রুপার শরীরজুড়ে কাটা-পোড়ার দাগ
সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। কাটা আর পোড়ার দাগ। ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে সে। ছোট্ট এ মেয়েটির বয়স মাত্র আট বছর। তবে গৃহকর্ত্রীর নির্যাতনে তার মুখের শিশুসুলভ লাবণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। রুপা আক্তার নামের এ মেয়েটি রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় কাজ করত। গতকাল রবিবার তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
রুপার মা মিরন বেগম জানান, তাঁরা বংশাল থানার নবাবপুরের টেকেরহাটে থাকেন। গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। রুপার বাবা আবদুল হাই দারোয়ানের কাজ করেন। তাঁদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে রুপা চতুর্থ। দুই বছর আগে প্রতিবেশী সীমা বেগমের মেয়ে সাথী বেগমের বাসায় কাজে দেন তিনি। সাথীর বাসা মিরপুরের শেওড়াপাড়ার গার্মেন্ট গলিতে। মা মিরন বেশ কয়েকবার গার্মেন্ট গলির বাসায় গেলেও মেয়ের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
মিরন বেগম অভিযোগ করেন, সেখানে দুই বছর ধরে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় রুপাকে। রুপার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও গরম খুন্তি দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুপাকে আহত অবস্থায় সীমা বেগম বাসায় নিয়ে আসে। রাতেই স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় রুপাকে। এতে সুস্থ না হওয়ায় রুপাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল পর্যন্ত অভিযুক্ত গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তবে ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁরা বংশাল থানায় ঘটনাটি জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রুপার হাত, পা, মুখমণ্ডল, মাথা, পিঠ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রুপা জানায়, ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করে খাওয়ার অপরাধে সাথী, সাথীর স্বামী পিন্টু ও ছেলে হিরা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। গত দুই বছর ধরে নানা অজুহাতে তাকে মারধর করা হয়। গরম খুন্তি দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়। মারধরের পর তাকে ঘরে বন্দি করে রাখা হতো।
রুপা ও তার মা মিরন শেওড়াপাড়ার ওই বাসার বিস্তারিত ঠিকানা জানাতে পারেনি।
মিরপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেম আলী বলেন, 'শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তবে শেওড়াপাড়ায় গার্মেন্টগলি নামে কোনো জায়গা আছে বলে আমাদের জানা নেই। তবুও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।'
অন্যদিকে সম্ভাব্য থানা এলাকা কাফরুল থানার ডিউটি অফিসার আলফাজ উদ্দিন বলেন, 'শেওড়াপাড়ায় গার্মেন্টগলি বা অন্য কোথাও নির্যাতনের ঘটনা শোনা যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
মিরন বেগম অভিযোগ করেন, সেখানে দুই বছর ধরে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় রুপাকে। রুপার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও গরম খুন্তি দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুপাকে আহত অবস্থায় সীমা বেগম বাসায় নিয়ে আসে। রাতেই স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় রুপাকে। এতে সুস্থ না হওয়ায় রুপাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল পর্যন্ত অভিযুক্ত গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তবে ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁরা বংশাল থানায় ঘটনাটি জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রুপার হাত, পা, মুখমণ্ডল, মাথা, পিঠ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রুপা জানায়, ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করে খাওয়ার অপরাধে সাথী, সাথীর স্বামী পিন্টু ও ছেলে হিরা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। গত দুই বছর ধরে নানা অজুহাতে তাকে মারধর করা হয়। গরম খুন্তি দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়। মারধরের পর তাকে ঘরে বন্দি করে রাখা হতো।
রুপা ও তার মা মিরন শেওড়াপাড়ার ওই বাসার বিস্তারিত ঠিকানা জানাতে পারেনি।
মিরপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেম আলী বলেন, 'শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তবে শেওড়াপাড়ায় গার্মেন্টগলি নামে কোনো জায়গা আছে বলে আমাদের জানা নেই। তবুও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।'
অন্যদিকে সম্ভাব্য থানা এলাকা কাফরুল থানার ডিউটি অফিসার আলফাজ উদ্দিন বলেন, 'শেওড়াপাড়ায় গার্মেন্টগলি বা অন্য কোথাও নির্যাতনের ঘটনা শোনা যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
No comments