নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন-জনতার বিজয়, পরাজিত অপরাজনীতি by রফিউর রাব্বি
জনতার সঙ্গে হাত ধরাধরি করেই সাধারণত রাজনীতি অগ্রসর হয়। এর ব্যত্যয় যে ঘটে না, তা নয়। আমাদের রাজনীতির সংস্কৃতিতে এর ব্যত্যয়টিই বেশি চোখে পড়ে। সর্বশেষ উদাহরণ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলের নাটকীয় ঘটনাবলির সূচনা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী সমর্থন নিয়ে এ নাটকীয়তা শুরু করে। ইতিপূর্বে নির্বাচনে মনোনয়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি সবারই জানা।
এতে কোনো রাখঢাকের বালাই নেই। রাজনৈতিক দলের কাছে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত দল ও রাজনীতিই বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকে, জনগণ থাকে উপেক্ষিত। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা এমনকি জনপ্রিয়তাও গুরুত্বহীন। গুরুত্ব পায় দল ও দলীয় প্রধানের প্রতি প্রার্থীর অন্ধ আনুগত্য। গুরুত্ব পায় দলীয় প্রধানের স্তূতি-বন্দনায় কে কত অগ্রসর এবং প্রতিপক্ষ দলকে মোকাবিলায় রাজনীতিতে নয় পেশিতে তিনি কতটা শক্তিশালী। এ প্রতিযোগিতায় যিনি অগ্রসর, তিনি জনবিরোধী বিভিন্ন কর্মে লিপ্ত থাকলেও দোষের কিছু নেই; দলে তাঁকেই চাই। একে দলের দৃষ্টিভঙ্গি বলাটা ঠিক হবে না। কারণ, দলে এমন গণতন্ত্রের চর্চা নেই যে দল বসে সবার মতামতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিষয়টি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বা যে এলাকার প্রার্থী সে এলাকার নেতা-কর্মীদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এটি নেহাত দলীয় প্রধানের অর্থাৎ প্রধানত শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার নিজস্ব বিষয়। এটাই আমাদের রাজনীতির প্রচলিত ধারা হয়ে উঠেছে। আর এটিই আমরা স্বাভাবিক বলে মনে মেনে নিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনের নাটকের প্রথম পর্বে এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কিন্তু যেহেতু এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এখানে দলের আনুষ্ঠানিক মনোনয়নের কোনো সুযোগ নেই, তথাপি দলের সমর্থন নিয়ে রাখঢাকের পর্ব চুকিয়ে অবশেষে তাঁরা শামীম ওসমানের পক্ষে দলীয় সমর্থন ব্যক্ত করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে দেশে ও দেশের বাইরে অত্যন্ত সরব। সুযোগ পেলেই তিনি বিদেশে তাঁর নারীর ক্ষমতায়নের অবস্থান তুলে ধরেন। আর এ কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি দুই হাতে বিদেশি পুরস্কারও নিচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে পার্থের নারী মেয়রের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তুমি একজন নারী মেয়র। আমার দেশেও একজন নারী মেয়র হতে যাচ্ছে।’ (সূত্র: প্রথম আলো, ০১.১১.২০১১) তিনি যখন পার্থের মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন, ততক্ষণে অবশ্য দেশবাসী নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অন্তরের বিষয়টি জেনে গেছেন। রাজনৈতিক নেতাদের বাহ্বা পাওয়ার জন্য বক্তৃতা আর অন্তর্গত সততার উচ্চারণের পার্থক্যটি জনগণ বুঝতে শিখেছে। দীর্ঘ আট বছরে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর নন্দিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পরিবর্তে সারা দেশে নিজের নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলা শামীম ওসমানকে দলীয় সমর্থন দেওয়াটা সাধারণ মানুষ তো নয়ই, দলীয় নেতা-কর্মীরাও যে গ্রহণ করতে পারেননি ভোটের ফলাফলই তা প্রকাশ করে। ভয়ে হয়তো দলীয় নেতা-কর্মী বা সাধারণ জনগণ মুখ খোলেননি। কিন্তু একটি ক্ষোভ ভেতরে ঠিকই ভস্মাচ্ছাদিত বহ্নি হয়ে রয়েছিল। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যেসব নেতা শামীম ওসমানের পক্ষে নারায়ণগঞ্জে এসেছেন, দেশবাসী তাঁদের ভালো লোক হিসেবে জানে না। তাঁদের বা বাইরের কারও আসা-যাওয়ায় ভোটারদের সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে জঙ্গি হামলার প্রচার, সেনাবাহিনী না দেওয়া ও সর্বোপরি বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের সরে দাঁড়ানো—সবকিছুই ভোটের হিসাবে শামীম ওসমানের বিপক্ষে গেছে। তাঁর অগ্রজ সাংসদ নাসিম ওসমানের সংবাদ সম্মেলন ও বিভিন্ন জনসভায় দেওয়া হুমকি-ধমকি ভোটারদের আইভীর প্রতি আরও সহানুভূতিশীল করে তুলেছে।
২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ডা. আইভী পৌর এলাকার প্রায় সর্বত্র রাস্তা, পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা, বিভিন্ন বাজার ও মসজিদের উন্নয়ন করেছেন। রামকৃষ্ণ মিশনের দীর্ঘদিনের বেদখল জায়গা উদ্ধার করেছেন, বিভিন্ন স্থানে মন্দির স্থাপন করেছেন। বস্তিবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। ১৯৮৫ সালে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট শহীদ মিনার নির্মাণ করলে সে অসমাপ্ত শহীদ মিনারটির কাজ ২০০৫ সালে ডা. আইভী সম্পন্ন করেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য তৈরি করেন। এমনই দৃশ্যমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তাঁর সময়ে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা করেছে, যার ফলে দলমত-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের সমর্থন তাঁর পক্ষে ছিল। এ বিষয়গুলো সরকারের অজানা থাকার কথা নয়। পাশাপাশি, সারা দেশে নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদের যে তকমা এঁটে দেওয়া হয়েছে, তার বাস্তব কারণও এখানে উপস্থিত। এ সত্যের পাশাপাশি সচেতন জনগণের শক্ত উপস্থিতিও এ জনপদে রয়েছে। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৬৯, ’৭১, আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের গৌরবের ইতিহাস এখানে রয়েছে। এখানে শেষ বিচারে কোনো অপশক্তিই জয়ী হতে পারেনি; তা স্বৈরশাসন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারি বা সাম্প্রদায়িকতা যা-ই হোক। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এ সত্যটিই প্রকাশ পেয়েছে। এখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তি, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, সুশীল সমাজ সম্মিলিতভাবে ডা. আইভীর পক্ষে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ গঠন করেছে।
এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে বার্তাটি প্রকাশ পেয়েছে তা হচ্ছে—১. রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র করে খলনায়ক হওয়া গেলেও নায়ক হওয়া যায় না। নায়ক হতে জনগণের প্রয়োজন পড়ে। ২. ভয় দেখিয়ে মানুষকে পরাজিত করা যায় না। মানুষ ভয়কে জয় করে নিতে শিখেছে। ৩. রাজনীতিতে জনগণ খারাপ মানুষকে আর দেখতে চায় না, ভালো মানুষকে চায়। দল থেকে যদি চাপিয়ে দেওয়াও হয়, জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করে।
এ উপলব্ধিটি রাজনৈতিক দলগুলো যদি আমলে নেয় তবেই মঙ্গল। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে জনগণের বিজয় হয়েছে যেমন সত্য, পাশাপাশি অপরাজনীতি যে এখানে পরাজিত হয়েছে, এ সত্যটিও উপলব্ধি করতে হবে।
রফিউর রাব্বি: সদস্যসচিব, সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনের নাটকের প্রথম পর্বে এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কিন্তু যেহেতু এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এখানে দলের আনুষ্ঠানিক মনোনয়নের কোনো সুযোগ নেই, তথাপি দলের সমর্থন নিয়ে রাখঢাকের পর্ব চুকিয়ে অবশেষে তাঁরা শামীম ওসমানের পক্ষে দলীয় সমর্থন ব্যক্ত করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে দেশে ও দেশের বাইরে অত্যন্ত সরব। সুযোগ পেলেই তিনি বিদেশে তাঁর নারীর ক্ষমতায়নের অবস্থান তুলে ধরেন। আর এ কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি দুই হাতে বিদেশি পুরস্কারও নিচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে পার্থের নারী মেয়রের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তুমি একজন নারী মেয়র। আমার দেশেও একজন নারী মেয়র হতে যাচ্ছে।’ (সূত্র: প্রথম আলো, ০১.১১.২০১১) তিনি যখন পার্থের মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন, ততক্ষণে অবশ্য দেশবাসী নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অন্তরের বিষয়টি জেনে গেছেন। রাজনৈতিক নেতাদের বাহ্বা পাওয়ার জন্য বক্তৃতা আর অন্তর্গত সততার উচ্চারণের পার্থক্যটি জনগণ বুঝতে শিখেছে। দীর্ঘ আট বছরে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর নন্দিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পরিবর্তে সারা দেশে নিজের নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলা শামীম ওসমানকে দলীয় সমর্থন দেওয়াটা সাধারণ মানুষ তো নয়ই, দলীয় নেতা-কর্মীরাও যে গ্রহণ করতে পারেননি ভোটের ফলাফলই তা প্রকাশ করে। ভয়ে হয়তো দলীয় নেতা-কর্মী বা সাধারণ জনগণ মুখ খোলেননি। কিন্তু একটি ক্ষোভ ভেতরে ঠিকই ভস্মাচ্ছাদিত বহ্নি হয়ে রয়েছিল। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যেসব নেতা শামীম ওসমানের পক্ষে নারায়ণগঞ্জে এসেছেন, দেশবাসী তাঁদের ভালো লোক হিসেবে জানে না। তাঁদের বা বাইরের কারও আসা-যাওয়ায় ভোটারদের সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে জঙ্গি হামলার প্রচার, সেনাবাহিনী না দেওয়া ও সর্বোপরি বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের সরে দাঁড়ানো—সবকিছুই ভোটের হিসাবে শামীম ওসমানের বিপক্ষে গেছে। তাঁর অগ্রজ সাংসদ নাসিম ওসমানের সংবাদ সম্মেলন ও বিভিন্ন জনসভায় দেওয়া হুমকি-ধমকি ভোটারদের আইভীর প্রতি আরও সহানুভূতিশীল করে তুলেছে।
২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ডা. আইভী পৌর এলাকার প্রায় সর্বত্র রাস্তা, পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা, বিভিন্ন বাজার ও মসজিদের উন্নয়ন করেছেন। রামকৃষ্ণ মিশনের দীর্ঘদিনের বেদখল জায়গা উদ্ধার করেছেন, বিভিন্ন স্থানে মন্দির স্থাপন করেছেন। বস্তিবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। ১৯৮৫ সালে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট শহীদ মিনার নির্মাণ করলে সে অসমাপ্ত শহীদ মিনারটির কাজ ২০০৫ সালে ডা. আইভী সম্পন্ন করেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য তৈরি করেন। এমনই দৃশ্যমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তাঁর সময়ে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা করেছে, যার ফলে দলমত-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের সমর্থন তাঁর পক্ষে ছিল। এ বিষয়গুলো সরকারের অজানা থাকার কথা নয়। পাশাপাশি, সারা দেশে নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদের যে তকমা এঁটে দেওয়া হয়েছে, তার বাস্তব কারণও এখানে উপস্থিত। এ সত্যের পাশাপাশি সচেতন জনগণের শক্ত উপস্থিতিও এ জনপদে রয়েছে। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৬৯, ’৭১, আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের গৌরবের ইতিহাস এখানে রয়েছে। এখানে শেষ বিচারে কোনো অপশক্তিই জয়ী হতে পারেনি; তা স্বৈরশাসন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারি বা সাম্প্রদায়িকতা যা-ই হোক। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এ সত্যটিই প্রকাশ পেয়েছে। এখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তি, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, সুশীল সমাজ সম্মিলিতভাবে ডা. আইভীর পক্ষে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ গঠন করেছে।
এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে বার্তাটি প্রকাশ পেয়েছে তা হচ্ছে—১. রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র করে খলনায়ক হওয়া গেলেও নায়ক হওয়া যায় না। নায়ক হতে জনগণের প্রয়োজন পড়ে। ২. ভয় দেখিয়ে মানুষকে পরাজিত করা যায় না। মানুষ ভয়কে জয় করে নিতে শিখেছে। ৩. রাজনীতিতে জনগণ খারাপ মানুষকে আর দেখতে চায় না, ভালো মানুষকে চায়। দল থেকে যদি চাপিয়ে দেওয়াও হয়, জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করে।
এ উপলব্ধিটি রাজনৈতিক দলগুলো যদি আমলে নেয় তবেই মঙ্গল। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে জনগণের বিজয় হয়েছে যেমন সত্য, পাশাপাশি অপরাজনীতি যে এখানে পরাজিত হয়েছে, এ সত্যটিও উপলব্ধি করতে হবে।
রফিউর রাব্বি: সদস্যসচিব, সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ।
No comments