মুখোমুখি প্রতিদিন-এমন হলে কোনো মেয়েই খেলাধুলায় আসতে চাইবে না
কদিন পরেই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সিরিজ। কিন্তু প্র্যাকটিস করার বদলে এখন আন্দোলন করেই সময় কাটাচ্ছেন মহিলা সাটলাররা। তাঁদের আন্দোলন ও ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সার্বিক অবস্থা জানতে কালের কণ্ঠ স্পোর্টস মুখোমুখি হয়েছিল ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ব্যাডমিন্টন তারকা মরিয়ম তারেকেরকালের কণ্ঠ স্পোর্টস : কয়েক দিন পরেই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সিরিজ
ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। কিন্তু প্র্যাকটিস না করে আন্দোলনে ব্যস্ত মহিলা সাটলাররা। ব্যাপারটি আপনি কিভাবে দেখছেন?
মরিয়ম তারেক : এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। ফেডারেশনের কারো সঙ্গেই এখন আমার তেমন যোগাযোগ নেই। যা ঘটছে সব কিছু পত্রিকাতে পড়েই জেনেছি। আমি মনে করি কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। এমন হতে থাকলে মা-বাবারা তাঁর মেয়েকে খেলাধুলায় আসতে দেবেন না। আমি নিজেও আমার মেয়েকে আসতে দেব না। কাল থেকে আমি নিয়মিত ফেডারেশনে যাব। আশা করছি এর পর থেকে আপনাদের সব কথার উত্তরই দিতে পারব।
প্রশ্ন : আপনি নিজেও একজন মহিলা। এ ঘটনায় মহিলা ক্রীড়াঙ্গনে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?
মরিয়ম : ব্যাপারটা খুবই খারাপ হয়েছে। প্রতিটি মেয়েরই একটা ভবিষ্যৎ আছে। প্রতিটি মেয়েই কিছু না কিছু অর্জনের জন্য খেলাধুলায় আসে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটলে তা কেমন দেখা যায়। আমি মনে করি এমন হলে কোনো মেয়েই খেলাধুলায় আসতে আগ্রহী হবে না।
প্রশ্ন : আপনাদের সময় মহিলা ক্রীড়াঙ্গনের অবস্থা কেমন ছিল?
মরিয়ম : কোনো নোংরামি আমাদের সময় ছিল না। সমাজের উচ্চ শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা খেলাধুলায় আসত। সবার অংশগ্রহণে ক্রীড়াঙ্গনে উৎসবের মতো তৈরি হতো। সংগঠকরাও আমাদের সঙ্গে তাঁদের ছেলেমেয়েদের মতো আচরণ করতেন।
প্রশ্ন : সব কিছু দেখে আপনার কি মনে হচ্ছে কচি এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত?
মরিয়ম : আপাতত তা-ই মনে হচ্ছে। কারণ বাধ্য না হলে কোনো মেয়েই এসব ব্যাপারে মিডিয়ার সামনে কথা বলে না। দেয়ালে পিঠ ঢেকে যাওয়াতেই হয়তো তারা এমনটা করেছে।
প্রশ্ন : সামনে একটা আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট রয়েছে। এমন অবস্থায় তাঁদের পক্ষে কি ভালো খেলা সম্ভব?
মরিয়ম : আমাদের এ মেয়েগুলো কিন্তু খুব একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পায় না। এ টুর্নামেন্ট দিয়ে আমাদের মেয়েদের নিজেদের জাতির সামনে তুলে ধরার একটা সুযোগ ছিল। এমন ঘটনায় অবশ্যই তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু আমি আশা করব সবাই সব কিছু ভুলে গিয়ে আবারও খেলায় মত দেবে। আমি যতটুকু শুনেছি মেয়েরা আবারও ক্যাম্পে ফিরেছে। এ ঘটনায় খেলায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই আমার বিশ্বাস।
প্রশ্ন : ফেডারেশনের সার্বিক অবস্থা এখন কেমন?
মরিয়ম : আমাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশনের সব সিনিয়র আমাকে ফোন করে দায়িত্বটা নিতে বলেছেন। সামনে একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট, তাই তাঁদের কথা ফেলতে পারিনি। কাল থেকে আমি নিয়মিত ফেডারেশনে যাব। আশা করছি সব কিছুই ভালোভাবে হবে।
মরিয়ম তারেক : এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। ফেডারেশনের কারো সঙ্গেই এখন আমার তেমন যোগাযোগ নেই। যা ঘটছে সব কিছু পত্রিকাতে পড়েই জেনেছি। আমি মনে করি কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। এমন হতে থাকলে মা-বাবারা তাঁর মেয়েকে খেলাধুলায় আসতে দেবেন না। আমি নিজেও আমার মেয়েকে আসতে দেব না। কাল থেকে আমি নিয়মিত ফেডারেশনে যাব। আশা করছি এর পর থেকে আপনাদের সব কথার উত্তরই দিতে পারব।
প্রশ্ন : আপনি নিজেও একজন মহিলা। এ ঘটনায় মহিলা ক্রীড়াঙ্গনে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?
মরিয়ম : ব্যাপারটা খুবই খারাপ হয়েছে। প্রতিটি মেয়েরই একটা ভবিষ্যৎ আছে। প্রতিটি মেয়েই কিছু না কিছু অর্জনের জন্য খেলাধুলায় আসে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটলে তা কেমন দেখা যায়। আমি মনে করি এমন হলে কোনো মেয়েই খেলাধুলায় আসতে আগ্রহী হবে না।
প্রশ্ন : আপনাদের সময় মহিলা ক্রীড়াঙ্গনের অবস্থা কেমন ছিল?
মরিয়ম : কোনো নোংরামি আমাদের সময় ছিল না। সমাজের উচ্চ শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা খেলাধুলায় আসত। সবার অংশগ্রহণে ক্রীড়াঙ্গনে উৎসবের মতো তৈরি হতো। সংগঠকরাও আমাদের সঙ্গে তাঁদের ছেলেমেয়েদের মতো আচরণ করতেন।
প্রশ্ন : সব কিছু দেখে আপনার কি মনে হচ্ছে কচি এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত?
মরিয়ম : আপাতত তা-ই মনে হচ্ছে। কারণ বাধ্য না হলে কোনো মেয়েই এসব ব্যাপারে মিডিয়ার সামনে কথা বলে না। দেয়ালে পিঠ ঢেকে যাওয়াতেই হয়তো তারা এমনটা করেছে।
প্রশ্ন : সামনে একটা আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট রয়েছে। এমন অবস্থায় তাঁদের পক্ষে কি ভালো খেলা সম্ভব?
মরিয়ম : আমাদের এ মেয়েগুলো কিন্তু খুব একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পায় না। এ টুর্নামেন্ট দিয়ে আমাদের মেয়েদের নিজেদের জাতির সামনে তুলে ধরার একটা সুযোগ ছিল। এমন ঘটনায় অবশ্যই তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু আমি আশা করব সবাই সব কিছু ভুলে গিয়ে আবারও খেলায় মত দেবে। আমি যতটুকু শুনেছি মেয়েরা আবারও ক্যাম্পে ফিরেছে। এ ঘটনায় খেলায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই আমার বিশ্বাস।
প্রশ্ন : ফেডারেশনের সার্বিক অবস্থা এখন কেমন?
মরিয়ম : আমাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশনের সব সিনিয়র আমাকে ফোন করে দায়িত্বটা নিতে বলেছেন। সামনে একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট, তাই তাঁদের কথা ফেলতে পারিনি। কাল থেকে আমি নিয়মিত ফেডারেশনে যাব। আশা করছি সব কিছুই ভালোভাবে হবে।
No comments