ছাত্রলীগের চিতার ‘আগুন’! by ফজলুল বারী
আগুন নামে আমাদের দেশে খুব গুণী একজন গানের শিল্পী আছেন। অভিনয়ও ভালো করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সঙ্গীতাঙ্গনের প্রয়াত দুই দিকপাল খান আতাউর রহমান ও নিলুফার ইয়াসমীনের ছেলে। আরেকজন তুমুল মেধাবী দিকপাল চলচ্চিত্রকার, কথাশিল্পী ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘স্টপ জেনোসাইড’ সহ স্মরণীয় ছবির জনক, স্বাধীনতার পর পরই নিখোঁজ শহীদ জহির রায়হান।
দূর্ভাগ্যক্রমে এই দু’জনের নাম একসঙ্গে নিয়ে মিলেছে দেশের সাম্প্রতিক সময়কার সবচেয়ে আলোচিতদের মধ্যে এক সন্ত্রাসীর নাম! জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সবশেষ নাঙ্গা রাম দা’ হাতে সন্ত্রাস চালানো ছাত্রলীগ নামধারী ওই গুণ্ডার নাম হচ্ছে মো. জহির রায়হান ওরফে আগুন!
জহির রায়হান নামটি তার বাবা-মায়ের দেওয়া। আগুন তার ছদ্মনাম অথবা নিজের নেওয়া নাম। এই রাম দা’ মার্কা সন্ত্রাসীর নামও ‘আগুন’ দেখে হয়তো লজ্জা পাবেন আমাদের প্রিয় গুণী শিল্পী আগুন ।
গুণী চলচ্চিত্রকারের ছবি দেখে দেখে মুগ্ধ বাবা-মা হয়তো শখ করে ছেলের নামটি রেখেছিলেন জহির রায়হান। যে কোনো বাবা-মা যখন কোনো গুণী মানুষের নামে সন্তানের নাম রাখেন, বড় আশা নিয়েই রাখেন। সন্তানটি বড় হয়ে একদিন সেই গুণী মানুষটির মতো একজন হবে। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে তার নাম-ডাক! এই বাবা-মায়ের ছেলের নামও আজ দেশে-বিদেশে ছড়িয়েছে! তবে সুখ্যাতির জন্য না। কুখ্যাতির জন্য!
ছাত্রলীগ নামধারী রাম দা’ সন্ত্রাসী গুণ্ডা মো. জহির রায়হান ওরফে আগুন। এ মুহূর্তে সে দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড একজন! পুলিশের কাছে কিনা জানি না। কারণ, বাংলাদেশের পুলিশ একচোখা। সরকারি সন্ত্রাসী চোখে দেখে না অথবা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে! তবে, পুলিশ যাই করুক, এই সন্ত্রাসীটি এখন মোস্ট ওয়ান্টেড দেশের শান্তিকামী জনগণের কাছে। মানুষ তাকে সুবিধা মতো হাতের কাছে পেলে কিন্তু খবর আছে!
আগুন’ বৃত্তান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবারের কালের কন্ঠে ‘ভয়ঙ্কর আগুন’ শিরোনামে দারুণ একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। পত্রিকাটির জবি সংবাদদাতার রিপোর্ট। রিপোর্টারের নাম দেওয়া নেই। দারুণ রিপোর্টটির জন্য আমার এই তরুণ রিপোর্টার বন্ধুকে অভিনন্দন। এমন সময়ের দাবির রিপোর্ট যথা সময়ে করা চাই। রিপোর্টটিতে সন্ত্রাসীর ময়মনসিংহবাসী বাবা-মায়ের পরিচয়, একাডেমিক ও রাজনৈতিক বৃত্তান্ত দেওয়া আছে। জবি’র ভূগোল বিভাগের ছাত্র ওই আগুন। রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভূগোলটি তার বড় গোলমেলে! ময়মনসিংহ সদর উপজেআর খাগওহর গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম ও রোশন আরা বেগমের সন্তান এই সন্ত্রাসী। বাবা-মায়ের চার সন্তানের মধ্যে আগুন ওরফে জহির রায়হান একমাত্র পুত্র সন্তান। নরসিংদী ভূমি অফিসে চাকরি করতেন বাবা নুরুল ইসলাম। বছর খানেক ধরে তার চাকরি নেই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় জহির রায়হান। তার রোল ০৯৪০৩৩ ও নিবন্ধন নম্বর ০৮০৬০০। এখন সে ওই বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র।
এখন তার রাজনৈতিক ইতিহাস-ভূগোল পর্বটি শুনুন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর ২০১০ সালে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুকের সঙ্গে সে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেয়। বেপরোয়া আচার-আচরণের কারণে অল্প সময়েই সে ক্যাম্পাসে আগুন নামেই পরিচিত হয়ে ওঠে। এর মাঝেই ছাত্র শিবিরের সঙ্গে তার পুরোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক জানাজানি হয়ে গেলে ওমর ফারুক তাকে তার গ্রুপ থেকে বাদ দেন। এরপর সে যোগ দেয় জবি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকন্দের গ্রুপে। এ গ্রুপের ক্যাডার হিসাবেই মঙ্গলবারের সংঘর্ষে সে প্রতিপক্ষ যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার আরিফুজ্জামান গ্রুপের বিরুদ্ধে রাম দা’ হাতে অভিযানে অংশ নিয়ে দেশবাসীকে ছাত্রলীগ নামধারী গুণ্ডাদের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছবিটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে! তার নাম হয়েছে ‘ভয়ঙ্কর আগুন’!
মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে ৯৬ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতারের চেষ্টা করেছে এমন কোনো আলামতও কারও কাছে দৃশ্যমান নয়।
সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন-পুলিশের এসব একচোখা নীতির বিরুদ্ধে আমরা বিরতিহীন লিখেই চলেছি! কারও এসবে কোনো লাজ-শরমও লাগে না। অথবা এসব তাদের নেই! আরেকটি যে বিষয় বারবার লেখা হচ্ছে, তাহলো দীর্ঘ ঐতিহ্যের ছাত্রলীগ নামের সংগঠনটি এর নীতি-আদর্শের চর্চা-অভ্যাস সব হারিয়ে একটি আদর্শ-লক্ষ্যহীন মতলবি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সে কারণে আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে গেলে ‘সোকল্ড বেশিরভাগ ছাত্রলীগারের’ যেমন ছাত্রদল হতে সময় লাগে না আবার ক্ষমতায় ঢুকলে ছাত্রদল মার্কাদেরও এক দৌঁড়ে ‘শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক’ ছাত্রলীগ বনে যেতেও দেরি হয় না। এখন যুদ্ধাপরাধীদের আণ্ডাবাচ্চা সংগঠন শিবির করেও যে অনায়াসে ছাত্রলীগ করা যায় বা এতে অনুপ্রবেশ করা যায় এ বিষয়টি নানা ঘটনায় প্রকাশিত-প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু সুবচন যে নির্বাসনে!
আদর্শিক রাজনীতির চর্চা নির্বাসিত ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ নেতাদের এসব এখন আর বিচলিত বিব্রত করে না! বেশি বিপদে পড়ে গেলে ‘জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত অনুপ্রবেশের’ একখানা ফতোয়া দিয়ে দেন। সে পর্যন্তই। ক্ষমতার তৃতীয় বছর পেরিয়ে এসে অক্ষমের আর্তনাদের মতো তাদের এসব ফতোয়াও এখন আর পাবলিক খাচ্ছে না। বরঞ্চ বিব্রত করছে সেই আমাদের; যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হওয়ার অপেক্ষায় যারা নানা মানসিক বাধা সত্ত্বেও এখনও এ সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী। অন্তত এই ইস্যুটিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজন অসহায় আর উপায়হীন! ছাত্রলীগের চিতায় আগুন ধরানো এই ‘রাম দা মার্কা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী আগুন’ এখনও কেন গ্রেফতার হলো না, এর জবাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনকে দিতে হবে।
অন্তত দুঃখের সঙ্গে জানাতে বাধ্য হচ্ছি, দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে তার কাছে অনেক আশা করেছিলাম। কিন্তু সন্ত্রাস দমন-সন্ত্রাসী গ্রেফতারে এমন একচোখা নীতির কারণে এর মাঝে তিনি একজন বিরক্তিকর মহিলায় পরিণত হয়েছেন! দেশের আইনশৃঙ্খলারও তাই এমন হ-য-ব-র-ল দশা!
ফজলুল বারীঃ সিডনিপ্রবাসী সাংবাদিক
জহির রায়হান নামটি তার বাবা-মায়ের দেওয়া। আগুন তার ছদ্মনাম অথবা নিজের নেওয়া নাম। এই রাম দা’ মার্কা সন্ত্রাসীর নামও ‘আগুন’ দেখে হয়তো লজ্জা পাবেন আমাদের প্রিয় গুণী শিল্পী আগুন ।
গুণী চলচ্চিত্রকারের ছবি দেখে দেখে মুগ্ধ বাবা-মা হয়তো শখ করে ছেলের নামটি রেখেছিলেন জহির রায়হান। যে কোনো বাবা-মা যখন কোনো গুণী মানুষের নামে সন্তানের নাম রাখেন, বড় আশা নিয়েই রাখেন। সন্তানটি বড় হয়ে একদিন সেই গুণী মানুষটির মতো একজন হবে। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে তার নাম-ডাক! এই বাবা-মায়ের ছেলের নামও আজ দেশে-বিদেশে ছড়িয়েছে! তবে সুখ্যাতির জন্য না। কুখ্যাতির জন্য!
ছাত্রলীগ নামধারী রাম দা’ সন্ত্রাসী গুণ্ডা মো. জহির রায়হান ওরফে আগুন। এ মুহূর্তে সে দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড একজন! পুলিশের কাছে কিনা জানি না। কারণ, বাংলাদেশের পুলিশ একচোখা। সরকারি সন্ত্রাসী চোখে দেখে না অথবা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে! তবে, পুলিশ যাই করুক, এই সন্ত্রাসীটি এখন মোস্ট ওয়ান্টেড দেশের শান্তিকামী জনগণের কাছে। মানুষ তাকে সুবিধা মতো হাতের কাছে পেলে কিন্তু খবর আছে!
আগুন’ বৃত্তান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবারের কালের কন্ঠে ‘ভয়ঙ্কর আগুন’ শিরোনামে দারুণ একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। পত্রিকাটির জবি সংবাদদাতার রিপোর্ট। রিপোর্টারের নাম দেওয়া নেই। দারুণ রিপোর্টটির জন্য আমার এই তরুণ রিপোর্টার বন্ধুকে অভিনন্দন। এমন সময়ের দাবির রিপোর্ট যথা সময়ে করা চাই। রিপোর্টটিতে সন্ত্রাসীর ময়মনসিংহবাসী বাবা-মায়ের পরিচয়, একাডেমিক ও রাজনৈতিক বৃত্তান্ত দেওয়া আছে। জবি’র ভূগোল বিভাগের ছাত্র ওই আগুন। রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভূগোলটি তার বড় গোলমেলে! ময়মনসিংহ সদর উপজেআর খাগওহর গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম ও রোশন আরা বেগমের সন্তান এই সন্ত্রাসী। বাবা-মায়ের চার সন্তানের মধ্যে আগুন ওরফে জহির রায়হান একমাত্র পুত্র সন্তান। নরসিংদী ভূমি অফিসে চাকরি করতেন বাবা নুরুল ইসলাম। বছর খানেক ধরে তার চাকরি নেই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় জহির রায়হান। তার রোল ০৯৪০৩৩ ও নিবন্ধন নম্বর ০৮০৬০০। এখন সে ওই বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র।
এখন তার রাজনৈতিক ইতিহাস-ভূগোল পর্বটি শুনুন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর ২০১০ সালে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুকের সঙ্গে সে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেয়। বেপরোয়া আচার-আচরণের কারণে অল্প সময়েই সে ক্যাম্পাসে আগুন নামেই পরিচিত হয়ে ওঠে। এর মাঝেই ছাত্র শিবিরের সঙ্গে তার পুরোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক জানাজানি হয়ে গেলে ওমর ফারুক তাকে তার গ্রুপ থেকে বাদ দেন। এরপর সে যোগ দেয় জবি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকন্দের গ্রুপে। এ গ্রুপের ক্যাডার হিসাবেই মঙ্গলবারের সংঘর্ষে সে প্রতিপক্ষ যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার আরিফুজ্জামান গ্রুপের বিরুদ্ধে রাম দা’ হাতে অভিযানে অংশ নিয়ে দেশবাসীকে ছাত্রলীগ নামধারী গুণ্ডাদের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছবিটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে! তার নাম হয়েছে ‘ভয়ঙ্কর আগুন’!
মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে ৯৬ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতারের চেষ্টা করেছে এমন কোনো আলামতও কারও কাছে দৃশ্যমান নয়।
সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন-পুলিশের এসব একচোখা নীতির বিরুদ্ধে আমরা বিরতিহীন লিখেই চলেছি! কারও এসবে কোনো লাজ-শরমও লাগে না। অথবা এসব তাদের নেই! আরেকটি যে বিষয় বারবার লেখা হচ্ছে, তাহলো দীর্ঘ ঐতিহ্যের ছাত্রলীগ নামের সংগঠনটি এর নীতি-আদর্শের চর্চা-অভ্যাস সব হারিয়ে একটি আদর্শ-লক্ষ্যহীন মতলবি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সে কারণে আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে গেলে ‘সোকল্ড বেশিরভাগ ছাত্রলীগারের’ যেমন ছাত্রদল হতে সময় লাগে না আবার ক্ষমতায় ঢুকলে ছাত্রদল মার্কাদেরও এক দৌঁড়ে ‘শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক’ ছাত্রলীগ বনে যেতেও দেরি হয় না। এখন যুদ্ধাপরাধীদের আণ্ডাবাচ্চা সংগঠন শিবির করেও যে অনায়াসে ছাত্রলীগ করা যায় বা এতে অনুপ্রবেশ করা যায় এ বিষয়টি নানা ঘটনায় প্রকাশিত-প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু সুবচন যে নির্বাসনে!
আদর্শিক রাজনীতির চর্চা নির্বাসিত ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ নেতাদের এসব এখন আর বিচলিত বিব্রত করে না! বেশি বিপদে পড়ে গেলে ‘জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত অনুপ্রবেশের’ একখানা ফতোয়া দিয়ে দেন। সে পর্যন্তই। ক্ষমতার তৃতীয় বছর পেরিয়ে এসে অক্ষমের আর্তনাদের মতো তাদের এসব ফতোয়াও এখন আর পাবলিক খাচ্ছে না। বরঞ্চ বিব্রত করছে সেই আমাদের; যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হওয়ার অপেক্ষায় যারা নানা মানসিক বাধা সত্ত্বেও এখনও এ সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী। অন্তত এই ইস্যুটিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজন অসহায় আর উপায়হীন! ছাত্রলীগের চিতায় আগুন ধরানো এই ‘রাম দা মার্কা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী আগুন’ এখনও কেন গ্রেফতার হলো না, এর জবাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনকে দিতে হবে।
অন্তত দুঃখের সঙ্গে জানাতে বাধ্য হচ্ছি, দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে তার কাছে অনেক আশা করেছিলাম। কিন্তু সন্ত্রাস দমন-সন্ত্রাসী গ্রেফতারে এমন একচোখা নীতির কারণে এর মাঝে তিনি একজন বিরক্তিকর মহিলায় পরিণত হয়েছেন! দেশের আইনশৃঙ্খলারও তাই এমন হ-য-ব-র-ল দশা!
ফজলুল বারীঃ সিডনিপ্রবাসী সাংবাদিক
No comments