এডিপির অগ্রাধিকার প্রকল্প-বাস্তবসম্মত ও যথাযথ বাস্তবায়নই কাম্য
নতুন অর্থবছর শুরুর পর প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হতে চলল। এই সময়ের মধ্যেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অগ্রাধিকার প্রকল্প নির্ধারণ করতে পারেনি সরকার। আরো বিস্ময়কর হলো, এডিপির পরিকল্পিত অগ্রগতি অর্জন এবং এর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার আনুষ্ঠানিক নির্দেশনাও জারি করা হয়নি। সন্দেহ নেই, অর্থবছরের শুরুতে এডিপির ব্যাপারে তৎপর কিংবা মনোযোগী না হওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দেবে এবং বিদ্যমান অনেক সমস্যা সংকট কাটিয়ে ওঠা দুরূহ হবে।
তাড়াহুড়া করে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করতে গেলে কাজের মান তো খারাপ হবেই, পাশাপাশি অর্থ অপচয়ের আশঙ্কাও প্রকট হয়ে উঠবে। দারিদ্র্যপীড়িত এ দেশে একদিকে বেড়েছে সম্পদের সীমাবদ্ধতা, অন্যদিকে পরিলক্ষিত হয় অপচয়ের মহোৎসব। এরপর উন্নয়ন-অগ্রগতি যেটুকু হচ্ছে তা সংগত কারণেই 'সিন্ধুর মাঝে বিন্দু'র মতো।
এমনিতেই সময়মতো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন না হওয়ার কুনজির রয়েছে। এর মধ্যে যদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নির্ধারণ করা না যায় তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব বহুমুখী হয়ে উঠতে বাধ্য। ১৭ সেপ্টেম্বর কালের কণ্ঠে এ সম্পর্কিত প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সেই শঙ্কাকেই আরো গভীর করেছে। এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে প্রতিবছরই অর্থবছরের শেষ সময়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এ চিত্র বহু পুরনো এবং তা সত্যিকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রতিবন্ধক। এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার তাগিদ সরকারের নীতিনির্ধারকরা কতটা বোধ করেন এ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
কেন প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারের আমলেই এডিপি বাস্তবায়নে কম বেশি শৈথিল্য দেখা দেয়, এও এক জরুরি প্রশ্ন। এডিপি বাস্তবায়নের মূল কাজটা করে প্রশাসন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। এ অভিযোগ পুরনো যে রাজনৈতিক সরকারগুলো বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রকল্প হাতে নিয়ে থাকে বেশি। এমনটি সামগ্রিক ক্ষতিকর কারণ হয়ে দেখা দেয়। রাজনৈতিক সরকারের দায়বদ্ধতা-জবাবদিহিতার ক্ষেত্র যেহেতু অনেক বেশি বিস্তৃত, সেহেতু এ ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বশীল ও সংকীর্ণতার ঊধর্ে্ব ওঠা অবশ্যই খুব জরুরি। প্রশাসনের কাছে জনপ্রত্যাশা হলো রাষ্ট্রের সেবক হিসেবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের যথাযথ দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের যে অঙ্গীকার রয়েছে, তা বরখেলাপ না করা। এও জনপ্রত্যাশা যে প্রকল্প গ্রহণে সতর্কতার পাশাপাশি সরকার এর দ্রুত ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের সংস্কৃতি জোরদার করবে।
এসব বিষয় নিশ্চিত করতে সর্বাগ্রে দরকার প্রকল্পের অগ্রাধিকার। দরকার সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও দূরদর্শী নীতিমালা এবং প্রশাসনকে দক্ষ ও আন্তরিক করে তোলা। একটি বিষয় লক্ষণীয়, উন্নয়ন প্রকল্পে দেশের ভেতর থেকে অর্থ বা সম্পদ জোগানোর ক্ষমতা কালক্রমে বেড়ে উঠছে। এডিপিতে বিদেশি সূত্রে পাওয়া অর্থের ভাগ কমছে। কিন্তু সরকার এর উন্নতি নিশ্চিত করতে পারছে না বাস্তবায়ন ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নির্ণয়ে। আরো একটি বিষয়ে সরকারের সতর্কতা জরুরি_তা হলো কেন প্রকল্প প্রণয়নে বিলম্ব হয়, অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে গড়িমসি দেখা যায় এবং বাস্তবায়নে শৈথিল্য প্রদর্শিত হয় তা নির্ণয় করে এ ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। সরকারকে রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ করার লোকজন প্রশাসনে সব সময়ই ঘাপটি মেরে থাকে। একটা রাজনৈতিক সরকারের ব্যর্থতা মানে গণতন্ত্রের ক্ষতি, গণমানুষের ক্ষতি। এডিপি যেন শামুকের পিঠে না চাপে, তাও নিশ্চিত করার দায় সরকারেরই। বাস্তবতাসম্পন্ন এডিপি প্রণয়ন এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নই কাম্য।
এমনিতেই সময়মতো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন না হওয়ার কুনজির রয়েছে। এর মধ্যে যদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নির্ধারণ করা না যায় তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব বহুমুখী হয়ে উঠতে বাধ্য। ১৭ সেপ্টেম্বর কালের কণ্ঠে এ সম্পর্কিত প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সেই শঙ্কাকেই আরো গভীর করেছে। এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে প্রতিবছরই অর্থবছরের শেষ সময়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এ চিত্র বহু পুরনো এবং তা সত্যিকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রতিবন্ধক। এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার তাগিদ সরকারের নীতিনির্ধারকরা কতটা বোধ করেন এ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
কেন প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারের আমলেই এডিপি বাস্তবায়নে কম বেশি শৈথিল্য দেখা দেয়, এও এক জরুরি প্রশ্ন। এডিপি বাস্তবায়নের মূল কাজটা করে প্রশাসন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। এ অভিযোগ পুরনো যে রাজনৈতিক সরকারগুলো বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রকল্প হাতে নিয়ে থাকে বেশি। এমনটি সামগ্রিক ক্ষতিকর কারণ হয়ে দেখা দেয়। রাজনৈতিক সরকারের দায়বদ্ধতা-জবাবদিহিতার ক্ষেত্র যেহেতু অনেক বেশি বিস্তৃত, সেহেতু এ ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বশীল ও সংকীর্ণতার ঊধর্ে্ব ওঠা অবশ্যই খুব জরুরি। প্রশাসনের কাছে জনপ্রত্যাশা হলো রাষ্ট্রের সেবক হিসেবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের যথাযথ দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের যে অঙ্গীকার রয়েছে, তা বরখেলাপ না করা। এও জনপ্রত্যাশা যে প্রকল্প গ্রহণে সতর্কতার পাশাপাশি সরকার এর দ্রুত ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের সংস্কৃতি জোরদার করবে।
এসব বিষয় নিশ্চিত করতে সর্বাগ্রে দরকার প্রকল্পের অগ্রাধিকার। দরকার সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও দূরদর্শী নীতিমালা এবং প্রশাসনকে দক্ষ ও আন্তরিক করে তোলা। একটি বিষয় লক্ষণীয়, উন্নয়ন প্রকল্পে দেশের ভেতর থেকে অর্থ বা সম্পদ জোগানোর ক্ষমতা কালক্রমে বেড়ে উঠছে। এডিপিতে বিদেশি সূত্রে পাওয়া অর্থের ভাগ কমছে। কিন্তু সরকার এর উন্নতি নিশ্চিত করতে পারছে না বাস্তবায়ন ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নির্ণয়ে। আরো একটি বিষয়ে সরকারের সতর্কতা জরুরি_তা হলো কেন প্রকল্প প্রণয়নে বিলম্ব হয়, অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে গড়িমসি দেখা যায় এবং বাস্তবায়নে শৈথিল্য প্রদর্শিত হয় তা নির্ণয় করে এ ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। সরকারকে রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ করার লোকজন প্রশাসনে সব সময়ই ঘাপটি মেরে থাকে। একটা রাজনৈতিক সরকারের ব্যর্থতা মানে গণতন্ত্রের ক্ষতি, গণমানুষের ক্ষতি। এডিপি যেন শামুকের পিঠে না চাপে, তাও নিশ্চিত করার দায় সরকারেরই। বাস্তবতাসম্পন্ন এডিপি প্রণয়ন এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নই কাম্য।
No comments