চরাচর-নড়াইল সর্বমঙ্গলা কালী মন্দির by ফখরে আলম

ড়াইলের জমিদারদের স্মৃতি বুকে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাথরে নির্মিত সর্বমঙ্গলা কালী মন্দির। জমিদার বাড়ির সব স্মৃতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে রাজপ্রাসাদ। কিন্তু জমিদারদের নির্মিত সেই কালী মন্দিরে আজও পূজার ঘণ্টা বাজে। মায়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, জন্মাষ্টমীতে মন্দির প্রাঙ্গণ উৎসবে মাতোয়ারা হয়। নড়াইল শহরের এই মন্দিরটি বাংলা ১২৯৭ সালের ৩২ আষাঢ় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নড়াইলের জমিদার সত্যেন রায়, ধীরেন্দ্রনাথ রায়, রতন কুমার রায় প্রমুখ।


ভিন্ন ধরনের নির্মাণশৈলীর এই মন্দিরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর একটি নকল দরজা রয়েছে। পাথরে নির্মিত এই দরজাটি রহস্যময়। কেননা, দরজা হলেও এর কপাট কেউ কোনোদিন খুলতে পারেনি। সম্পূর্ণ পাথরে নির্মিত মন্দিরটির শোভা বৃদ্ধি করেছে এক ধরনের শিল্প নৈপুণ্যের ভাস্কর্য। ৩২ আষাঢ় মায়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, জন্মাষ্টমী, কালীপূজা ও রোটনটি কালীপূজা এই চারটি বাৎসরিক অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিন দুপুর ও সন্ধ্যায় এখানে আরতি হয়। সমাগম ঘটে স্থানীয় ভক্তদের। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে স্থানটি পীঠস্থান হিসেবেই সমাদৃত। শিল্প নৈপুণ্যের ভাস্কর্য এই মন্দিরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার দায় রয়েছে। স্থানীয় মানুষ আশা করে এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। মন্দিরের পুরোহিত রতন ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা আট পুরুষ ধরে মন্দিরের পূজা-অর্চনার দায়িত্ব পালন করছি। আগে জমিদাররাই সব দেখাশোনা করতেন। এখন স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা কমিটি করে মন্দিরটি পরিচালনা করছেন।'
ফখরে আলম

No comments

Powered by Blogger.