জেলা প্রশাসক ও চেয়ারম্যান-অধিকাংশ জেলায় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আ. লীগ
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা প্রশাসক পদে নিয়োগের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অধিকাংশ জেলার প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। আগামী মাসের মধ্যে সব জেলায় প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের বিষয়ে দলের নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় শেখ হাসিনা এসব নির্দেশনা দেন বলে দলের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যাঁরা সংসদ সদস্য হননি তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে ৫১টি জেলায় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। বাকি জেলাগুলোর ক্ষেত্রে সভাপতি সংসদ সদস্য হলে প্রথমে এক নম্বর সহসভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদককে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য বলেছেন শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদ আইন সংশোধনের খসড়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটি চূড়ান্ত করার পর সংসদে বিল উঠবে। বিল পাস হওয়ার পর নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। জানা গেছে, এখন যাঁদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে নির্বাচনে তাঁরাই হবেন দলের প্রার্থী।
সূত্রটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মনোনয়নের তালিকায় যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্য থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এ তালিকায় আছেন ময়মনসিংহে জেলা সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকার, নেত্রকোনায় জেলা সভাপতি মতিয়ার রহমান খান, কিশোরগঞ্জে জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ীতে সাবেক জেলা সভাপতি সৈয়দ রফিকুস সালেহীন, ফরিদপুরে জেলা সভাপতি কাজী জায়নুল আবেদীন, মুন্সীগঞ্জে জেলা সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, গোপালগঞ্জে জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজা মিয়া বাটু, টাঙ্গাইলে জেলা সভাপতি শামসুর রহমান খান শাহজাহান, জেলার সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ফারুক, জামালপুরে জেলা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, জেলা সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, শেরপুরে জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দন পাল, মানিকগঞ্জে জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, মাদারীপুরে জেলা সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, শরীয়তপুরে জেলা সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, নরসিংদীতে জেলা সভাপতি আসাদুজ্জামান, গাজীপুরে আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা সাধারণ সম্পাদক সাদেক কোরাইশী, লালমনিরহাটে জেলা সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, রংপুরে জেলা সভাপতি আবুল মনসুর আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, জয়পুরহাটে জেলা সভাপতি সামসুল আলম দুদু, সিরাজগঞ্জে জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আহসান লাল, নীলফামারী জেলা সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম, বগুড়া জেলা সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, নওগাঁ জেলা সভাপতি ফজলে রাব্বী, মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মিয়া জান আলী, কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, দিনাজপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল ইমাম চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন, পিরোজপুর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকরাম হোসেন, ভোলা জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, নাটোর জেলা সভাপতি সাজেদুর রহমান খান, গাইবান্ধা জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ শামসুল আলম হিরু, ঝিনাইদহ জেলা সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, যশোর জেলা সভাপতি আলী রেজা রাজু, বরগুনা জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর, পটুয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক খান মোশাররফ হোসেন, বরিশাল জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মোখলেছুর রহমান, নড়াইল জেলা সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বোস, খুলনা জেলা সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদ, রাজশাহী জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক, রাঙামাটি জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমেদ, ঝালকাঠি জেলা সভাপতি সরদার মোহাম্মদ শাহ আলম, সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট, ফেনী জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, কঙ্বাজার জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ কে আহম্মদ হোছাইন, বাগেরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সিলেট জেলা সভাপতি আবদুজ জহুর চৌধুরী সুফিয়ান, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা সভাপতি ড. শামসুল হক ভুঁইয়া, খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও বান্দরবান জেলা সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গা।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সারা দেশের ৬৪টি জেলা পরিষদে রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ নিয়োগ নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে ভিন্নমতও আছে।
সর্বশেষ এরশাদের শাসনামলে জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ১৯৮৮ সালের আগে জেলা পরিষদে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯৮৮ সালের পর থেকে উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সূত্রটি জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যাঁরা সংসদ সদস্য হননি তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে ৫১টি জেলায় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। বাকি জেলাগুলোর ক্ষেত্রে সভাপতি সংসদ সদস্য হলে প্রথমে এক নম্বর সহসভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদককে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য বলেছেন শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদ আইন সংশোধনের খসড়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটি চূড়ান্ত করার পর সংসদে বিল উঠবে। বিল পাস হওয়ার পর নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। জানা গেছে, এখন যাঁদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে নির্বাচনে তাঁরাই হবেন দলের প্রার্থী।
সূত্রটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মনোনয়নের তালিকায় যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্য থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এ তালিকায় আছেন ময়মনসিংহে জেলা সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকার, নেত্রকোনায় জেলা সভাপতি মতিয়ার রহমান খান, কিশোরগঞ্জে জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ীতে সাবেক জেলা সভাপতি সৈয়দ রফিকুস সালেহীন, ফরিদপুরে জেলা সভাপতি কাজী জায়নুল আবেদীন, মুন্সীগঞ্জে জেলা সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, গোপালগঞ্জে জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজা মিয়া বাটু, টাঙ্গাইলে জেলা সভাপতি শামসুর রহমান খান শাহজাহান, জেলার সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ফারুক, জামালপুরে জেলা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, জেলা সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, শেরপুরে জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দন পাল, মানিকগঞ্জে জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, মাদারীপুরে জেলা সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, শরীয়তপুরে জেলা সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, নরসিংদীতে জেলা সভাপতি আসাদুজ্জামান, গাজীপুরে আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা সাধারণ সম্পাদক সাদেক কোরাইশী, লালমনিরহাটে জেলা সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, রংপুরে জেলা সভাপতি আবুল মনসুর আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, জয়পুরহাটে জেলা সভাপতি সামসুল আলম দুদু, সিরাজগঞ্জে জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আহসান লাল, নীলফামারী জেলা সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম, বগুড়া জেলা সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, নওগাঁ জেলা সভাপতি ফজলে রাব্বী, মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মিয়া জান আলী, কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, দিনাজপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল ইমাম চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন, পিরোজপুর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকরাম হোসেন, ভোলা জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, নাটোর জেলা সভাপতি সাজেদুর রহমান খান, গাইবান্ধা জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ শামসুল আলম হিরু, ঝিনাইদহ জেলা সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, যশোর জেলা সভাপতি আলী রেজা রাজু, বরগুনা জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর, পটুয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক খান মোশাররফ হোসেন, বরিশাল জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মোখলেছুর রহমান, নড়াইল জেলা সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বোস, খুলনা জেলা সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদ, রাজশাহী জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক, রাঙামাটি জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমেদ, ঝালকাঠি জেলা সভাপতি সরদার মোহাম্মদ শাহ আলম, সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট, ফেনী জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, কঙ্বাজার জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ কে আহম্মদ হোছাইন, বাগেরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সিলেট জেলা সভাপতি আবদুজ জহুর চৌধুরী সুফিয়ান, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা সভাপতি ড. শামসুল হক ভুঁইয়া, খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও বান্দরবান জেলা সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গা।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সারা দেশের ৬৪টি জেলা পরিষদে রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ নিয়োগ নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে ভিন্নমতও আছে।
সর্বশেষ এরশাদের শাসনামলে জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ১৯৮৮ সালের আগে জেলা পরিষদে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯৮৮ সালের পর থেকে উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
No comments