এত কাছে তবু এত দূরে
এই পিচ তো মরা, বিকেলে দেখবেন শ্রাদ্ধের কাজে আমরা সবাই নেমে পড়েছি'_পঞ্চম দিনের পিচ রিপোর্ট করতে গিয়ে বলেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার। হঠাৎ করেই প্রাণ সঞ্চার হলো সেই মরা পিচে। চার দিন শেষে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাড়মেড়ে টেস্টটাও জমে উঠল তাতে। ম্যাচটা পেন্ডুলামের মতো দুলে কখনো ঝুঁকে পড়ছিল ভারতের দিকে তো কখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে। শেষ বলে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ২
রানের। কিন্তু রবীচন্দ্রন অশ্বীন মাত্র ১ রান নিতে পারায় সমান হয়ে যায় দুই দলের স্কোর। ভারত অল আউট হলে স্কোর সমান হওয়ায় টাই হতো ম্যাচটা কিন্তু এক উইকেট হাতে থাকায় ম্যাচ ড্র।
স্কোর সমান হয়েও টেস্ট ড্র হওয়ার ঘটনা এর আগে মাত্র একবারই ঘটেছে ১৯৯৬ সালে। ১৫ বছর আগের সেই ম্যাচে বুলাওয়েতে মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ড। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের সেঞ্চুরিতে (১১২) প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে অল আউট হয় ৩৭৬ রানে। জবাবে নাসের হুসেইনের ১১৩ ও জন ক্রওলির ১১২-তে ইংল্যান্ড করে ৪০৬। ফিল টাফনেলের ঘূর্ণি (৪ উইকেট) আর ড্যারেন গফের সুইংয়ে (২ উইকেট) দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ২৩৪-এ। জয়ের জন্য ৩৭ ওভারে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৫। অ্যালেক স্টুয়ার্টের ৭৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৭৩ ও ওপেনার নিক নাইটের ১১৭ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৯৬-এ জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৩৭ রান। কিন্তু পল স্ট্র্যাং স্টুয়ার্টকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙার পর হঠাৎ করেই ধস নামে ইংল্যান্ডের ইনিংসে। নাসের হুসেইন ২ বলে ০, জন ক্রওলি ১০ বলে ৭ আর ইয়ান থর্প ফেরেন ৩ বলে ২ করে। তবে নিক নাইট তখনো অপরাজিত ছিলেন বলে জয়ের স্বপ্ন ভালোভাবেই দেখছিল মাইকেল আথারটনের দল। ড্যারেন গফ ৩ রান করতে ৭ বল খেলে ফেলায় শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ৩ রান। কিন্তু ২ রান পূরণ করে অসম্ভব তৃতীয় রানটির জন্য ছুটে রান আউট হয়ে যান নাইট। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ৬ উইকেটে ২০৪-এ। স্কোর সমান হয়ে যাওয়ায় ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি।
স্কোর সমান আর চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা দল অল আউট হলেই কেবল টাই হয় টেস্ট। এ কারণে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ে-ইংল্যান্ডের ম্যাচের ফল লেখা থাকবে ড্র হিসেবে। তাই বলে টেস্ট ইতিহাসে টাই ম্যাচ যে হয়নি এমনও নয়। টাই হয়েছে ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ১৯৮৬-তে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দুটি। '৬০ সালে ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪৫৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৫০৫। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৪-তে গুটিয়ে গেলে জয়ের জন্য ২৩৩ রানের লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ইনিংসে ৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কাতেই পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সপ্তম উইকেটে ১৩৪ রানের জুটি গড়ে তাদের ম্যাচে ফেরান অ্যালান ডেভিডসন ও রিচি বেনো।
৮০ রান করে ডেভিডসন রান আউট হওয়ার পরও জয়ের জন্য মাত্র ৭ রান দরকার ছিল বেনোর দলের, হাতে তখনো ৩ উইকেট। ওয়েসলি হলের বলে উইকেটের পেছনে বেনো ক্যাচ দিয়ে ফেরার পরও জয়ের পথেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। একটা সময় ৮ উইকেটে ২৩২ করায় সমান হয়ে যায় স্কোর আর জয়ের জন্য দরকার পড়ে ১ রান। কিন্তু শেষ দুই ব্যাটসম্যান ওয়ালি গ্রাউট ও ইয়ান ম্যাককিফ রান আউট হয়ে গেলে মূল্যবান সেই রানটাই আর করা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। তাই টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টাই হয়ে যায় কোনো ম্যাচ।
দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টাইটি হয়েছিল ১৯৮৬ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চেন্নাই টেস্টে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার ৫৭৪ রানের জবাবে ভারত অল আউট হয়েছিল ৩৯৭-এ। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ১৭০ রানে ইনিংস ঘোষণা করায় জয়ের জন্য ভারতের দরকার পড়ে ৩৪৮ রান। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা ১০০ টেস্ট খেলা সুনীল গাভাস্কারের ৯০ ও মহিন্দর অমরনাথের ৫১-তে ম্যাচে ফিরেছিল ভারত। একটা পর্যায়ে ৮ উইকেটে ৩৪৪ করায় জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৪ রান। উত্তেজনায় তখন কাঁপছে পুরো চেন্নাই। কিন্তু ৬ বলে ৮ রান করে শিবলাল যাদব বোল্ড হন রে ব্রাইটের বলে। রবি শাস্ত্রী একটা প্রান্তে ৪৮ করে অপরাজিত থেকে সমান করে ফেলেছিলেন স্কোর। তবে শেষ ব্যাটসম্যান মনীন্দর সিং গ্রেগ ম্যাথিউজের বলে এলবিডাবি্লউ হওয়ায় ৩৪৭ রানে অল আউট হয় ভারত, টাই হয়ে যায় ম্যাচ।
স্কোর সমান না হলেও টানটান উত্তেজনার অনেক ড্র'ও দেখেছে টেস্ট ক্রিকেট। জয়ের জন্য ১০ রান লাগত কিন্তু ব্যাটসম্যানরা করতে না পারায় ড্র মানতে হয়েছে, এমন টেস্ট ম্যাচ আছে ৫টি। সর্বশেষ ২০০১ সালে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১০ রানের জন্য জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটা জমাতেই দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। তাই জয়ের জন্য ৫৭ ওভারে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৪। মার্ক রিচার্ডসনের ৬৯ বলে ৫৭ আর অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের ৭৩ বলে ৫৭-তে জয়ের সম্ভাবনা ভালোভাবেই জাগিয়েছিল কিউইরা। ৫৩.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০ রানও তুলে ফেলেছিল ফ্লেমিংয়ের দল। শেষ ২৩ বলে দরকার ছিল ৩৪ রানের। কিন্তু ৩৮ বলে ৪৩ করে ক্রিস কেয়ার্নস আউট হওয়ার পর আর ঝুঁকি নেয়নি নিউজিল্যান্ড। ক্রেগ ম্যাকমিলান ২২ বলে ২৩ ও অ্যাডাম পেরোরে ৩ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকায় ৬ উইকেটে ২৭৪ রানে থামে তারা। আর মাত্র ১০ রান পিছিয়ে থাকায় ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি।
এ ছাড়া ১৯৪৯ সালে মুম্বাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত পিছিয়ে ছিল মাত্র ৬ রানে। ১৯৬৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯১ ওভারে ২৩৪ রানের লক্ষ্য পাওয়া ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে ২২৮ করায় জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে ড্র মেনে নিতে বাধ্য হয় তারা। ক্রিকইনফো
জয় থেকে সর্বোচ্চ ১৫ রানের দূরত্বে ড্র হওয়া টেস্ট ম্যাচ
স্কোর সমান হয়েও টেস্ট ড্র হওয়ার ঘটনা এর আগে মাত্র একবারই ঘটেছে ১৯৯৬ সালে। ১৫ বছর আগের সেই ম্যাচে বুলাওয়েতে মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ড। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের সেঞ্চুরিতে (১১২) প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে অল আউট হয় ৩৭৬ রানে। জবাবে নাসের হুসেইনের ১১৩ ও জন ক্রওলির ১১২-তে ইংল্যান্ড করে ৪০৬। ফিল টাফনেলের ঘূর্ণি (৪ উইকেট) আর ড্যারেন গফের সুইংয়ে (২ উইকেট) দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ২৩৪-এ। জয়ের জন্য ৩৭ ওভারে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৫। অ্যালেক স্টুয়ার্টের ৭৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৭৩ ও ওপেনার নিক নাইটের ১১৭ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৯৬-এ জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৩৭ রান। কিন্তু পল স্ট্র্যাং স্টুয়ার্টকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙার পর হঠাৎ করেই ধস নামে ইংল্যান্ডের ইনিংসে। নাসের হুসেইন ২ বলে ০, জন ক্রওলি ১০ বলে ৭ আর ইয়ান থর্প ফেরেন ৩ বলে ২ করে। তবে নিক নাইট তখনো অপরাজিত ছিলেন বলে জয়ের স্বপ্ন ভালোভাবেই দেখছিল মাইকেল আথারটনের দল। ড্যারেন গফ ৩ রান করতে ৭ বল খেলে ফেলায় শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ৩ রান। কিন্তু ২ রান পূরণ করে অসম্ভব তৃতীয় রানটির জন্য ছুটে রান আউট হয়ে যান নাইট। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ৬ উইকেটে ২০৪-এ। স্কোর সমান হয়ে যাওয়ায় ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি।
স্কোর সমান আর চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা দল অল আউট হলেই কেবল টাই হয় টেস্ট। এ কারণে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ে-ইংল্যান্ডের ম্যাচের ফল লেখা থাকবে ড্র হিসেবে। তাই বলে টেস্ট ইতিহাসে টাই ম্যাচ যে হয়নি এমনও নয়। টাই হয়েছে ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ১৯৮৬-তে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দুটি। '৬০ সালে ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪৫৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৫০৫। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৪-তে গুটিয়ে গেলে জয়ের জন্য ২৩৩ রানের লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ইনিংসে ৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কাতেই পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সপ্তম উইকেটে ১৩৪ রানের জুটি গড়ে তাদের ম্যাচে ফেরান অ্যালান ডেভিডসন ও রিচি বেনো।
৮০ রান করে ডেভিডসন রান আউট হওয়ার পরও জয়ের জন্য মাত্র ৭ রান দরকার ছিল বেনোর দলের, হাতে তখনো ৩ উইকেট। ওয়েসলি হলের বলে উইকেটের পেছনে বেনো ক্যাচ দিয়ে ফেরার পরও জয়ের পথেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। একটা সময় ৮ উইকেটে ২৩২ করায় সমান হয়ে যায় স্কোর আর জয়ের জন্য দরকার পড়ে ১ রান। কিন্তু শেষ দুই ব্যাটসম্যান ওয়ালি গ্রাউট ও ইয়ান ম্যাককিফ রান আউট হয়ে গেলে মূল্যবান সেই রানটাই আর করা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। তাই টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টাই হয়ে যায় কোনো ম্যাচ।
দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টাইটি হয়েছিল ১৯৮৬ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চেন্নাই টেস্টে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার ৫৭৪ রানের জবাবে ভারত অল আউট হয়েছিল ৩৯৭-এ। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ১৭০ রানে ইনিংস ঘোষণা করায় জয়ের জন্য ভারতের দরকার পড়ে ৩৪৮ রান। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা ১০০ টেস্ট খেলা সুনীল গাভাস্কারের ৯০ ও মহিন্দর অমরনাথের ৫১-তে ম্যাচে ফিরেছিল ভারত। একটা পর্যায়ে ৮ উইকেটে ৩৪৪ করায় জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৪ রান। উত্তেজনায় তখন কাঁপছে পুরো চেন্নাই। কিন্তু ৬ বলে ৮ রান করে শিবলাল যাদব বোল্ড হন রে ব্রাইটের বলে। রবি শাস্ত্রী একটা প্রান্তে ৪৮ করে অপরাজিত থেকে সমান করে ফেলেছিলেন স্কোর। তবে শেষ ব্যাটসম্যান মনীন্দর সিং গ্রেগ ম্যাথিউজের বলে এলবিডাবি্লউ হওয়ায় ৩৪৭ রানে অল আউট হয় ভারত, টাই হয়ে যায় ম্যাচ।
স্কোর সমান না হলেও টানটান উত্তেজনার অনেক ড্র'ও দেখেছে টেস্ট ক্রিকেট। জয়ের জন্য ১০ রান লাগত কিন্তু ব্যাটসম্যানরা করতে না পারায় ড্র মানতে হয়েছে, এমন টেস্ট ম্যাচ আছে ৫টি। সর্বশেষ ২০০১ সালে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১০ রানের জন্য জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটা জমাতেই দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। তাই জয়ের জন্য ৫৭ ওভারে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৪। মার্ক রিচার্ডসনের ৬৯ বলে ৫৭ আর অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের ৭৩ বলে ৫৭-তে জয়ের সম্ভাবনা ভালোভাবেই জাগিয়েছিল কিউইরা। ৫৩.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০ রানও তুলে ফেলেছিল ফ্লেমিংয়ের দল। শেষ ২৩ বলে দরকার ছিল ৩৪ রানের। কিন্তু ৩৮ বলে ৪৩ করে ক্রিস কেয়ার্নস আউট হওয়ার পর আর ঝুঁকি নেয়নি নিউজিল্যান্ড। ক্রেগ ম্যাকমিলান ২২ বলে ২৩ ও অ্যাডাম পেরোরে ৩ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকায় ৬ উইকেটে ২৭৪ রানে থামে তারা। আর মাত্র ১০ রান পিছিয়ে থাকায় ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি।
এ ছাড়া ১৯৪৯ সালে মুম্বাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত পিছিয়ে ছিল মাত্র ৬ রানে। ১৯৬৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯১ ওভারে ২৩৪ রানের লক্ষ্য পাওয়া ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে ২২৮ করায় জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে ড্র মেনে নিতে বাধ্য হয় তারা। ক্রিকইনফো
জয় থেকে সর্বোচ্চ ১৫ রানের দূরত্বে ড্র হওয়া টেস্ট ম্যাচ
No comments