বিজয় দিবসেও জাতীয় প্যারেড হলো নাঃ কারণ বলা হয়নি
শেষ পর্যন্ত এবারের বিজয় দিবসেও জাতীয় প্যারেড বা কুচকাওয়াজ হলো না। স্বাধীনতার পর থেকে নিয়মিতভাবে জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছরও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্যারেডে রাষ্ট্রপতি সালাম গ্রহণ করেছেন।
সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসির নেতৃত্বে তিনবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিডিআর, বিএনসিসি, আনসার-ভিডিপি ও মুক্তিযোদ্ধারা কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন। এ বছর পুরনো বিমানবন্দর সংলগ্ন জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে কিছুই হয়নি। বিষয়টি বেশিরভাগ পত্র-পত্রিকা এড়িয়ে গেলেও গতকালের আমার দেশ নজিরবিহীন এ ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
সাধারণত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসেই জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিগত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এর পরিবর্তন করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শুরু করে। সে অনুযায়ী এবারে ২৬ মার্চ কুচকাওয়াজ না হওয়ায় সবাই ধরে নিয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর ধুমধামের সঙ্গে তা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু হয়নি। না হওয়ার বিষয়ে সরকার থেকে কিছু বলাও হয়নি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কিছু জানা যায়নি। ফলে বিষয়টি জনমনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে স্বাভাবিকভাবে।
আমেরিকা, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়মিতভাবে জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠান একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর নিজেদের ভিক্টোরি ডে বা বিজয় দিবস উদযাপনের অন্যতম অনুষ্ঠান এই কুচকাওয়াজ। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষমতা তুলে ধরা হয়। সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীসহ বিভিন্ন আধাসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকস সদস্যদের সুসজ্জিত কুচকাওয়াজ ও বাছাইকরা সামরিক সরঞ্জামাদি প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদের শৌর্য-বীর্যের মহড়া দেয়া হয়। সাধারণ মানুষের মনে এ থেকে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। গর্বে ভরে ওঠে সবার বুক। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গঠনে এর ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না।
জাতীয় প্যারেডের বদলে এবার ঢাকা জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজের আয়োজন করে রাষ্ট্রপতি সেখানে সালাম গ্রহণ করেছেন। আর আমাদের সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় গিয়েছে ফোর্ট উইলিয়ামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয় উত্সবে যোগ দিতে। ভারতেও প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর জাঁকজমকের সঙ্গে ‘বিজয় দিবস’ পালন করা হয়ে থাকে। ভারতীয় বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতরে ৪ দিনব্যাপী বিজয় দিবসের উত্সবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে কথা উঠতো না যদি দেশে জাতীয় প্যারেডে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দৃশ্যমান হতো। কেন আওয়ামী মহাজোট সরকারের প্রথম বছর জাতীয় প্যারেড হলো না সে প্রশ্ন এখন বড় হয়ে উঠেছে।
তাছাড়া মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর বিধ্বস্ত অবস্থা এবং নৃশংসভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডে সৃষ্ট বিশেষ পরিস্থিতিতে জাতীয় প্যারেড না হওয়া সবার ওপরই একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এমন ধারণা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। অবশ্য এর পেছনে নিরাপত্তাজনিত কারণও থাকতে পারে। কেননা, ইদানীং বিশেষ করে বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তার প্রশ্নটি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছিল। নাকি অন্য কোনো বিষয় বড় হয়ে ওঠার ফলেই ঐতিহ্যবাহী জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠানের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে? বিষয়টি নিয়ে সরকারের মুখে তালা দেয়া ভূমিকা এ ধরনের নানা প্রশ্ন ছড়িয়ে দিয়েছে জনমনে। ডালপালা বিস্তারের আগেই এর অবসান হওয়া দরকার।
সাধারণত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসেই জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিগত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এর পরিবর্তন করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শুরু করে। সে অনুযায়ী এবারে ২৬ মার্চ কুচকাওয়াজ না হওয়ায় সবাই ধরে নিয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর ধুমধামের সঙ্গে তা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু হয়নি। না হওয়ার বিষয়ে সরকার থেকে কিছু বলাও হয়নি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কিছু জানা যায়নি। ফলে বিষয়টি জনমনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে স্বাভাবিকভাবে।
আমেরিকা, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়মিতভাবে জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠান একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর নিজেদের ভিক্টোরি ডে বা বিজয় দিবস উদযাপনের অন্যতম অনুষ্ঠান এই কুচকাওয়াজ। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষমতা তুলে ধরা হয়। সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীসহ বিভিন্ন আধাসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকস সদস্যদের সুসজ্জিত কুচকাওয়াজ ও বাছাইকরা সামরিক সরঞ্জামাদি প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদের শৌর্য-বীর্যের মহড়া দেয়া হয়। সাধারণ মানুষের মনে এ থেকে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। গর্বে ভরে ওঠে সবার বুক। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গঠনে এর ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না।
জাতীয় প্যারেডের বদলে এবার ঢাকা জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজের আয়োজন করে রাষ্ট্রপতি সেখানে সালাম গ্রহণ করেছেন। আর আমাদের সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় গিয়েছে ফোর্ট উইলিয়ামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয় উত্সবে যোগ দিতে। ভারতেও প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর জাঁকজমকের সঙ্গে ‘বিজয় দিবস’ পালন করা হয়ে থাকে। ভারতীয় বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতরে ৪ দিনব্যাপী বিজয় দিবসের উত্সবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে কথা উঠতো না যদি দেশে জাতীয় প্যারেডে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দৃশ্যমান হতো। কেন আওয়ামী মহাজোট সরকারের প্রথম বছর জাতীয় প্যারেড হলো না সে প্রশ্ন এখন বড় হয়ে উঠেছে।
তাছাড়া মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর বিধ্বস্ত অবস্থা এবং নৃশংসভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডে সৃষ্ট বিশেষ পরিস্থিতিতে জাতীয় প্যারেড না হওয়া সবার ওপরই একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এমন ধারণা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। অবশ্য এর পেছনে নিরাপত্তাজনিত কারণও থাকতে পারে। কেননা, ইদানীং বিশেষ করে বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তার প্রশ্নটি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছিল। নাকি অন্য কোনো বিষয় বড় হয়ে ওঠার ফলেই ঐতিহ্যবাহী জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠানের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে? বিষয়টি নিয়ে সরকারের মুখে তালা দেয়া ভূমিকা এ ধরনের নানা প্রশ্ন ছড়িয়ে দিয়েছে জনমনে। ডালপালা বিস্তারের আগেই এর অবসান হওয়া দরকার।
No comments