মিসরে বিদ্রোহের বর্ষপূর্তি উদ্যাপিত-কায়রোর তাহিরর স্কয়ারে হাজারো মানুষের ঢল
মিসরে মোবারকবিরোধী বিদ্রোহের প্রথম বর্ষপূর্তি উদ্যাপনে গতকাল বুধবার রাজধানী কায়রোয় ঐতিহাসিক তাহিরর স্কয়ারে হাজারো মানুষের ঢল নামে। এই সমাবেশে হাজার হাজার ইসলামপন্থী, উদারপন্থী ও বামপন্থী নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ যোগ দেন। এই বিদ্রোহের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতন ঘটে।
তবে এই সমাবেশ নিয়ে বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে যে এটি আসলে বিদ্রোহেরর বর্ষপূর্তি না পরিবর্তনের দ্বিতীয় দফা বিক্ষোভ।
এদিকে বিদ্রোহের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কয়েক দশকের জরুরি অবস্থা আংশিকভাবে তুলে নিয়েছে সামরিক সরকার। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এতে বরং নির্যাতনের ঘটনাই বেশি ঘটবে।
মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টিপাতের বিরল ঘটনায় অনেকে বিদ্রোহের এই বর্ষপূর্তিকে শুভযোগ হিসেবে দেখছে। তাহিরর স্কয়ারে সমবেত জনতা বিভিন্ন বার্তাসংবলিত ব্যানার বহন করে।
প্রভাবশালী ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলো এখন মিসরীয় পার্লামেন্টে নেতৃত্বের আসনে রয়েছে। বিদ্রোহের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই সংগঠনের ইসলামপন্থী নেতা-কর্মীরা উৎসবের আমেজে আনন্দ-ফুর্তি করেন। তিউনিসিয়ায় শুরু হওয়া গণজাগরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে দেশটিতে ব্যাপক গণ-আন্দোলন শুরু হয়। তবে গণতন্ত্রপন্থী কিছু সংগঠনের যেসব সদস্য বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা এই বর্ষপূর্তিতে উৎসব উদ্যাপনের মেজাজে ছিলেন না। তাঁরা বলেন, অসমাপ্ত বিপ্লবকে পুনরুজ্জীবিত করতেই তাঁদের এই ঐতিহাসিক চত্বরে আসা। মোবারকের পতনের পর যে সামরিক পরিষদ মিসরের ক্ষমতা নিয়েছে, তাদের পতন দাবি করে তারা।
তাহিরর স্কয়ারে গতকাল কোনো কোনো ব্যানারে বিদ্রোহের প্রথম বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের কথা উল্লেখ করে স্লোগান লেখা ছিল। কোনো কোনো স্লোগানে আবার সেনা-শাসকদের নিন্দা জানানো হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বার্তা প্রচারের জন্য চারটি মঞ্চ গড়ে তোলা হয়। তবে বিদ্রোহের সফলতা নিয়ে এখন নানা গুঞ্জন চলছে।
গতকাল মিসরের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আল-আহরাম হেবদো পত্রিকার শিরোনাম ছিল—‘বিপ্লবের প্রাণ কার দখলে থাকবে?’
গত মঙ্গলবার মিসরের সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাউয়ি কয়েক দশক ধরে বিদ্যমান গণধিকৃত জরুরি অবস্থা আংশিকভাবে তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। দৃশ্যত বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বিক্ষোভকারীদের শান্ত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। ঘোষণায় বলা হয়, কোনো অপরাধমূলক ঘটনা ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর হবে না।
এ ব্যাপারে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক পরিচালক জো স্টর্ক বলেন, মিসরের সব মানুষ যেখানে পুলিশি নির্যাতন বন্ধ ও জরুরি অবস্থার পুরোপুরি অবসানের দাবি জানাচ্ছেন, সেখানে এটি আংশিকভাবে তুলে নেওয়া অবমাননাকর।
মিসরে জরুরি আইনে পুলিশকে নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে খর্ব করা হয়েছে সাংবিধানিক অধিকার। এএফপি।
এদিকে বিদ্রোহের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কয়েক দশকের জরুরি অবস্থা আংশিকভাবে তুলে নিয়েছে সামরিক সরকার। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এতে বরং নির্যাতনের ঘটনাই বেশি ঘটবে।
মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টিপাতের বিরল ঘটনায় অনেকে বিদ্রোহের এই বর্ষপূর্তিকে শুভযোগ হিসেবে দেখছে। তাহিরর স্কয়ারে সমবেত জনতা বিভিন্ন বার্তাসংবলিত ব্যানার বহন করে।
প্রভাবশালী ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলো এখন মিসরীয় পার্লামেন্টে নেতৃত্বের আসনে রয়েছে। বিদ্রোহের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই সংগঠনের ইসলামপন্থী নেতা-কর্মীরা উৎসবের আমেজে আনন্দ-ফুর্তি করেন। তিউনিসিয়ায় শুরু হওয়া গণজাগরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে দেশটিতে ব্যাপক গণ-আন্দোলন শুরু হয়। তবে গণতন্ত্রপন্থী কিছু সংগঠনের যেসব সদস্য বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা এই বর্ষপূর্তিতে উৎসব উদ্যাপনের মেজাজে ছিলেন না। তাঁরা বলেন, অসমাপ্ত বিপ্লবকে পুনরুজ্জীবিত করতেই তাঁদের এই ঐতিহাসিক চত্বরে আসা। মোবারকের পতনের পর যে সামরিক পরিষদ মিসরের ক্ষমতা নিয়েছে, তাদের পতন দাবি করে তারা।
তাহিরর স্কয়ারে গতকাল কোনো কোনো ব্যানারে বিদ্রোহের প্রথম বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের কথা উল্লেখ করে স্লোগান লেখা ছিল। কোনো কোনো স্লোগানে আবার সেনা-শাসকদের নিন্দা জানানো হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বার্তা প্রচারের জন্য চারটি মঞ্চ গড়ে তোলা হয়। তবে বিদ্রোহের সফলতা নিয়ে এখন নানা গুঞ্জন চলছে।
গতকাল মিসরের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আল-আহরাম হেবদো পত্রিকার শিরোনাম ছিল—‘বিপ্লবের প্রাণ কার দখলে থাকবে?’
গত মঙ্গলবার মিসরের সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাউয়ি কয়েক দশক ধরে বিদ্যমান গণধিকৃত জরুরি অবস্থা আংশিকভাবে তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। দৃশ্যত বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বিক্ষোভকারীদের শান্ত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। ঘোষণায় বলা হয়, কোনো অপরাধমূলক ঘটনা ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর হবে না।
এ ব্যাপারে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক পরিচালক জো স্টর্ক বলেন, মিসরের সব মানুষ যেখানে পুলিশি নির্যাতন বন্ধ ও জরুরি অবস্থার পুরোপুরি অবসানের দাবি জানাচ্ছেন, সেখানে এটি আংশিকভাবে তুলে নেওয়া অবমাননাকর।
মিসরে জরুরি আইনে পুলিশকে নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে খর্ব করা হয়েছে সাংবিধানিক অধিকার। এএফপি।
No comments