টেস্ট ক্রিকেটের জয়গান মুম্বাইতেও
ভারতের হার বা জয়, ড্র, টাই_চারটি ফলই হতে পারত মুম্বাই টেস্টে। ওয়াংখেড়ের অসাধারণ ক্রিকেট তার রোমাঞ্চের ডালি যেভাবে ছড়িয়ে বসেছিল তাতে উত্তেজনায় কাঁপছিল পুরো স্টেডিয়াম। রবিচন্দ্রন অশ্বিন শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি। নিজেরা জিততে না পারলেও এ ম্যাচে টেস্ট ক্রিকেটের জয়গানই দেখছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি, 'অসাধারণ একটা ম্যাচ হলো।
কদিন আগে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্টটাও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এ ধরনের উত্তেজক ম্যাচ টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন। ওয়াংখেড়ের উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা তেমন একটা নেই আমাদের। তবু সবাই দারুণ লড়াই করেছে, ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল আমাদের।' তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ হার, কিন্তু অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে এসে মুম্বাই টেস্টে জয়ের খুব কাছাকাছি যাওয়া আর সে সঙ্গে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো_এ সিরিজ থেকে অনুপ্রেরণাই খুঁজে পাচ্ছেন স্যামি!
এ হোয়াইটওয়াশ করতে না পারাটাই আবার অতৃপ্তির জায়গা ভারতের। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৩ রান। কিন্তু প্রথম পাঁচ বলে তারা নিতে পারে মাত্র ১ রান। শেষ বলে ১ রান নিয়ে স্কোর সমান করার পর অসম্ভব দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটে রান আউট হয়ে যান অশ্বীন। ২২ উইকেট আর একটি সেঞ্চুরিসহ ১২১ রান করে সিরিজসেরা হলেও তাই কিছুটা আফসোস ঝরল অশ্বিনের কণ্ঠে, 'সবার আগে দলের হার বাঁচাতে চেয়েছিলাম। ভেবে দেখুন শেষ দুই বলে দুই উইকেট গেলে তো হেরেই যেতাম। তাই পঞ্চম বলটা ঠেকিয়ে আগে হার এড়ানো নিশ্চিত করেছি। শেষ বলে দুই রান নিতে গিয়ে দেখি ফিল্ডার থ্রো করে দিয়েছে, বল তখন আমার মাথার ওপর। আসলে ওটা দুই রান ছিল না কোনোভাবেই। তবু চেষ্টা করে গেছি। পারলাম না, এই যা।'
পঞ্চম বলেই কেন ১ রান নিলেন না, এ জন্য সমালোচনাই শুনতে হচ্ছে অশ্বিনকে। তবে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি পাশেই দাঁড়ালেন এ সিরিজে টেস্ট অভিষেক হওয়া অশ্বিনের, 'প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও অশ্বিন খেলেছে ২৭টা বল। ও ক্রিজে এতটা বেশি সময় না থাকলে কি হতো একবার ভেবে দেখবেন! একবারের জন্যও ওকে দায়ী করব না আমি।'
প্রথম চার দিন ওয়াংখেড়ের পিচ দেখে বোঝাই যায়নি শেষ দিন কি জমজমাট নাটক অপেক্ষা করছে। ভাবতে পারেননি ধোনিও। তবে জয়ের এত কাছে গিয়েও জিততে না পারার হতাশাটা গোপন করলেন না ভারতীয় অধিনায়ক, 'ম্যাচ ড্র-ই হচ্ছে, ভেবে নিয়েছিলাম সবাই। কিন্তু উইকেটে প্রাণ ফিরে আসায় অভাবনীয় একটা ম্যাচ হয়ে গেল শেষ পর্যন্ত। একটা ব্যাপার শিক্ষা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো জিনিস হাতে আসছে ততক্ষণ সেটার দাবিদার না হওয়া।' শেষ দিনে উইকেটে যেভাবে টার্ন পেয়েছিলেন স্পিনাররা ভারতের মাটিতে এটা প্রথম দিন থেকেই চাইলেন ধোনি, 'শেষ দিনের ক্রিকেট আমরা ভুলব না আর প্রথম চার দিনের একঘেয়ে খেলার কথাও মনে রাখব না। এখন থেকে চাইব প্রথম দিন থেকেই বল ঘোরে এ ধরনের উইকেট, যেন উত্তেজনা আনতে শেষ দিন বিকেল পর্যন্ত বসে থাকতে না হয়।' পিটিআই
এ হোয়াইটওয়াশ করতে না পারাটাই আবার অতৃপ্তির জায়গা ভারতের। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৩ রান। কিন্তু প্রথম পাঁচ বলে তারা নিতে পারে মাত্র ১ রান। শেষ বলে ১ রান নিয়ে স্কোর সমান করার পর অসম্ভব দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটে রান আউট হয়ে যান অশ্বীন। ২২ উইকেট আর একটি সেঞ্চুরিসহ ১২১ রান করে সিরিজসেরা হলেও তাই কিছুটা আফসোস ঝরল অশ্বিনের কণ্ঠে, 'সবার আগে দলের হার বাঁচাতে চেয়েছিলাম। ভেবে দেখুন শেষ দুই বলে দুই উইকেট গেলে তো হেরেই যেতাম। তাই পঞ্চম বলটা ঠেকিয়ে আগে হার এড়ানো নিশ্চিত করেছি। শেষ বলে দুই রান নিতে গিয়ে দেখি ফিল্ডার থ্রো করে দিয়েছে, বল তখন আমার মাথার ওপর। আসলে ওটা দুই রান ছিল না কোনোভাবেই। তবু চেষ্টা করে গেছি। পারলাম না, এই যা।'
পঞ্চম বলেই কেন ১ রান নিলেন না, এ জন্য সমালোচনাই শুনতে হচ্ছে অশ্বিনকে। তবে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি পাশেই দাঁড়ালেন এ সিরিজে টেস্ট অভিষেক হওয়া অশ্বিনের, 'প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও অশ্বিন খেলেছে ২৭টা বল। ও ক্রিজে এতটা বেশি সময় না থাকলে কি হতো একবার ভেবে দেখবেন! একবারের জন্যও ওকে দায়ী করব না আমি।'
প্রথম চার দিন ওয়াংখেড়ের পিচ দেখে বোঝাই যায়নি শেষ দিন কি জমজমাট নাটক অপেক্ষা করছে। ভাবতে পারেননি ধোনিও। তবে জয়ের এত কাছে গিয়েও জিততে না পারার হতাশাটা গোপন করলেন না ভারতীয় অধিনায়ক, 'ম্যাচ ড্র-ই হচ্ছে, ভেবে নিয়েছিলাম সবাই। কিন্তু উইকেটে প্রাণ ফিরে আসায় অভাবনীয় একটা ম্যাচ হয়ে গেল শেষ পর্যন্ত। একটা ব্যাপার শিক্ষা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো জিনিস হাতে আসছে ততক্ষণ সেটার দাবিদার না হওয়া।' শেষ দিনে উইকেটে যেভাবে টার্ন পেয়েছিলেন স্পিনাররা ভারতের মাটিতে এটা প্রথম দিন থেকেই চাইলেন ধোনি, 'শেষ দিনের ক্রিকেট আমরা ভুলব না আর প্রথম চার দিনের একঘেয়ে খেলার কথাও মনে রাখব না। এখন থেকে চাইব প্রথম দিন থেকেই বল ঘোরে এ ধরনের উইকেট, যেন উত্তেজনা আনতে শেষ দিন বিকেল পর্যন্ত বসে থাকতে না হয়।' পিটিআই
No comments