যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছে পাকিস্তান
ন্যাটোর হামলায় ২৪ সেনা নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান গতকাল রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে সব পর্যায়ের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। শনিবারের ওই হামলার পর পরই ন্যাটোর রসদ সরবরাহের পথ বন্ধ করে দেয় ইসলামাবাদ।যুক্তরাষ্ট্র গতকাল তাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ এই মিত্রের ক্ষোভ ভাঙানোর জোর প্রচেষ্টা শুরু করে। তারা ঘটনার পূর্ণ তদন্তে ন্যাটোর উদ্যোগকে সমর্থনের সঙ্গে সঙ্গে
এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। ন্যাটোপ্রধান অ্যান্দারস ফাগ রাসমুসেনও গতকাল এ ঘটনাকে 'দুঃখজনক ও অনিচ্ছাকৃত' বলে উল্লেখ করেন।
তবে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পকিস্তানের মোহমান্দ জেলায় গত শনিবার ভোরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পাকিস্তানের দাবি, বিনা উস্কানিতে তাদের দুটি সেনা চৌকিতে বিমান হামলা চালায় ন্যাটো বাহিনী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার গতকাল বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে টেলিফোন করেন। হিনা বলেন, সেনা চৌকিতে দায়িত্বজ্ঞানহীন হামলা 'কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়'। এটা আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থী এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। গত মে মাসে পাকিস্তানের মাটিতে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কে যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল তাকেই আরো গভীর করল এ হামলা।
শনিবারের হামলার পর পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা ও সশস্ত্র বাহিনীপ্রধানরা বৈঠক করেন। বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতেই হিলারিকে ফোন করেন হিনা। প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে বলা হয়, 'যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং আফগানিস্তানে নিয়োজিত আন্ত্তর্জাতিক বাহিনীর সঙ্গে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক ও গোয়েন্দাসহ সব ধরনের কর্মসূচি ও সহযোগিতার পূর্ণাঙ্গ পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।'
হিলারি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা গতকাল হামলা প্রসঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে ঘটনা তদন্তে ন্যাটোর উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান। তারা পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ইসলামাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষার কথা উল্লেখ করেন। দুঃখ প্রকাশ করেছেন ন্যাটোপ্রধান রাসমুসেনও। এক বিবৃতিতে গতকাল তিনি বলেন, 'আমি এক বার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই হামলাকে অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছি। এটা একটা দুঃখজনক ও অনিচ্ছাকৃত ঘটনা।' ন্যাটো স্বীকার করেছে, এ ধরনের হামলা ঘটতে পারে। শনিবার ভোরে ন্যাটো ও আফগান বাহিনী ওই এলাকায় গিয়েছিল। সেখানে তালেবানের প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে উল্লেখ করে বিমান সহায়তা এবং গুলি চালানোর অনুমতিও চায় তারা।
পাকিস্তান এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দায়িত্ব ন্যাটো সদস্য তুরস্ককে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। গতকাল সামরিক বাহিনীর প্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানির উপস্থিতিতে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবারই পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে ন্যাটোর রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কবে নাগাদ এটা খুলে দেওয়া হবে তা জানা যায়নি। আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইরত এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন সেনার জন্য রসদ সরবরাহে পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ৪০ শতাংশ রসদ এ পথেই যায়। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে ন্যাটো হামলায় পাকিস্তানের তিন সেনা নিহত হওয়ার পরও এ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১১ দিন পর যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পর তা খুলে দেওয়া হয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে, এবারের হামলার জন্যও ন্যাটোকে চড়া দাম দিতে হবে। সূত্র : বিবিসি, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
তবে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পকিস্তানের মোহমান্দ জেলায় গত শনিবার ভোরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পাকিস্তানের দাবি, বিনা উস্কানিতে তাদের দুটি সেনা চৌকিতে বিমান হামলা চালায় ন্যাটো বাহিনী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার গতকাল বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে টেলিফোন করেন। হিনা বলেন, সেনা চৌকিতে দায়িত্বজ্ঞানহীন হামলা 'কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়'। এটা আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থী এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। গত মে মাসে পাকিস্তানের মাটিতে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কে যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল তাকেই আরো গভীর করল এ হামলা।
শনিবারের হামলার পর পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা ও সশস্ত্র বাহিনীপ্রধানরা বৈঠক করেন। বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতেই হিলারিকে ফোন করেন হিনা। প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে বলা হয়, 'যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং আফগানিস্তানে নিয়োজিত আন্ত্তর্জাতিক বাহিনীর সঙ্গে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক ও গোয়েন্দাসহ সব ধরনের কর্মসূচি ও সহযোগিতার পূর্ণাঙ্গ পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।'
হিলারি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা গতকাল হামলা প্রসঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে ঘটনা তদন্তে ন্যাটোর উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান। তারা পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ইসলামাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষার কথা উল্লেখ করেন। দুঃখ প্রকাশ করেছেন ন্যাটোপ্রধান রাসমুসেনও। এক বিবৃতিতে গতকাল তিনি বলেন, 'আমি এক বার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই হামলাকে অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছি। এটা একটা দুঃখজনক ও অনিচ্ছাকৃত ঘটনা।' ন্যাটো স্বীকার করেছে, এ ধরনের হামলা ঘটতে পারে। শনিবার ভোরে ন্যাটো ও আফগান বাহিনী ওই এলাকায় গিয়েছিল। সেখানে তালেবানের প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে উল্লেখ করে বিমান সহায়তা এবং গুলি চালানোর অনুমতিও চায় তারা।
পাকিস্তান এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দায়িত্ব ন্যাটো সদস্য তুরস্ককে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। গতকাল সামরিক বাহিনীর প্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানির উপস্থিতিতে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবারই পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে ন্যাটোর রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কবে নাগাদ এটা খুলে দেওয়া হবে তা জানা যায়নি। আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইরত এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন সেনার জন্য রসদ সরবরাহে পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ৪০ শতাংশ রসদ এ পথেই যায়। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে ন্যাটো হামলায় পাকিস্তানের তিন সেনা নিহত হওয়ার পরও এ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১১ দিন পর যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পর তা খুলে দেওয়া হয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে, এবারের হামলার জন্যও ন্যাটোকে চড়া দাম দিতে হবে। সূত্র : বিবিসি, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
No comments