে অন্যের পাশে দাঁড়ায়? এতটা বছর পর চলচ্চিত্রজগতের একজন শিল্পী প্রথমবারের মতো সাংসদের গুরুদায়িত্ব পেয়েছি, কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন, আপনার পর্দার জুটি কই? রাজ্জাক সাহেব আসেননি। হয়তো অন্যকাজে ব্যস্ত ছিলেন। রাজ্জাক সাহেবের ৭০তম বয়সের জন্মদিনে এই লেখাটি তাঁকে উপহার দিলাম। তাঁর শতায়ু কামনায়—
আমি
চলচ্চিত্রের কবরী।
যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম। ‘বদলে যাও বদলে দাও’-এর কথা বলছিলাম। আমরা যার যার মতো সবাই বদলে গেছি। আমি চলচ্চিত্রের কবরী হয়েছি, আয়না ছবির পরিচালক হয়েছি। সমাজসেবাতে যুুক্ত হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, সংসদ সদস্য হয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করছি। রাজ্জাক সাহেবও পরিচালক হয়েছেন। এখনো যুক্ত আছেন চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে। বদলে গেছে আমাদের সেই সময়ের চলচ্চিত্র-পরিবার। সুখে-দুঃখে কেউ কি এখন আর একে অন্যের পাশে দাঁড়ায়? এতটা বছর পর চলচ্চিত্রজগতের একজন শিল্পী প্রথমবারের মতো সাংসদের গুরুদায়িত্ব পেয়েছি, কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন, আপনার পর্দার জুটি কই? রাজ্জাক সাহেব আসেননি। হয়তো অন্যকাজে ব্যস্ত ছিলেন। রাজ্জাক সাহেবের ৭০তম বয়সের জন্মদিনে এই লেখাটি তাঁকে উপহার দিলাম। তাঁর শতায়ু কামনায়—
আমি
চলচ্চিত্রের কবরী।
No comments