জরিপে জালিয়াতির অভিযোগ-সাতারকুল খালের দুই হাজার বর্গফুট জমি দখল
রাজধানীর বাড্ডা থানার সাতারকুল খাল ও সন্নিহিত এলাকা অবৈধভাবে দখলের প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ ও তেজগাঁও ভূমি সার্কেল বিভাগের যৌথ অনুসন্ধানে ওই খালের দুই হাজার ১৩৬ বর্গফুট জমি অবৈধভাবে দখলের প্রমাণ পেয়েছে।
ওই যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতারকুল খালটির প্রশস্ততা বিগত সিএস ও আরএস জরিপে ১০০ ফুট দেখানো হয়। স্থানীয় ভূমি অফিস ও প্রবীণ বাসিন্দারা এই মাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু সর্বশেষ ঢাকা সিটি জরিপে খালের প্রশস্ততা দেখানো হয়েছে ৭০ ফুট।
গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী সাতারকুল খাল দখলের দায়ে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন মোতালেব ও সাইদুল ইসলামকে পরিবেশ অধিদপ্তরে তলব করেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের মালিকানার কাগজপত্র দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানের মাধ্যমে সাতারকুল খালটিতে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ জরিপে খালের অবৈধ দখলদারেরা জরিপ বিভাগকে প্রভাবিত জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন বলে পরিবেশ অধিদপ্তর ধারণা করছে। দখল করা অংশ ভরাট করায় খালটির প্রশস্ততা কমেছে। এতে দখলদারেরা দখল করা স্থানে স্থাপনা তৈরি ও মাটি ভরাটের সুযোগ পেয়েছেন। আর খালটি দিয়ে পানির প্রবাহ কমে গেছে।
পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, সিএস রেকর্ডকেই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ভূমি জরিপ হিসেবে ধরা হয়। এর ভিত্তিতে খালটির আয়তন রক্ষা করতে প্রয়োজনে অধিদপ্তর আইনি লড়াই করবে। এ উদ্দেশ্যে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ওয়াসার সহযোগিতা প্রয়োজন। রেকর্ডে খালটির আয়তন সংকোচনের ফলে ঢাকার নগরজীবন ভয়ানক পরিবেশ বিপর্যয়ের কবলে পড়বে। এতে বন্যার পানি তো দূরের কথা, স্যুয়ারেজের পানিও নিষ্কাশন করতে পারবে না খালটি।
ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী সাতারকুল খাল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাটি জলাভূমি ও বন্যার প্রবাহ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত। ওই এলাকা দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয়ে সাতারকুল খাল হয়ে বালু নদে গিয়ে পড়ে। খালটি সংকুচিত হলে রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও বন্যার প্রকোপ ও জলাবদ্ধতা বাড়বে।
গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী সাতারকুল খাল দখলের দায়ে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন মোতালেব ও সাইদুল ইসলামকে পরিবেশ অধিদপ্তরে তলব করেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের মালিকানার কাগজপত্র দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানের মাধ্যমে সাতারকুল খালটিতে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ জরিপে খালের অবৈধ দখলদারেরা জরিপ বিভাগকে প্রভাবিত জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন বলে পরিবেশ অধিদপ্তর ধারণা করছে। দখল করা অংশ ভরাট করায় খালটির প্রশস্ততা কমেছে। এতে দখলদারেরা দখল করা স্থানে স্থাপনা তৈরি ও মাটি ভরাটের সুযোগ পেয়েছেন। আর খালটি দিয়ে পানির প্রবাহ কমে গেছে।
পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, সিএস রেকর্ডকেই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ভূমি জরিপ হিসেবে ধরা হয়। এর ভিত্তিতে খালটির আয়তন রক্ষা করতে প্রয়োজনে অধিদপ্তর আইনি লড়াই করবে। এ উদ্দেশ্যে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ওয়াসার সহযোগিতা প্রয়োজন। রেকর্ডে খালটির আয়তন সংকোচনের ফলে ঢাকার নগরজীবন ভয়ানক পরিবেশ বিপর্যয়ের কবলে পড়বে। এতে বন্যার পানি তো দূরের কথা, স্যুয়ারেজের পানিও নিষ্কাশন করতে পারবে না খালটি।
ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী সাতারকুল খাল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাটি জলাভূমি ও বন্যার প্রবাহ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত। ওই এলাকা দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয়ে সাতারকুল খাল হয়ে বালু নদে গিয়ে পড়ে। খালটি সংকুচিত হলে রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও বন্যার প্রকোপ ও জলাবদ্ধতা বাড়বে।
No comments