রেমিট্যান্স প্রত্যাশা-রাউজানের পথেরহাটে ৩০০ মিটারে ব্যাংকের শাখা ১২টি by জাহেদুল আলম,

রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া পথেরহাট যেন ব্যাংকপাড়া। ইতিমধ্যে এই বাজারটির মাত্র ৩০০ মিটারের মধ্যে খোলা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি ১২টি ব্যাংকের শাখা। আরো তিনটি ব্যাংকের শাখা খোলার কাজ চলছে। এলাকার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও ব্যবসা- বাণিজ্যের দ্রুত প্রসার ঘটায় এক এলাকায় এত ব্যাংকের সমাগম ঘটেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। কয়েকজন ব্যাংকব্যবস্থাপক জানান, পুরো দক্ষিণ রাউজান মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীনির্ভর।


যার কারণে এখানে প্রবাসী রেমিট্যান্স দেশের অন্যান্য মফস্বল এলাকার চেয়ে অনেক গুণ বেশি। যেহেতু ব্যাংকের হাত ধরে রেমিট্যান্স গ্রাহকের হাতে পেঁৗছে, সেহেতু স্বাভাবিকভাবে এখানে ব্যাংকের শাখা বেশি। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য পাশের উপজেলা রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালীসহ অনেক এলাকার মানুষের পথেরহাটে আসাকেও ব্যাংকের শাখা খোলার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন কয়েকজন ব্যবস্থাপক।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা পথেরহাটে নতুন ব্যাংকের আগমনকে স্বাগত জানান। তবে বেশি ব্যাংক হওয়ার বিড়ম্বনার কথাও জানান কয়েক গ্রাহক। জাহেদ তালুকদার নামের এক প্রবাসী গ্রাহক জানান, নতুন একটি ব্যাংক উদ্বোধন হলে কর্মকর্তারা অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন, যা অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় চলে যায়। পথেরহাটের ব্যবসায়ী বাবুধর জানান, আগে তিন-চারটি ব্যাংক থাকায় ঋণ পাওয়ার কথা চিন্তাও করা যেত না; এখন ব্যাংক দোকানে যায় ঋণ নেওয়ার কথা বলতে। এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নুরুজ্জামান বলেন, 'ব্যাংকের শাখা বেশি হওয়ায় গ্রাহকরা ভালো ব্যাংকিং সুবিধা ভোগ করছেন, এটিএম বুথের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা টাকা উত্তোলন করতে পারছেন।'
পথেরহাটে ব্যাংকের শাখা বৃদ্ধির ব্যাপারে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মমতাজুল ইসলাম বলেন, 'আমার মনে হয় গ্রাহকের ব্যাংকিংয়ের তুলনায় পথেরহাটে ব্যাংকের শাখা বেড়ে গেছে। সে অনুপাতে ব্যাংকগুলোর ব্যবসা হচ্ছে কি-না, তা দেখার বিষয়।'
কামরুল ইসলাম বাবু নামের এক ব্যাংক গ্রাহক বলেন, 'পথেরহাটে যত ব্যাংক রয়েছে, তার অর্ধেকও নেই গোটা উপজেলা ও পৌর সদরে।'

No comments

Powered by Blogger.