ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের মিশন
হয়তো তাঁরা এখন গরাদের ফাঁক গলে কঠিন দুই চোখ মেলে তাকিয়ে থাকেন! মিসবাহ-উল হক এবং তাঁর দল যখন সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে, তখন সালমান বাট-মোহাম্মদ আসিফরা বন্দি কারাগারে! ইংল্যান্ডের জেলে সাবেক সতীর্থদের নিঃসঙ্গ কারাবাসে কি এ পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের মন ব্যথিত হয় না? ভীষণ অপ্রিয় হলেও কাল পাকিস্তান দলের সংবাদ সম্মেলনে কেউ একজন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হককে ঠিক এ প্রশ্নটাই করে বসলেন।
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো তিনি একটুও বিচলিত হলেন না। যেন এমন বাউন্সারে 'ডাক' করার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন। সামলে নিয়ে বললেন 'ইমেজ' পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যের কথা।সালমান-আসিফদের স্পট ফিঙ্ংি কাণ্ডের পর থেকে সত্যিকার অর্থেই ইমেজ সংকটে পাকিস্তানের ক্রিকেট। এমনিতে সব সময় বিতর্কের নাগপাশে বন্দি হয়ে থাকা দলটির ভাবমূর্তিই এখন প্রশ্নের মুখে। তাঁদের পারফরম্যান্স একটু এদিক-সেদিক হলেই নানা সন্দেহের ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। দুবাইতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজ জিতেই ঢাকায় আসা মিসবাহ পাকিস্তানকে সেই জায়গাটায় নিয়ে যেতে চান, যেখানে তারা আগে একসময় ছিলেন, 'আরো ভালো পারফরম্যান্সের দিকেই এখন নজর দিচ্ছি আমরা। বাইরে যা ঘটছে, সেসব নিয়ে একদমই ভাবছি না। এখানে আমরা ক্রিকেট খেলতে এসেছি এবং মনোযোগটা সেদিকেই রাখতে চাই, কারণ ইমেজ ফিরিয়ে আনার এটাই একমাত্র পথ।' সে জন্য কাঙাল হয়ে থাকা মিসবাহকেও খুঁজে পাওয়া গেল তাঁর কথায়, 'একটা সময় আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা দল এমন একটা ইমেজ ছিল আমাদের। এখন আবার সেটি ফিরে পেতে হবে।'
সেই সঙ্গে সালমান-আসিফদের সূত্রে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কথা অবশ্য উহ্য রাখলেন। সংবাদ সম্মেলনের শেষে ম্যানেজার নাভিদ আকরাম চিমা নিজে মাইক্রোফোন টেনে নিয়ে মিসবাহর না বলা কথাটাই বললেন, 'আমরা এখানে শুধু ম্যাচ জিততেই আসিনি, আপনাদের হৃদয়ও জয় করতে এসেছি। বর্তমান পাকিস্তান দল এখানে ক্রিকেটের সত্যিকারের স্পিরিট যেকোনো মূল্যে সমুন্নত রাখবে।' তা রাখার ক্ষেত্রে লর্ডসে ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মহসিন খানও এখন দলের আরো কাছাকাছি। ২০১০ সালের মার্চ থেকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা এ সাবেক ক্রিকেটার এখন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচও। খেলোয়াড়ি জীবন সংক্ষিপ্ত করে ভারতীয় ফিল্মের নায়ক বনে যাওয়া মহসিন বাড়তি দায়িত্বটা নিয়েছেন এ বছর জিম্বাবুয়ে সফর শেষে কোচের পদ থেকে ওয়াকার ইউনিস সরে যাওয়ার পর। এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতা দারুণ সুখকর বলেই জানাচ্ছেন তিনি, 'এখন পর্যন্ত দারুণ কাটছে সময়টা। আর পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছি বলেই আমি আজকের মহসিন খান। সুতরাং এখন আমাকে আমার সম্ভাব্য সেরাটা ফিরিয়ে দিতে হবে।'
তিনি কিছু ফিরিয়ে দিতে চান এবং এর সঙ্গে মিসবাহর ইমেজ পুনরুদ্ধারের মিশন মিলিয়ে গত কিছুদিনে ভীষণ একাট্টা দেখাচ্ছে পাকিস্তান দলকে। একীভূত হওয়ার এ রহস্য অধিনায়ক ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, 'আসলে জয়ই পারে একটা দলকে একতাবদ্ধ করতে। আমাদের সাফল্যের রহস্য এটাই। তা ছাড়া আরেকটা ব্যাপার হলো, একটা সময় ঢালাও পরিবর্তনের ফলে দলে নতুন অনেকে চলে এসেছিল। এখন ওরা অভিজ্ঞ হয়েছে। একসঙ্গে অনেক দিন ধরে খেলছে। মানিয়ে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গেও। এ জন্যই দলটা উন্নতি করছে।' অধিনায়ক হিসেবে সাফল্যেও সমৃদ্ধ হচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে খেলা ১১ ওয়ানডের ১০টিতেই জিতেছে পাকিস্তান। আর অধিনায়ক মিসবাহকে কোনো টেস্ট সিরিজই হারতে হয়নি। এ জন্য নেতৃত্বও ক্রমেই উপভোগ্য হয়ে উঠছে। দলে তিন সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক ও ইউনিস খানের অকুণ্ঠ সমর্থনধন্য হচ্ছেন বলেও জানালেন।
দুবাইতে টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে আসা পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষই। কিন্তু খেলাটা বাংলাদেশের মাঠে বলে সর্বোচ্চ সতর্কতাও আছে মিসবাহর, 'বিশেষ করে নিজেদের মাঠ আর উইকেটে বাংলাদেশ ভালো খেলে। এটা আমাদের মাথায় আছে। এখানে আমরা ভালো এবং 'হার্ড' ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে আমরা এটাও জানি যে এখানে বাংলাদেশ লড়াই জমিয়ে তুলতে পারে।' তাই বলে বিশেষ কাউকে টার্গেট করার কথাও ভাবছেন না, 'ক্রিকেটে পুরো দলের ওপরই নজর রাখতে হয়। আপনার দলে যেমন, তেমনি অন্য দলেরও প্রতিটা খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটা টিম গেম।' গত কিছুদিনে পাকিস্তান দলের সাফল্যে এই টিম গেমের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি দেখছেন মিসবাহ, 'আমরা একটা পরিবারের মতো কাজ করছি। সবাই সবাইকে সাহায্য করছি।' আসলে এমনই তো হতে হবে সবাইকে। দু-একটা সালমান-আসিফও থাকলে তো আর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার হবে না!
সেই সঙ্গে সালমান-আসিফদের সূত্রে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কথা অবশ্য উহ্য রাখলেন। সংবাদ সম্মেলনের শেষে ম্যানেজার নাভিদ আকরাম চিমা নিজে মাইক্রোফোন টেনে নিয়ে মিসবাহর না বলা কথাটাই বললেন, 'আমরা এখানে শুধু ম্যাচ জিততেই আসিনি, আপনাদের হৃদয়ও জয় করতে এসেছি। বর্তমান পাকিস্তান দল এখানে ক্রিকেটের সত্যিকারের স্পিরিট যেকোনো মূল্যে সমুন্নত রাখবে।' তা রাখার ক্ষেত্রে লর্ডসে ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মহসিন খানও এখন দলের আরো কাছাকাছি। ২০১০ সালের মার্চ থেকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা এ সাবেক ক্রিকেটার এখন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচও। খেলোয়াড়ি জীবন সংক্ষিপ্ত করে ভারতীয় ফিল্মের নায়ক বনে যাওয়া মহসিন বাড়তি দায়িত্বটা নিয়েছেন এ বছর জিম্বাবুয়ে সফর শেষে কোচের পদ থেকে ওয়াকার ইউনিস সরে যাওয়ার পর। এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতা দারুণ সুখকর বলেই জানাচ্ছেন তিনি, 'এখন পর্যন্ত দারুণ কাটছে সময়টা। আর পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছি বলেই আমি আজকের মহসিন খান। সুতরাং এখন আমাকে আমার সম্ভাব্য সেরাটা ফিরিয়ে দিতে হবে।'
তিনি কিছু ফিরিয়ে দিতে চান এবং এর সঙ্গে মিসবাহর ইমেজ পুনরুদ্ধারের মিশন মিলিয়ে গত কিছুদিনে ভীষণ একাট্টা দেখাচ্ছে পাকিস্তান দলকে। একীভূত হওয়ার এ রহস্য অধিনায়ক ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, 'আসলে জয়ই পারে একটা দলকে একতাবদ্ধ করতে। আমাদের সাফল্যের রহস্য এটাই। তা ছাড়া আরেকটা ব্যাপার হলো, একটা সময় ঢালাও পরিবর্তনের ফলে দলে নতুন অনেকে চলে এসেছিল। এখন ওরা অভিজ্ঞ হয়েছে। একসঙ্গে অনেক দিন ধরে খেলছে। মানিয়ে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গেও। এ জন্যই দলটা উন্নতি করছে।' অধিনায়ক হিসেবে সাফল্যেও সমৃদ্ধ হচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে খেলা ১১ ওয়ানডের ১০টিতেই জিতেছে পাকিস্তান। আর অধিনায়ক মিসবাহকে কোনো টেস্ট সিরিজই হারতে হয়নি। এ জন্য নেতৃত্বও ক্রমেই উপভোগ্য হয়ে উঠছে। দলে তিন সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক ও ইউনিস খানের অকুণ্ঠ সমর্থনধন্য হচ্ছেন বলেও জানালেন।
দুবাইতে টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে আসা পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষই। কিন্তু খেলাটা বাংলাদেশের মাঠে বলে সর্বোচ্চ সতর্কতাও আছে মিসবাহর, 'বিশেষ করে নিজেদের মাঠ আর উইকেটে বাংলাদেশ ভালো খেলে। এটা আমাদের মাথায় আছে। এখানে আমরা ভালো এবং 'হার্ড' ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে আমরা এটাও জানি যে এখানে বাংলাদেশ লড়াই জমিয়ে তুলতে পারে।' তাই বলে বিশেষ কাউকে টার্গেট করার কথাও ভাবছেন না, 'ক্রিকেটে পুরো দলের ওপরই নজর রাখতে হয়। আপনার দলে যেমন, তেমনি অন্য দলেরও প্রতিটা খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটা টিম গেম।' গত কিছুদিনে পাকিস্তান দলের সাফল্যে এই টিম গেমের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি দেখছেন মিসবাহ, 'আমরা একটা পরিবারের মতো কাজ করছি। সবাই সবাইকে সাহায্য করছি।' আসলে এমনই তো হতে হবে সবাইকে। দু-একটা সালমান-আসিফও থাকলে তো আর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার হবে না!
No comments