নগর ভবনে উৎকণ্ঠা :কে উত্তরে কে দক্ষিণে যাবেন by রাশেদ মেহেদী
ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগ করার বিল সংসদে পাস হওয়ার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাগ্য কী হবে তা নিয়ে বড় ধরনের সংশয়ে আছেন ডিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অবিভক্ত ডিসিসির ১২ হাজার ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কে উত্তরে যাবেন আর কে দক্ষিণে থাকবেন তা নিয়েও ধোঁয়াটে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে নগর ভবনে। বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে আছেন ডিসিসির পদস্থ কর্মকর্তারাও। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, 'আমরা সরকারি
নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' এদিকে ডিসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ
সংসদে বিল পাস হওয়ার মুহূর্ত থেকে রাজধানীতে সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে পূর্ণ ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।
সংসদে ওঠা বিলে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি অথবা প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদার সরকারি কর্মকর্তাকে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি সংসদে পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মেয়রসহ ৯০টি ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলররা পদ হারাবেন। এ কারণে আইন পাসের সঙ্গে সঙ্গে ডিসিসির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য উত্তর-দক্ষিণে বিভক্ত দুই সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। ডিসিসির বর্তমান প্রায় ১২ হাজার ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাত্র ২০ শতাংশ ১০টি জোনে দায়িত্ব পালন করছেন। বাকি ৮০ শতাংশ কর্মরত আছেন নগর ভবনে। সংসদে ওঠা বিলের ওয়ার্ড বিভক্তি অনুযায়ী নগর ভবন থাকছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গুলশানের মেয়র হাউসই হচ্ছে উত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশনের নগর ভবন। মূল নগর ভবন দক্ষিণে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশনের জন্য দ্রুততম সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী স্থানান্তর করতে হবে দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন পাস হওয়ার পর মূল নগর ভবন থেকে উত্তরের নগর ভবন মেয়র হাউসে কর্মকর্তা-কর্মচারী স্থানান্তর নিয়েই শুরু হবে বড় ধরনের জটিলতা। নগর ভবনে প্রায় আট-দশজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, ডিসিসি ভাগের আইনটি সংসদে ওঠার আগ পর্যন্ত তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেননি। আইন পাসের পর সরকার নির্দেশ দিয়ে পছন্দমতো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উত্তরে নিয়ে যেতে পারে। আর তখনই ক্ষোভ, অসন্তোষ বাড়তে পারে। সৃষ্টি হবে সংকটের। এমনিতেই এক সপ্তাহ ধরে নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যত কোনো কাজ করছেন না। অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারের সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গতকাল রেববার সকালে নগর ভবনের সামনের মানববন্ধন কর্মসূচিতে। প্রায় আট হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবেত হন নগর ভবনের সামনে। এর আগে নগর ভবনে এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমাবেশ দেখা যায়নি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি সূত্র জানায়, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় ডিসিসির পাঁচটি আঞ্চলিক অফিস আছে। এসব অফিস থেকে বেশ কিছু কর্মকর্তা গুলশানের মেয়র হাউসে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া নগর ভবন থেকেও নিয়ে আসা হবে। আইন হওয়ার পর খুব কম সময়ের মধ্যে উত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশনের জন্য নতুন জনবলও সংগ্রহ করা হবে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের পরিকল্পনাই রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের। এতবড় একটি কাজের শুরুতে কিছু কিছু সমস্যা হলেও অচলাবস্থা সৃষ্টির মতো ঘটনা ঘটবে না বলে অভিমত সরকারি সূত্রের। এ ব্যাপারে ডিসিসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ এখন পর্যন্ত আমাদের কারও সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বা যোগাযোগ করেনি। তবে স্বাভাবিকভাবে আইন পাসের পর একটি নির্দেশনা আসার কথা। নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আবদুল লতিফ সমকালকে বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই ডিসিসি বিভক্ত করার পক্ষে নন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিলে বাধ্য করার জন্য পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বন্ধসহ সব নাগরিকসেবা কার্যক্রম বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান। পরিষদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংসদে বিল পাস হওয়ার মুহূর্ত থেকে রাজধানীতে সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে পূর্ণ ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।
সংসদে ওঠা বিলে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি অথবা প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদার সরকারি কর্মকর্তাকে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি সংসদে পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মেয়রসহ ৯০টি ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলররা পদ হারাবেন। এ কারণে আইন পাসের সঙ্গে সঙ্গে ডিসিসির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য উত্তর-দক্ষিণে বিভক্ত দুই সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। ডিসিসির বর্তমান প্রায় ১২ হাজার ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাত্র ২০ শতাংশ ১০টি জোনে দায়িত্ব পালন করছেন। বাকি ৮০ শতাংশ কর্মরত আছেন নগর ভবনে। সংসদে ওঠা বিলের ওয়ার্ড বিভক্তি অনুযায়ী নগর ভবন থাকছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গুলশানের মেয়র হাউসই হচ্ছে উত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশনের নগর ভবন। মূল নগর ভবন দক্ষিণে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশনের জন্য দ্রুততম সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী স্থানান্তর করতে হবে দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন পাস হওয়ার পর মূল নগর ভবন থেকে উত্তরের নগর ভবন মেয়র হাউসে কর্মকর্তা-কর্মচারী স্থানান্তর নিয়েই শুরু হবে বড় ধরনের জটিলতা। নগর ভবনে প্রায় আট-দশজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, ডিসিসি ভাগের আইনটি সংসদে ওঠার আগ পর্যন্ত তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেননি। আইন পাসের পর সরকার নির্দেশ দিয়ে পছন্দমতো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উত্তরে নিয়ে যেতে পারে। আর তখনই ক্ষোভ, অসন্তোষ বাড়তে পারে। সৃষ্টি হবে সংকটের। এমনিতেই এক সপ্তাহ ধরে নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যত কোনো কাজ করছেন না। অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারের সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গতকাল রেববার সকালে নগর ভবনের সামনের মানববন্ধন কর্মসূচিতে। প্রায় আট হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবেত হন নগর ভবনের সামনে। এর আগে নগর ভবনে এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমাবেশ দেখা যায়নি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি সূত্র জানায়, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় ডিসিসির পাঁচটি আঞ্চলিক অফিস আছে। এসব অফিস থেকে বেশ কিছু কর্মকর্তা গুলশানের মেয়র হাউসে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া নগর ভবন থেকেও নিয়ে আসা হবে। আইন হওয়ার পর খুব কম সময়ের মধ্যে উত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশনের জন্য নতুন জনবলও সংগ্রহ করা হবে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের পরিকল্পনাই রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের। এতবড় একটি কাজের শুরুতে কিছু কিছু সমস্যা হলেও অচলাবস্থা সৃষ্টির মতো ঘটনা ঘটবে না বলে অভিমত সরকারি সূত্রের। এ ব্যাপারে ডিসিসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ এখন পর্যন্ত আমাদের কারও সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বা যোগাযোগ করেনি। তবে স্বাভাবিকভাবে আইন পাসের পর একটি নির্দেশনা আসার কথা। নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আবদুল লতিফ সমকালকে বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই ডিসিসি বিভক্ত করার পক্ষে নন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিলে বাধ্য করার জন্য পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বন্ধসহ সব নাগরিকসেবা কার্যক্রম বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান। পরিষদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
No comments