যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপায় খুঁজতে সহযোগিতা করব
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপায় খুঁজতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাবি্লউ মজিনা গতকাল রবিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। মজিনা গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের কাছে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মজিনা বলেন, 'বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য দেশগুলোর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণকে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।' তিনি বলেন, 'প্রতিটি দেশকে তার নিজের পথ বেছে নিতে হবে। বাংলাদেশ যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে এবং তা যেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সে লক্ষ্যে উপায় খুঁজতে আমরা সহযোগিতা করব।'
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলি না। এটি অংশীদারির চেয়েও বেশি কিছু। বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বকে আরো বিস্তৃত, শক্তিশালী ও গভীর করতে আমি আমার সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আদেশ নিয়ে এসেছি।' তিনি বলেন, 'এগুলো ফাঁকা বুলি নয়। আমাদের অভিন্ন মৌলিক মূল্যবোধ, আমাদের ও আমাদের সন্তানদের জন্য শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও নিরাপদ দক্ষিণ এশিয়া গড়ার অভিন্ন প্রত্যাশাই এ অংশীদারত্বের ভিত্তি।'
টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিষয়ে জানতে চাইলে মজিনা বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যে মাত্রায় উন্নতি হয়েছে তার সুফল উভয় দেশ ও পুরো অঞ্চলের জনগণ পাবে। সম্পর্কের এ অগ্রগতি দেখে যুক্তরাষ্ট্র আনন্দিত। সীমান্ত, পানি ও ট্রানজিট ইস্যুতে দুই দেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গঠণমূলক, ইতিবাচক ও প্রগতিশীল সম্পর্ক টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুর মতো বিভিন্ন সমস্যার সমাধান আনবে।
দুর্নীতি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'দুর্নীতি এমন একটি ইস্যু যা বিশ্বের প্রতিটি দেশকেই সমস্যায় ফেলছে। কোনো দেশই এর বাইরে নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণ, সরকার ও সুশীল সমাজের লড়াই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
ঘুষ সমস্যা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রে সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশাজীবী শ্রেণীর সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে মজিনা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করতেও তাঁর দেশ কর্মসূচি নিয়েছে। তিনি বলেন, 'এ সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান নেই। বাংলাদেশকে ধারাবাহিকভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কারণ এটি রাষ্ট্রের অগ্রগতিকে ধীর করে দেয়।'
No comments