আবার ছাত্রলীগ-প্রতিরোধের এখনই সময়
খবরের শিরোনামে আবার ছাত্রলীগ। বেপরোয়া ছাত্রলীগকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের একসময়কার অঙ্গসংগঠন, এখন সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ নিজেদের মধ্যেই কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে। প্রতিপক্ষের ওপর সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। অন্য কোনো ছাত্র সংগঠন এখন ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ নয়। ছাত্রলীগ এখন নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ। চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ছে ছাত্রলীগ।
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজেদের মধ্যে গোলযোগে ঘটছে রক্তপাত।
ছাত্ররাজনীতির গৌরবময় অতীত এখন কেবলই স্মৃতি। একসময় ছাত্ররাজনীতিতে আসতেন মেধাবী ছাত্ররা। দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল ভূমিকা ছিল তাঁদের। সেই সোনালি দিন এখন আর নেই। নীতি ও আদর্র্শের রাজনীতি করতেন ছাত্ররা। আজকের ছাত্ররাজনীতির ভয়ংকর চেহারা দেখে কে বলবে, বাংলাদেশের ছাত্রদের নেতৃত্বেই এ দেশে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। ঊনসত্তরের মহান গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ_সবখানেই ছাত্রদের ভূমিকা উজ্জ্বল। ছাত্ররাজনীতি বেপথু হয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পর। এরপর সামরিকতন্ত্রের কবলে পড়ে ছাত্ররাজনীতির যে অধঃপতনের শুরু, আজকের ছাত্রলীগ যেন সেই ধারারই উত্তরাধিকার বহন করছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা-সামরিক শাসন-সামরিক জান্তার আড়ালে গণতন্ত্রের নামে সমাজকে কলুষিত করার যে চেষ্টা অতীতে হয়েছে, তা থেকে ছাত্ররাজনীতিও মুক্ত ছিল না। তার ধারাবাহিকতাই যেন চলছে এখনো। আর এগুলোর পাশাপাশি সামরিকতন্ত্রের আশীর্বাদপুষ্ট সরকারি দলের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের আগ্রাসন এবং রগকাটা-রাজনীতি ছাত্ররাজনীতিকে এমনভাবে কলুষিত করেছে যে তা থেকে মুক্তির কোনো সহজ পথ খোলা আছে, এমনটি বলা যাবে না। ছাত্রলীগের একটি ইতিহাস আছে। ছাত্রলীগ এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। কিন্তু সেই ইতিহাস ভুলে আজকের ছাত্রলীগ নিজেদের নিয়ে গেছে এক ভয়ংকর জায়গায়, যেখান থেকে ফিরে আসার কোনো পথ আর খোলা আছে বলে মনে হয় না। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, ছাত্রলীগের ব্যাপারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিলেন। তাঁর হুঁশিয়ারিও কোনো কাজে আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই সংগঠনটির সাবেক নেতারাও হতাশ। বছর দুয়েক আগে একসময়কার ছাত্রনেতা, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের অবাধ্য নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তোলারও আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এত উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রলীগ তাঁরা কখনো দেখেননি। গত মঙ্গলবার জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত ছবি দেখে যে ধারণা সৃষ্টি হতে পারে, তাতে ছাত্রলীগের কিছু আসে যায় না। ছাত্রলীগের কার্যকলাপ দেখে অনেকের মনে হতে পারে, এটা কোনো ছাত্র সংগঠন নয়। এটা যেন একটি খুনে বাহিনী। নানা রকম অপকর্ম সম্পাদন করতে যেমন বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলা হয়, সে রকম। ছাত্রলীগও যেন তেমন একটি চরিত্র পেয়ে গেছে। একের পর এক অপকর্মের জন্য ছাত্রলীগ নেতৃত্বের কোনো অনুশোচনা আছে বলেও মনে হয় না। ছাত্রলীগ গণতান্ত্রিক সরকারের প্রায় সব অর্জনকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। নগদ প্রাপ্তির লোভেই অনেক ছাত্র জড়িয়ে পড়ছে টেন্ডারবাজিতে। অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে চলেছে ওরা, কোনোভাবেই ওদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্রলীগও এর বাইরে নেই। সরকারি দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ যেন অরাজকতা সৃষ্টির লাইসেন্স নিয়ে ফেলেছে।
এখন সময় প্রতিরোধের। প্রতিরোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারি দলকে নিতে হবে মুখ্য ভূমিকা। ভয়ংকর, অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ আমরা দেখতে চাই না।
ছাত্ররাজনীতির গৌরবময় অতীত এখন কেবলই স্মৃতি। একসময় ছাত্ররাজনীতিতে আসতেন মেধাবী ছাত্ররা। দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল ভূমিকা ছিল তাঁদের। সেই সোনালি দিন এখন আর নেই। নীতি ও আদর্র্শের রাজনীতি করতেন ছাত্ররা। আজকের ছাত্ররাজনীতির ভয়ংকর চেহারা দেখে কে বলবে, বাংলাদেশের ছাত্রদের নেতৃত্বেই এ দেশে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। ঊনসত্তরের মহান গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ_সবখানেই ছাত্রদের ভূমিকা উজ্জ্বল। ছাত্ররাজনীতি বেপথু হয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পর। এরপর সামরিকতন্ত্রের কবলে পড়ে ছাত্ররাজনীতির যে অধঃপতনের শুরু, আজকের ছাত্রলীগ যেন সেই ধারারই উত্তরাধিকার বহন করছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা-সামরিক শাসন-সামরিক জান্তার আড়ালে গণতন্ত্রের নামে সমাজকে কলুষিত করার যে চেষ্টা অতীতে হয়েছে, তা থেকে ছাত্ররাজনীতিও মুক্ত ছিল না। তার ধারাবাহিকতাই যেন চলছে এখনো। আর এগুলোর পাশাপাশি সামরিকতন্ত্রের আশীর্বাদপুষ্ট সরকারি দলের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের আগ্রাসন এবং রগকাটা-রাজনীতি ছাত্ররাজনীতিকে এমনভাবে কলুষিত করেছে যে তা থেকে মুক্তির কোনো সহজ পথ খোলা আছে, এমনটি বলা যাবে না। ছাত্রলীগের একটি ইতিহাস আছে। ছাত্রলীগ এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। কিন্তু সেই ইতিহাস ভুলে আজকের ছাত্রলীগ নিজেদের নিয়ে গেছে এক ভয়ংকর জায়গায়, যেখান থেকে ফিরে আসার কোনো পথ আর খোলা আছে বলে মনে হয় না। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, ছাত্রলীগের ব্যাপারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিলেন। তাঁর হুঁশিয়ারিও কোনো কাজে আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই সংগঠনটির সাবেক নেতারাও হতাশ। বছর দুয়েক আগে একসময়কার ছাত্রনেতা, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের অবাধ্য নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তোলারও আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এত উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রলীগ তাঁরা কখনো দেখেননি। গত মঙ্গলবার জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত ছবি দেখে যে ধারণা সৃষ্টি হতে পারে, তাতে ছাত্রলীগের কিছু আসে যায় না। ছাত্রলীগের কার্যকলাপ দেখে অনেকের মনে হতে পারে, এটা কোনো ছাত্র সংগঠন নয়। এটা যেন একটি খুনে বাহিনী। নানা রকম অপকর্ম সম্পাদন করতে যেমন বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলা হয়, সে রকম। ছাত্রলীগও যেন তেমন একটি চরিত্র পেয়ে গেছে। একের পর এক অপকর্মের জন্য ছাত্রলীগ নেতৃত্বের কোনো অনুশোচনা আছে বলেও মনে হয় না। ছাত্রলীগ গণতান্ত্রিক সরকারের প্রায় সব অর্জনকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। নগদ প্রাপ্তির লোভেই অনেক ছাত্র জড়িয়ে পড়ছে টেন্ডারবাজিতে। অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে চলেছে ওরা, কোনোভাবেই ওদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্রলীগও এর বাইরে নেই। সরকারি দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ যেন অরাজকতা সৃষ্টির লাইসেন্স নিয়ে ফেলেছে।
এখন সময় প্রতিরোধের। প্রতিরোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারি দলকে নিতে হবে মুখ্য ভূমিকা। ভয়ংকর, অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ আমরা দেখতে চাই না।
No comments