আত্মজীবনী-ওই হার কি আমাকে বদলে দিল?
বেশির ভাগ বিশ্লেষণে তিনিই গত শতকের সেরা ক্রীড়াবিদ। বাংলাদেশের মানুষের কাছেও মোহাম্মদ আলীর আবেদন অন্য রকম। নিজের উত্থান-পতন, লড়াই-সংগ্রামের গল্প আলী শুনিয়েছেন 'দ্য গ্রেটেস্ট মাই ওন স্টোরি' বইয়ে। কালের কণ্ঠ পাঠকদের জন্য সেটার অনুবাদ ছাপা হচ্ছে প্রতি সোমবারলড়াইয়ের আগের কোনো গোপন রহস্যের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে সেটা হচ্ছে আমার প্রস্তুতি। বঙ্ংি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের বছর ছয়েক আমি
নাগরিক কোলাহল থেকে অনেক দূরে থাকতাম। কখনো মনে অন্য কোনো চিন্তা আসতে দিতাম না। আমি জানতাম, একসময় আমার নিজস্ব একটা ব্যায়ামাগার হবে। কিন্তু কখনো চাইনি সেটা হোক গহিন জঙ্গলে কিংবা পাহাড়ের ওপর। আসলে আমি কখনোই চাইনি পুরনো আমলের কয়েকজন বঙ্ারের মতো গ্রাম্য এলাকায় ট্রেনিং ক্যামপ করতে। আমার দরকার এই শহুরে বাতাস। আমার মনে হয়, শহরের বাইরে বেশি দিন থাকলে আমি পাগল হয়ে যাব।
ডগ জোনসের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে, আমি প্রস্তুতি সেরেছিলাম ম্যানহাটনে। এক্কেবারে শহরের মধ্যিখানে। আমি যখন মিয়ামিতে ছিলাম, তখন হেনরি কুপারের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম মিয়ামির সৈকতে। লন্ডনে আমি ছিলাম পিকাডেলি হোটেলের ঠিক সামনে। টোকিওতেও আমার ডেরা ছিল শহরের বুকে, জার্মানিতেও তাই। হিউস্টন, লাস ভেগাস, জুরিখ সব জায়গাতেই আমি থেকেছি শহুরে আড্ডায়। আমি সকালে নাস্তা খেতাম পথচলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে। আর অনুশীলনের পর থাকতাম লোকসমাগমের জায়গায়, বিশেষ করে হোটেলের লবিতে। সেখানে লোকের সঙ্গে কথা বলতে, হাত মেলাতে, অটোগ্রাফ দিতে আমার খুব ভালো লাগত। এমনকি লড়াইয়ের দিনেও আমি এ অভ্যাসটা ধরে রেখেছিলাম। আসলে আমি শহুরে লোকদের ভীষণ ভালোবাসি।
বড় শহরে এলে আমি রাস্তায় বের হয়ে কিছু মানুষকে খুঁজতাম। সেই সব মানুষ, যাদের কাজ নেই। ভবঘুরে, নেশাখোর, জঞ্জাল কুড়িয়ে খায় এমন সব মানুষের সঙ্গে কথা বলতাম। আমি তাদের সঙ্গে ডাস্টবিনের ধারে বসেছি, কানাগলিতে তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে খেলেছি। কখনো ভাবিনি অনুশীলন করতে হবে পাহাড়ের চূড়ায়। সকালে উঠে পাহাড়ে গিয়ে কুড়াল দিয়ে গাছ কাটা, সেখানে এক সপ্তাহ কাটানোর চেয়ে এক সপ্তাহ জেলে থাকা ভালো। কিন্তু হায়, এখন আমি আছি এমনই এক জায়গায়। বলা হচ্ছে, হেভিওয়েট ফাইটের ইতিহাসের সেরা অনুশীলন ক্যাম্পে আনা হয়েছে আমাকে! অথচ এই গ্রামীণ পরিবেশ আমার মন্দ লাগছে না। ফ্রেজিয়ারের সঙ্গে হার কি আমাকে বদলে দিল?
অনুবাদ : সামীউর রহমান
ডগ জোনসের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে, আমি প্রস্তুতি সেরেছিলাম ম্যানহাটনে। এক্কেবারে শহরের মধ্যিখানে। আমি যখন মিয়ামিতে ছিলাম, তখন হেনরি কুপারের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম মিয়ামির সৈকতে। লন্ডনে আমি ছিলাম পিকাডেলি হোটেলের ঠিক সামনে। টোকিওতেও আমার ডেরা ছিল শহরের বুকে, জার্মানিতেও তাই। হিউস্টন, লাস ভেগাস, জুরিখ সব জায়গাতেই আমি থেকেছি শহুরে আড্ডায়। আমি সকালে নাস্তা খেতাম পথচলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে। আর অনুশীলনের পর থাকতাম লোকসমাগমের জায়গায়, বিশেষ করে হোটেলের লবিতে। সেখানে লোকের সঙ্গে কথা বলতে, হাত মেলাতে, অটোগ্রাফ দিতে আমার খুব ভালো লাগত। এমনকি লড়াইয়ের দিনেও আমি এ অভ্যাসটা ধরে রেখেছিলাম। আসলে আমি শহুরে লোকদের ভীষণ ভালোবাসি।
বড় শহরে এলে আমি রাস্তায় বের হয়ে কিছু মানুষকে খুঁজতাম। সেই সব মানুষ, যাদের কাজ নেই। ভবঘুরে, নেশাখোর, জঞ্জাল কুড়িয়ে খায় এমন সব মানুষের সঙ্গে কথা বলতাম। আমি তাদের সঙ্গে ডাস্টবিনের ধারে বসেছি, কানাগলিতে তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে খেলেছি। কখনো ভাবিনি অনুশীলন করতে হবে পাহাড়ের চূড়ায়। সকালে উঠে পাহাড়ে গিয়ে কুড়াল দিয়ে গাছ কাটা, সেখানে এক সপ্তাহ কাটানোর চেয়ে এক সপ্তাহ জেলে থাকা ভালো। কিন্তু হায়, এখন আমি আছি এমনই এক জায়গায়। বলা হচ্ছে, হেভিওয়েট ফাইটের ইতিহাসের সেরা অনুশীলন ক্যাম্পে আনা হয়েছে আমাকে! অথচ এই গ্রামীণ পরিবেশ আমার মন্দ লাগছে না। ফ্রেজিয়ারের সঙ্গে হার কি আমাকে বদলে দিল?
অনুবাদ : সামীউর রহমান
No comments