সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন শুরু-রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত, আলোচনা
নবম জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে। বেলা সাড়ে তিনটায় অধিবেশনের শুরুতে বক্তব্য দেন স্পিকার আবদুল হামিদ। এরপর সদ্য প্রয়াত সাংসদ আবদুর রাজ্জাক, অন্যান্য সাংসদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
শোক প্রস্তাবের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবদুর রাজ্জাকের বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন আমার মা। কনে দেখা হয় আমাদের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের পর আমি যখন দেশের বাইরে, তখন অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। আমি তাঁদের আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিতাম। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন মুক্তিযোদ্ধা, দক্ষ সংগঠক, দেশপ্রেমিককে হারালাম।’
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্ব ছিল উঁচুমানের, প্রকাশ ছিল কাজে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আবদুর রাজ্জাক দেশের মঙ্গল চাইতেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর অনেকের মতো আবদুর রাজ্জাকও কারাগারে যান। ১৯৭৮-এ কারামুক্ত হয়ে যেভাবে তিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন, তার তুলনা বিরল। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, রাজ্জাকের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিভিন্ন সময়ে অপমান, লাঞ্ছনার মাঝেও রাজ্জাক হাসিমুখে কাজ করে গেছেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে, তাতে রাজ্জাকের মতো নেতা পাশে থাকলে এই ষড়যন্ত্রকে শক্তভাবে মোকাবিলা করা যেত।
আলোচনায় আরও অংশ নেন রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, রহমত আলী, শাজাহান খান, রুহুল আমিন হাওলাদার।
এ ছাড়া সাবেক সাংসদ রাশেদ মোশারফ, আবদুর রউফ, শামসুর রহমান খান শাহজাহান, এম এ কফিল উদ্দিন, এম এ ওহাব, হামিদুজ্জামান সরকার, মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ খান, এম আর মজুমদার, নজরুল ইসলাম, আবদুল হাই, সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নিত্যানন্দ দাস চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, সাংবাদিক রশীদ তালুকদার, সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব আবুল হোসেন এবং সহকারী সচিব নাজিম উদ্দিন খন্দকারের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
উদ্বোধনী ভাষণে স্পিকার বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে এসে জনগণের কথা বলা সাংসদদের পবিত্র দায়িত্ব। সংসদকে কাজে লাগিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের সাংসদেরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে পারেন। তাই সংসদকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও ভূমিকা রাখতে হবে।
স্পিকারের ভাষণের পর রাষ্ট্রপতির জারি করা পাঁচটি অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার জন্য বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করা হয়। এগুলো হলো: মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন অধ্যাদেশ, ২০১১; সরকারি কর্মচারীর অবসর (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১১; অপরাধ সম্পর্কিত পারস্পরিক সহায়তা অধ্যাদেশ, ২০১২; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ, ২০১২ এবং সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১২।
শোক প্রস্তাব গ্রহণ শেষে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্ব ছিল উঁচুমানের, প্রকাশ ছিল কাজে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আবদুর রাজ্জাক দেশের মঙ্গল চাইতেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর অনেকের মতো আবদুর রাজ্জাকও কারাগারে যান। ১৯৭৮-এ কারামুক্ত হয়ে যেভাবে তিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন, তার তুলনা বিরল। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, রাজ্জাকের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিভিন্ন সময়ে অপমান, লাঞ্ছনার মাঝেও রাজ্জাক হাসিমুখে কাজ করে গেছেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে, তাতে রাজ্জাকের মতো নেতা পাশে থাকলে এই ষড়যন্ত্রকে শক্তভাবে মোকাবিলা করা যেত।
আলোচনায় আরও অংশ নেন রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, রহমত আলী, শাজাহান খান, রুহুল আমিন হাওলাদার।
এ ছাড়া সাবেক সাংসদ রাশেদ মোশারফ, আবদুর রউফ, শামসুর রহমান খান শাহজাহান, এম এ কফিল উদ্দিন, এম এ ওহাব, হামিদুজ্জামান সরকার, মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ খান, এম আর মজুমদার, নজরুল ইসলাম, আবদুল হাই, সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নিত্যানন্দ দাস চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, সাংবাদিক রশীদ তালুকদার, সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব আবুল হোসেন এবং সহকারী সচিব নাজিম উদ্দিন খন্দকারের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
উদ্বোধনী ভাষণে স্পিকার বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে এসে জনগণের কথা বলা সাংসদদের পবিত্র দায়িত্ব। সংসদকে কাজে লাগিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের সাংসদেরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে পারেন। তাই সংসদকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও ভূমিকা রাখতে হবে।
স্পিকারের ভাষণের পর রাষ্ট্রপতির জারি করা পাঁচটি অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার জন্য বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করা হয়। এগুলো হলো: মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন অধ্যাদেশ, ২০১১; সরকারি কর্মচারীর অবসর (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১১; অপরাধ সম্পর্কিত পারস্পরিক সহায়তা অধ্যাদেশ, ২০১২; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ, ২০১২ এবং সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১২।
শোক প্রস্তাব গ্রহণ শেষে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
No comments