বিশেষ সাক্ষাৎকার : অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ খান-দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

ধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ খান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য। তাঁর জন্ম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামে। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি জাপানের মনবশু, জার্মানির এভিএইচ এবং অস্ট্রেলিয়ার ভিসি পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপধারী একজন কৃতী ও প্রতিথযশা বিজ্ঞানী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বরিশাল ব্যুরোপ্রধান রফিকুল ইসলাম


কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে শিক্ষায় বরিশাল বিভাগ এগিয়ে। শিক্ষার হার উচ্চ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন-সংগ্রামও কম হয়নি। তার পরও এখানে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠার কাজ কেন এত দেরিতে?
ড. হারুনর রশীদ খান : আপনার মতো অনেকেই আমাকে প্রথমে এ প্রশ্নটি করেন। মূলত উত্তরের তাগিদ থেকেই আমি বিষয়টি ঘেঁটে দেখেছি। যত দূর মনে পড়ে, সত্তরের দশকের শেষদিকে বরিশাল সার্কিট হাউসে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। তারপর কেবলই অপেক্ষা। অপেক্ষার বাঁধ ভেঙে বরিশালবাসী নেমে পড়ে রাজপথে। শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের মাঝামাঝি সময় বিএম কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার ঘোষণা আসে। তখন নিজেদের আয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে আবার আন্দোলন শুরু হয়। জনগণের দাবি, 'বরিশালে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় চাই'। সে অনুযায়ী চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার কিছুদিন আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শহরের ডেফুলিয়ায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কিন্তু জাতীয় সংসদে 'শহীদ জিয়াউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়' নামে আইন পাস করা হয়। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। নাম পরিবর্তন করে 'বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়' রাখা হয়। একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাশিপুর এলাকায় নতুন স্থান নির্ধারণ করে। ওই পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আবারও ঝুলে থাকে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সে অনুযায়ী ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করেন। কীর্তনখোলা তীরবর্তী কর্ণকাঠির ৫০ একরজুড়ে চূড়ান্ত হয় ক্যাম্পাসের স্থান। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের সময় একটি পক্ষ বিরোধিতা করে। তবে সব বাধা পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি কর্ণকাঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কালের কণ্ঠ : বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধিকাংশ সময় পার হয়েছে। আন্দোলন এখন কোন পর্যায়ে?
ড. হারুনর রশীদ খান : আমরা যেটুকু পিছিয়ে পড়েছি, তা বাড়তি কাজ করে পুষিয়ে নিতে হবে। তবে শিক্ষার্থী ভর্তি তো আর এগিয়ে আনার উপায় নেই। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, আর যেন কোনো বাধা আমাদের পিছিয়ে না দেয়।
কালের কণ্ঠ : বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ কতটা এগিয়ে?
ড. হারুনর রশীদ খান : কর্ণকাঠিতে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৫০ একর জায়গা নিয়ে বিভিন্ন ভবন গড়ে উঠবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে যাবতীয় নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। নির্মাণকাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের স্থাপত্যশৈলীকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। একটু দূর থেকে সব ভবনকেই মনে হবে একই ধরনের।
তবে আবারও বলছি, কেবল সৌন্দর্যে সেরা হবে না, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে বেড়ে উঠবে, এমন প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এবং তা সফল হবেই। এ কাজে বরিশাল বিভাগের প্রতিটি মানুষের সক্রিয় সহায়তা আশা করছি। তারা প্রত্যেকে যেন এ প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাদের তরফে যে কোনো পরামর্শকেই স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হবে। এ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কালের কণ্ঠ : এ অবস্থায় চলতি শিক্ষাবর্ষের ক্লাস কোথায় হবে?
ড. হারুনর রশীদ খান : অবকাঠামো নির্মিত না হওয়ায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পর্যায়ে জিলা স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হচ্ছে। এ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের একটি অব্যবহৃত কলেজ ভবন রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার বর্গফুট আয়তনের। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে আরো প্রায় তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। এ সময় পর্যন্ত জিলা স্কুলের কলেজ ভবনকে কেন্দ্র করেই আমরা কাজ করব।
যারা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে, কেবল তাদের কাছ থেকেই দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার আবেদন পড়েছে। বুঝতেই পারছেন, শুরুতেই মিলছে ব্যাপক সাড়া।
ভর্তির জন্য লিখিত পরীক্ষা শেষে ৪০০ শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে এবং মেধার প্রশ্নে কোনো ছাড় আমরা দেব না। উপাচার্য বলেন, প্রথম ব্যাচে সেরা ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হলে পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় তার সুফল ভোগ করবে। তাদের মধ্য থেকেই বেছে নেওয়া যাবে শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জনে তাদের কাছ থেকে বিশেষ কিছু প্রত্যাশা করতেই পারি।
কালের কণ্ঠ : শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ কোন পর্যায়ে রয়েছে?
ড. হারুনর রশীদ খান : শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাজীবনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি পর্যায়ের পরীক্ষায় থাকতে হবে প্রথম বিভাগ বা শ্রেণী। কেবল ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে কিছুটা ছাড় দিতে হতে পারে। সরকারি-বেসরকারি কলেজে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করছেন এমন কেউ কেউ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
কালের কণ্ঠ : এর বাইরে আপনার অন্য কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না?
ড. হারুনর রশীদ খান : তৃতীয় অপশন হিসেবে ভিজিটিং অধ্যাপকও নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের বাইরে খ্যাতির সঙ্গে কাজ করছেন, এমন শিক্ষকদের বিষয়টিও আমরা বিবেচনায় রেখেছি। বরিশাল বিভাগের যাঁরা বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করব। ভিজিটিং অধ্যাপকরা হয়তো ১৫ দিনের জন্য আসবেন এবং এ সময়ের মধ্যেই দু-তিন মাসের কোর্স সম্পন্ন করবেন। যদিও এর ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর পড়াশোনার বাড়তি চাপ পড়বে।
কালের কণ্ঠ : কিন্তু এ ধরনের উচ্চমানের শিক্ষক নিয়োগে যে ব্যয় পড়বে, তা কে বহন করবে?
ড. হারুনর রশীদ খান : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে খুব একটা সহায়তা পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। এ জন্য ছাত্রছাত্রীদের ওপর বাড়তি ব্যয় ধরা ঠিক হবে না। তাদের ওপর পড়াশোনার চাপ পড়বে এবং সেটা নিয়েই তারা ব্যস্ত থাকুক, এটা চাইব। নতুন একটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আয়ে এ ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারবে বলেও মনে হয় না। আমি আশা করব, বরিশাল বিভাগের সচ্ছল ব্যক্তিরা এ জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন।
কালের কণ্ঠ : আউটার ক্যাম্পাসের ভাবনা আছে কি না?
ড. হারুনর রশীদ খান : বরিশালের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চাখার, শেরেবাংলার জন্মস্থান। সেখানে তাঁর নামে রয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, যার প্রতিষ্ঠা ১৯৪০ সালে। এ কলেজের নামে রয়েছে অনেক ভূখণ্ড, যা স্থানীয় ব্যক্তিরা দান করেছেন।
চাখারে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি রয়েছে এবং সে পদক্ষেপ নেওয়া যেতেই পারে। সেখানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বা দুটি অনুষদ স্থাপনেও কোনো বাধা নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্রমে যখন পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে, এ ধরনের সুযোগ তাতে নিশ্চিতভাবেই অবদান রাখবে।
বরিশালবাসীর কাছে আমার আবেদন থাকবে, বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পূর্ণ রূপ দিতে তাঁরা জমি দিয়ে কিংবা অন্য যেভাবে পারেন, যেন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এক বা একাধিক ব্যক্তি মিলে ছাত্রাবাস তৈরি করে দিতে পারেন। কিংবা অনেকে মিলেও এ কাজ করতে পারেন। যাঁরা যেভাবে অবদান রাখবেন, অবশ্যই তাঁর স্বীকৃতি দিতে আমরা কার্পণ্য করব না। গ্রন্থাগার ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনেও সহায়তা চাই। আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধাসহ ক্লাসরুম স্থাপনও কেউ করে দিতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য শুরুতে ছাত্রাবাস না থাকায় তাদের যাতায়াতে কিছু সমস্যা হবে। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ এ জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করতে পারে। বেসরকারি বাস কম্পানিগুলোর সহায়তাও আশা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি দিয়ে অথবা আর্থিক ও অন্যভাবে যাঁরা সহায়তা করবেন, তাঁদের সরকার কর-সুবিধা দেবে বলে আশা করব।
কালের কণ্ঠ : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না?
ড. হারুনর রশীদ খান : ছাত্ররাজনীতি করতে বাধা দেওয়া হবে না। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, অপরিণত বয়সের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মহল যেন রাজনীতি প্রবেশ না করায়। তিনি বলেন, অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় এমন মনোনিবেশ করানো হবে যে তারা ছাত্ররাজনীতির বিষয়টি তাদের ভাবনার জগতে আসবে না।
কালের কণ্ঠ : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ড. হারুনর রশীদ খান : বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেতুবন্ধ করে দিতে চাই। সে লক্ষ্যে হয়তো ভবিষ্যতে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ বিনিময়ের সমঝোতা চুক্তি করা হতে পারে। আমার বিশ্বাস, দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কালের কণ্ঠ : মূল ক্যাম্পাসে কত সাল নাগাদ যেতে পারবেন এবং সেখানকার ভৌতকাঠামোর অবস্থা কী হবে?
ড. হারুনর রশীদ খান : আমাদের লক্ষ্য ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কর্ণকাঠিসংলগ্ন নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়া। এ জন্য ৯৫ কোটি টাকা অনুমোদন পাওয়া গেছে। সেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০টি ভবন নির্মাণ করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মাণে আগামী বছরের জুনের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
কালের কণ্ঠ : বরিশালবাসীর দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আঞ্চলিক সুবিধা থাকবে কি না?
ড. হারুনর রশীদ খান : মেধার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মনস্তাত্তি্বক দিক দিয়ে বরিশালের শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে স্বচ্ছতা, সততা আর জবাবদিহিতার মাধ্যমে সব কাজ চালিয়ে যেতে চাই। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কোনো চাপ প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
কালের কণ্ঠ : মাত্র ছয়টি বিষয় নিয়ে যাত্রা করা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী বছর নতুন কোনো বিষয় যুক্ত হবে কি না?
ড. হারুনর রশীদ খান : আগামী বছর আইন বিষয়সহ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক কয়েকটি বিষয় চালু করার জন্য চেষ্টা করা হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই বরিশালবাসীর চাহিদাকে মূল্যায়ন করা হবে। এ ছাড়া বাংলার ভেনিস খ্যাত বরিশালের ইতিহাসকে আরো সমৃদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে গবেষণা করবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে এককালের চন্দ্রদ্বীপের ইতিকথা।
কালের কণ্ঠ : ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. হারুনর রশীদ খান : আপনাকেও ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.