উন্নয়ন অন্বেষণের অর্থনৈতিক পর্যালোচনা-সরকারি ব্যয় নির্বাহে প্রয়োজন নতুন রাজস্ব আদায় কাঠামো
দেশে কর সংগ্রহের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। কিন্তু এর গতি প্রয়োজনের তুলনায় মন্থর হওয়ায় বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া বৈদেশিক সাহায্য কমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন অন্বেষণের নভেম্বর মাসের অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় এ কথা বলা হয়েছে। উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারম্যান রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় রাজস্ব আয়ের গুরুত্বপূর্ণ
অবদান রয়েছে। তা ছাড়া সরকারি ব্যয় নির্ধারণে অন্যান্য উপাদানের চেয়ে রাজস্ব সংগ্রহের ভূমিকা অনেক বেশি। এ কারণে রাজস্ব আয় বাড়ানো প্রয়োজন।
গত অর্থবছরে মোট রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৯৮,৪৫৬.৭৮ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ২২.৪৩ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে কর রাজস্ব ও কর-বহির্ভূত রাজস্বের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪২,৩২০.৭৮ কোটি ও ১৬,১৩৬ কোটি টাকা। এনবিআর রাজস্ব ছিল ৭৯,০৯১.৪২ কোটি টাকা, যা ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২৭.৪৮ শতাংশ বেশি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি (২০১১-১২) অর্থবছরে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ধরা হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের প্রাক্কলিত পরিমাণের চেয়ে ২৭.৫১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে কর রাজস্ব ৯৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়, যা গত বছরের তুলনায় ২৫.৯৬ শতাংশ বেশি।
পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়াবে ১,৩৪,১৫৭.৩২ কোটি টাকা। সেখানে কর রাজস্বের পরিমাণ হবে ২১,৩৩৪.০০ কোটি টাকা। তা ছাড়া এনবিআর রাজস্ব দাঁড়াবে ১০,৮,৫৩৩.২৮ কোটি টাকা, যেখানে এনবিআরবহির্ভূত রাজস্ব হতে পারে ৪,২৯০.০৪ কোটি টাকা। এনবিআর রাজস্ব কর রাজস্বের মধ্যে অন্যতম ২০১১-১২ অর্থবছরে এর অবদান খুব বেশি বাড়ছে যেখানে মোট কর রাজস্বে এর অনুপাত ছিল ৯৬ শতাংশ এবং করবহির্ভূত রাজস্ব ছিল ৩.৯৬ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে এনবিআর রাজস্ব কর রাজস্ব অনুপাত ৯৫.৯১ শতাংশ এবং এনবিআরবহির্ভূত কর রাজস্ব অনুপাত ৪.০৯ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি শুল্ক প্রাক্কলন করা হয়েছে যথাক্রমে ২৭,৫৬১.০ কোটি, ৩৪,৩০৪.০ কোটি টাকা এবং ১,২৬,৩৪.০ কোটি টাকা। যেখানে সম্পূরক শুল্ক প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬,২২০.০ কোটি টাকা যা গত অর্থবছর থেকে ১৮.৩৯ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে আবগারি শুল্ক ও রপ্তানি শুল্ক প্রাক্কলন করা হয়েছে যথাক্রমে ৪৫০.০ এবং ৩০.০ কোটি টাকা।
পর্যালোচনায় আরো বলা হয়েছে, বাজেট অর্থায়নের জন্য সরকার রাজস্ব সংগ্রহের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
গত অর্থবছরে মোট রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৯৮,৪৫৬.৭৮ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ২২.৪৩ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে কর রাজস্ব ও কর-বহির্ভূত রাজস্বের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪২,৩২০.৭৮ কোটি ও ১৬,১৩৬ কোটি টাকা। এনবিআর রাজস্ব ছিল ৭৯,০৯১.৪২ কোটি টাকা, যা ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২৭.৪৮ শতাংশ বেশি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি (২০১১-১২) অর্থবছরে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ধরা হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের প্রাক্কলিত পরিমাণের চেয়ে ২৭.৫১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে কর রাজস্ব ৯৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়, যা গত বছরের তুলনায় ২৫.৯৬ শতাংশ বেশি।
পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়াবে ১,৩৪,১৫৭.৩২ কোটি টাকা। সেখানে কর রাজস্বের পরিমাণ হবে ২১,৩৩৪.০০ কোটি টাকা। তা ছাড়া এনবিআর রাজস্ব দাঁড়াবে ১০,৮,৫৩৩.২৮ কোটি টাকা, যেখানে এনবিআরবহির্ভূত রাজস্ব হতে পারে ৪,২৯০.০৪ কোটি টাকা। এনবিআর রাজস্ব কর রাজস্বের মধ্যে অন্যতম ২০১১-১২ অর্থবছরে এর অবদান খুব বেশি বাড়ছে যেখানে মোট কর রাজস্বে এর অনুপাত ছিল ৯৬ শতাংশ এবং করবহির্ভূত রাজস্ব ছিল ৩.৯৬ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে এনবিআর রাজস্ব কর রাজস্ব অনুপাত ৯৫.৯১ শতাংশ এবং এনবিআরবহির্ভূত কর রাজস্ব অনুপাত ৪.০৯ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি শুল্ক প্রাক্কলন করা হয়েছে যথাক্রমে ২৭,৫৬১.০ কোটি, ৩৪,৩০৪.০ কোটি টাকা এবং ১,২৬,৩৪.০ কোটি টাকা। যেখানে সম্পূরক শুল্ক প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬,২২০.০ কোটি টাকা যা গত অর্থবছর থেকে ১৮.৩৯ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে আবগারি শুল্ক ও রপ্তানি শুল্ক প্রাক্কলন করা হয়েছে যথাক্রমে ৪৫০.০ এবং ৩০.০ কোটি টাকা।
পর্যালোচনায় আরো বলা হয়েছে, বাজেট অর্থায়নের জন্য সরকার রাজস্ব সংগ্রহের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
No comments