রঙধনুর রঙে রঙিন স্বপ্ন উৎসব by বৃত্বা রায় দীপা
শিশুদের জন্য স্বপ্নরঙিন চলচ্চিত্রের বিশ্ব আসরের আয়োজন করেছে চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি। 'ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন' এই স্লোগান নিয়ে পঞ্চমবারের মতো শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র বাংলাদেশ আজ শেষ হচ্ছে। পর্দা উঠেছিল ২১ জানুয়ারি।
প্রথমবারের মতো এই উৎসবের সূচনা হয় ২০০৮ সালে। এরপর থেকে প্রতিবারই এই উৎসবে নতুন নতুন মাত্রা যোগ হয়ে উৎসবটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে এবং শিশুদের আরও কাছে নিয়ে যাচ্ছে। এবারের উৎসবে নতুন মাত্রা হিসেবে যা যোগ হয়েছে তা হলো, ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট এই সাতটি নগরে একই সঙ্গে উৎসব চলছে। এবারের উৎসবে ঢাকায় ৭টিসহ সারাদেশে ১৯টি ভেন্যুতে ৪০টি দেশের ২০০ শিশু চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনী চলছে সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শুধু চলচ্চিত্র প্রদর্শনই নয়, আছে সেমিনার-চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা, দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বের সঙ্গে শিশুদের নির্ভেজাল আড্ডা। আর এসব কিছুতে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করে নির্বাচিত হয়ে এসেছে ১৩০ জন শিশু প্রতিনিধি। তাদের মধ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং ভিন্নভাবে শারীরিক সক্ষম শিশুও আছে।
এই উৎসবের বিশেষ চমক হলো একঝাঁক শিশু ভলান্টিয়ার। ৫ থেকে ১৮ বছরের এই নিবেদিতপ্রাণ ভলান্টিয়ারদের কর্মচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে থাকে উৎসব প্রাঙ্গণ। তাদের কথা হলো, আমাদের উৎসব আমরাই সব কাজ করব। তাই প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবের ছবি বাছাই, অফিস ব্যবস্থাপনা, উৎসব স্যুভেনির ও প্রতিদিনের বুলেটিন প্রকাশ, ছবি তোলা ও রিপোর্টিং, শহরজুড়ে পোস্টার লাগানো, প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যোগাযোগ, প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার ছবি বাছাই, প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরি বোর্ড, ছবির প্রজেকশন, টিকিট বিক্রি, সেলস সেন্টার পরিচালনা, সেমিনার ব্যবস্থাপনা, উপস্থাপনা, প্রদর্শনী হল এবং উৎসব প্রাঙ্গণের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, খাবার পরিবেশন সবখানেই অসাধারণ দক্ষতায় শতভাগ কাজ করেছে শিশুরা। তাদের সম্মিলিত শ্রম-মেধায় জমে উঠেছে রঙধনুর রঙে রাঙা শিশু চলচ্চিত্রের এই বিশ্ব আসর। বড়রা অনেক সময় ভাবেন, ব্যাপক আয়োজনের কাজ শিশুরা তেমন করে পারে না। তাই তাদের হাতে কিছু ছাড়া যাবে না। তারা নষ্ট করে ফেলবে! এখনও যারা চিন্তার এই বৃত্ত ভাঙতে পারেননি, ধারণা বদলাতে তাদের আমন্ত্রণ জানাই পঞ্চম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশে।
উৎসবের আড্ডা ও সেমিনার পর্বে শিশুদের প্রিয় দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বরা হাজির হচ্ছেন শিশুদের কাছে। সরল-সোজা প্রশ্ন কিন্তু তার উত্তর দিতে রীতিমতো ঘেমে যাচ্ছেন বক্তারা, কখনোবা হারিয়ে যাচ্ছেন শৈশবে! আর নির্মল আড্ডা চলছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তৈরি হচ্ছে চিন্তার মেলবন্ধন।
উৎসবের দ্বিতীয় বছর থেকে শুরু হয়েছে শিশু নির্মাতাদের (অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী) নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা। সেরা ছবিগুলো পুরস্কৃত হচ্ছে। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হলো, প্রতি বছরই শিশু নির্মাতাদের ছবি উলেল্গখযোগ্য হারে জমা পড়ছে। শিশুরা মনের আনন্দে তৈরি করছে যে কোনো দৈর্ঘ্যের, যে কোনো মাধ্যমে নির্মিত সিনেমা। সে প্রতিযোগিতার বিচারকও শিশুরাই। কেননা তারাই সবচেয়ে ভালো বুঝবে কোন ছবিগুলো তাদের ভালো লেগেছে। এখানে চাপিয়ে দেওয়ার বালাই নেই, নেই নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি। মেপে দেওয়া কোনো লক্ষণরেখাও নেই। এই তিন বছরে বাংলাদেশের শিশুরা নির্মাণ করেছে বিশ্বমানের বেশকিছু ছবি। এই শিশু নির্মাতাদের মধ্যে রায়হান আহমেদের 'ক্যানভাস' ছবিটি নেদারল্যান্ডস ফেস্টিভ্যালে দি ওয়ান মিনিট জুনিয়র বিভাগে অর্জন করেছে বিশেষ পুরস্কার। একই নির্মাতার 'থার্ড আই' ছবিটি এডিবি, ফিলিপাইন ফেস্টিভ্যালে অর্জন করেছে তৃতীয় পুরস্কার। এই দুটি ছবিই প্রদর্শিত হয়েছিল তৃতীয় ও চতুর্থ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র বাংলাদেশে। কে জানে, আজকের এই খুদে নির্মাতাদের মধ্যেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে এমন কেউ যে একদিন অর্জন করবে অস্কার বা বদলে দেবে চলচ্চিত্রের ধারণা।
এখন এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা চলছি যখন ছোট থেকে বড় সব শহরেই নিউক্লিয়ার পরিবারের প্রভাবে শিশুরা প্রতিদিন একা থেকে আরও একা হয়ে পড়ছে। সে একা ঘুমায়, একা স্কুলে যায়, একা একা খেলে। এর মধ্য দিয়ে শিশু তার অজান্তে হারিয়ে ফেলছে সামষ্টিক বোধ, যা শৈশবেই জন্ম নেয় প্রতিটি মানুষের মধ্যে। যে সামষ্টিক বোধ ধীরে ধীরে পরিণত হয়ে উঠত স্কুল মাঠে ফুটবল বা দাঁড়িয়াবান্ধা খেলার মধ্য দিয়ে।
শুধু নিজে নয় জেতাতে হবে দলকে, এর মধ্য দিয়ে শিশু শিখত অংশভাগিতা। সামষ্টিক স্বার্থের কাছে হার মানত একা বড় হওয়ার চিন্তা। আজকের বাস্তবতায় একা শিশুটি ক্রমাগত হয়ে পড়ছে এক স্বার্থপর যন্ত্র-মানুষ। এ সময় শিশুকে শেখায় 'বেস্টফ্রেন্ড'কে পাশ কাটিয়ে কী করে 'বেস্ট অব দ্য বেস্ট' হতে হবে, হতেই হবে। না হলে জীবন বৃথা। বাবা-মায়ের স্বপ্ন মিথ্যা। তখন বেস্টফ্রেন্ড হয়ে যায় একই প্রতিযোগিতার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। এ সময় যখন শিশুর সৃজনশীলতা আর স্বাভাবিক লালিত্য কেড়ে নিয়ে তাকে বানায় এক দারুণ রকম রোবট মানুষ, ঠিক তখন শিশুদের জন্য এই আয়োজন। বেড়ে উঠুক শিশু তার স্বাভাবিক সৃজনশীলতা নিয়ে, জেগে উঠুক তার বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ। প্রসঙ্গত বলছি, গত বছর অনুষ্ঠিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের একটি ঘটনা। 'হয়্যার ইজ উংকিস হর্স' দেখার পর প্রদর্শনী হলের পাশে আকুল হয়ে কাঁদতে দেখেছি উৎসবে আমন্ত্রিত এক সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে। উংকির বেদনা তার চোখের জলে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ভাষা হয়নি সেখানে কোনো প্রতিবন্ধক। অনুভূতি প্রাণে প্রাণে মিলিয়ে দিয়েছে। উৎসবের একটি বড় সার্থকতা এটিই। এই উৎসব শিশুকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়, স্বপ্ন বুনতে শেখায়, স্বপ্ন নির্মাণ করতে শেখায়, স্বপ্নে স্বপ্নে ডানা মেলতে শেখায়। এই সবুজ ছোট্ট গ্রহ-গ্রামে সাদা-কালো-বাদামি সবাই আমরা পড়শি_ অতি আপনজন, এই চেতনার আলোর হাত ধরে শিশু পেঁৗছে যাক সমতার বিশ্বে।
বৃত্বা রায় দীপা : চিত্রনির্মাতা, সংগঠক
চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি
b.roydipa@yahoo.com
এই উৎসবের বিশেষ চমক হলো একঝাঁক শিশু ভলান্টিয়ার। ৫ থেকে ১৮ বছরের এই নিবেদিতপ্রাণ ভলান্টিয়ারদের কর্মচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে থাকে উৎসব প্রাঙ্গণ। তাদের কথা হলো, আমাদের উৎসব আমরাই সব কাজ করব। তাই প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবের ছবি বাছাই, অফিস ব্যবস্থাপনা, উৎসব স্যুভেনির ও প্রতিদিনের বুলেটিন প্রকাশ, ছবি তোলা ও রিপোর্টিং, শহরজুড়ে পোস্টার লাগানো, প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যোগাযোগ, প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার ছবি বাছাই, প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরি বোর্ড, ছবির প্রজেকশন, টিকিট বিক্রি, সেলস সেন্টার পরিচালনা, সেমিনার ব্যবস্থাপনা, উপস্থাপনা, প্রদর্শনী হল এবং উৎসব প্রাঙ্গণের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, খাবার পরিবেশন সবখানেই অসাধারণ দক্ষতায় শতভাগ কাজ করেছে শিশুরা। তাদের সম্মিলিত শ্রম-মেধায় জমে উঠেছে রঙধনুর রঙে রাঙা শিশু চলচ্চিত্রের এই বিশ্ব আসর। বড়রা অনেক সময় ভাবেন, ব্যাপক আয়োজনের কাজ শিশুরা তেমন করে পারে না। তাই তাদের হাতে কিছু ছাড়া যাবে না। তারা নষ্ট করে ফেলবে! এখনও যারা চিন্তার এই বৃত্ত ভাঙতে পারেননি, ধারণা বদলাতে তাদের আমন্ত্রণ জানাই পঞ্চম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশে।
উৎসবের আড্ডা ও সেমিনার পর্বে শিশুদের প্রিয় দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বরা হাজির হচ্ছেন শিশুদের কাছে। সরল-সোজা প্রশ্ন কিন্তু তার উত্তর দিতে রীতিমতো ঘেমে যাচ্ছেন বক্তারা, কখনোবা হারিয়ে যাচ্ছেন শৈশবে! আর নির্মল আড্ডা চলছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তৈরি হচ্ছে চিন্তার মেলবন্ধন।
উৎসবের দ্বিতীয় বছর থেকে শুরু হয়েছে শিশু নির্মাতাদের (অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী) নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা। সেরা ছবিগুলো পুরস্কৃত হচ্ছে। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হলো, প্রতি বছরই শিশু নির্মাতাদের ছবি উলেল্গখযোগ্য হারে জমা পড়ছে। শিশুরা মনের আনন্দে তৈরি করছে যে কোনো দৈর্ঘ্যের, যে কোনো মাধ্যমে নির্মিত সিনেমা। সে প্রতিযোগিতার বিচারকও শিশুরাই। কেননা তারাই সবচেয়ে ভালো বুঝবে কোন ছবিগুলো তাদের ভালো লেগেছে। এখানে চাপিয়ে দেওয়ার বালাই নেই, নেই নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি। মেপে দেওয়া কোনো লক্ষণরেখাও নেই। এই তিন বছরে বাংলাদেশের শিশুরা নির্মাণ করেছে বিশ্বমানের বেশকিছু ছবি। এই শিশু নির্মাতাদের মধ্যে রায়হান আহমেদের 'ক্যানভাস' ছবিটি নেদারল্যান্ডস ফেস্টিভ্যালে দি ওয়ান মিনিট জুনিয়র বিভাগে অর্জন করেছে বিশেষ পুরস্কার। একই নির্মাতার 'থার্ড আই' ছবিটি এডিবি, ফিলিপাইন ফেস্টিভ্যালে অর্জন করেছে তৃতীয় পুরস্কার। এই দুটি ছবিই প্রদর্শিত হয়েছিল তৃতীয় ও চতুর্থ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র বাংলাদেশে। কে জানে, আজকের এই খুদে নির্মাতাদের মধ্যেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে এমন কেউ যে একদিন অর্জন করবে অস্কার বা বদলে দেবে চলচ্চিত্রের ধারণা।
এখন এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা চলছি যখন ছোট থেকে বড় সব শহরেই নিউক্লিয়ার পরিবারের প্রভাবে শিশুরা প্রতিদিন একা থেকে আরও একা হয়ে পড়ছে। সে একা ঘুমায়, একা স্কুলে যায়, একা একা খেলে। এর মধ্য দিয়ে শিশু তার অজান্তে হারিয়ে ফেলছে সামষ্টিক বোধ, যা শৈশবেই জন্ম নেয় প্রতিটি মানুষের মধ্যে। যে সামষ্টিক বোধ ধীরে ধীরে পরিণত হয়ে উঠত স্কুল মাঠে ফুটবল বা দাঁড়িয়াবান্ধা খেলার মধ্য দিয়ে।
শুধু নিজে নয় জেতাতে হবে দলকে, এর মধ্য দিয়ে শিশু শিখত অংশভাগিতা। সামষ্টিক স্বার্থের কাছে হার মানত একা বড় হওয়ার চিন্তা। আজকের বাস্তবতায় একা শিশুটি ক্রমাগত হয়ে পড়ছে এক স্বার্থপর যন্ত্র-মানুষ। এ সময় শিশুকে শেখায় 'বেস্টফ্রেন্ড'কে পাশ কাটিয়ে কী করে 'বেস্ট অব দ্য বেস্ট' হতে হবে, হতেই হবে। না হলে জীবন বৃথা। বাবা-মায়ের স্বপ্ন মিথ্যা। তখন বেস্টফ্রেন্ড হয়ে যায় একই প্রতিযোগিতার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। এ সময় যখন শিশুর সৃজনশীলতা আর স্বাভাবিক লালিত্য কেড়ে নিয়ে তাকে বানায় এক দারুণ রকম রোবট মানুষ, ঠিক তখন শিশুদের জন্য এই আয়োজন। বেড়ে উঠুক শিশু তার স্বাভাবিক সৃজনশীলতা নিয়ে, জেগে উঠুক তার বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ। প্রসঙ্গত বলছি, গত বছর অনুষ্ঠিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের একটি ঘটনা। 'হয়্যার ইজ উংকিস হর্স' দেখার পর প্রদর্শনী হলের পাশে আকুল হয়ে কাঁদতে দেখেছি উৎসবে আমন্ত্রিত এক সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে। উংকির বেদনা তার চোখের জলে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ভাষা হয়নি সেখানে কোনো প্রতিবন্ধক। অনুভূতি প্রাণে প্রাণে মিলিয়ে দিয়েছে। উৎসবের একটি বড় সার্থকতা এটিই। এই উৎসব শিশুকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়, স্বপ্ন বুনতে শেখায়, স্বপ্ন নির্মাণ করতে শেখায়, স্বপ্নে স্বপ্নে ডানা মেলতে শেখায়। এই সবুজ ছোট্ট গ্রহ-গ্রামে সাদা-কালো-বাদামি সবাই আমরা পড়শি_ অতি আপনজন, এই চেতনার আলোর হাত ধরে শিশু পেঁৗছে যাক সমতার বিশ্বে।
বৃত্বা রায় দীপা : চিত্রনির্মাতা, সংগঠক
চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি
b.roydipa@yahoo.com
No comments