যে হাতে মাদক ছিল সেই হাতে ফুল by সাহাদাত হোসেন পরশ
হাতের রজনীগন্ধার তোড়াটি বারবার নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ নিচ্ছিল কিশোর রাসেল গাজী। তার চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক। মাত্র ১৪ দিন আগেই রাসেল গাঁজা ও চোলাই মদের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ে থাকত। এখন সেই রাসেলের হাতেই ফুল। রাসেল শপথ করেছে_ আর নেশা নয়। পেছনের নেশাসক্ত অভিশাপময় জীবন ভুলে শুরু হয়েছে রাসেলের নতুন পথচলা। শুধু রাসেল নয়, এভাবে আরও ৯ মাদকাসক্ত শিশু-কিশোর ফিরে এসেছে স্বাভাবিক জীবনে।
মাদকাসক্ত এসব শিশু-কিশোরের পরিবারের সদস্যদের মাঝেও আনন্দের কমতি নেই।মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাদকাসক্ত শিশু-কিশোরদের চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংয়ের একটি পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। এ প্রজেক্টের তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো ১০ শিশু-কিশোর চিকিৎসা পায়। চিকিৎসা শেষে গতকাল রোববার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে শিশু-কিশোরদের নতুন জীবনকে স্বাগত জানানো হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ কায়কোবাদ, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার শামীম আহমেদ প্রমুখ।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেন, রাজধানীতে পথশিশুরা মাদকের সহজ শিকারে পরিণত হচ্ছে। শিশুদের মধ্যে মাদকের ব্যবহার আগের তুলনায় অনেক বেশি। মাদকাসক্ত শিশু-কিশোরদের প্রতি পরিবারের মমতা বাড়াতে হবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের উপ-পরিচালক মজিবর রহমান সমকালকে বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে মাদকাসক্ত পথ শিশু-কিশোরদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে শিশুদের জন্য একটি আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।
কিশোর রাসেল জানায়, বছর চারেক আগে এক বন্ধুর মাধ্যমে সিগারেটে আসক্ত হয়। কিছুদিন পর গাঁজা সেবন শুরু। রাসেলের মা মমতাজ বেগম পেশায় পান-সিগারেট বিক্রেতা। তার বাবা বেঁচে নেই। কামরাঙ্গীরচরে পরিবারের সঙ্গে বাস করে রাসেল। মাদকের টাকা জোগাতে একসময় ভাঙাড়ির দোকানে চাকরি নেয় সে। এরপর টোকাই হিসেবে কাজ শুরু করে। মাদকের জন্য দিনে ৫০ টাকা খরচ করত। যেদিন টাকা সংগ্রহ হতো না সেদিন নিজের শরীরকে ব্লেড দিয়ে কাটত রাসেল। যেদিন আয় বেশি হতো সেদিন গাঁজার পাশাপাশি নকটিন সেবন করত রাসেল।
১৬ বছরের কিশোর মাইনুদ্দিন জানায়, চার বছর আগে ইমরান নামে এক যুবকের মাধ্যমে মাদক সেবন শুরু। এরপর নিয়মিত মাদক সেবন করত সে।
সুমন নামে এক মাদকাসক্ত শিশু জানায়, রাস্তায় থাকতে থাকতে আশপাশের ছেলেদের সঙ্গে গাঁজা সেবন শুরু করে। এরপর কারওয়ান বাজারে নিয়মিত মাদক সেবন করত সুমন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানায়, শিশু-কিশোরদের কাউন্সেলিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষার্থী সহায়তা করেছেন। তারা হলেন_ সাফায়াত হোসেন, আন্দালিব ও তাসনোভা হক।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেন, রাজধানীতে পথশিশুরা মাদকের সহজ শিকারে পরিণত হচ্ছে। শিশুদের মধ্যে মাদকের ব্যবহার আগের তুলনায় অনেক বেশি। মাদকাসক্ত শিশু-কিশোরদের প্রতি পরিবারের মমতা বাড়াতে হবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের উপ-পরিচালক মজিবর রহমান সমকালকে বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে মাদকাসক্ত পথ শিশু-কিশোরদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে শিশুদের জন্য একটি আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।
কিশোর রাসেল জানায়, বছর চারেক আগে এক বন্ধুর মাধ্যমে সিগারেটে আসক্ত হয়। কিছুদিন পর গাঁজা সেবন শুরু। রাসেলের মা মমতাজ বেগম পেশায় পান-সিগারেট বিক্রেতা। তার বাবা বেঁচে নেই। কামরাঙ্গীরচরে পরিবারের সঙ্গে বাস করে রাসেল। মাদকের টাকা জোগাতে একসময় ভাঙাড়ির দোকানে চাকরি নেয় সে। এরপর টোকাই হিসেবে কাজ শুরু করে। মাদকের জন্য দিনে ৫০ টাকা খরচ করত। যেদিন টাকা সংগ্রহ হতো না সেদিন নিজের শরীরকে ব্লেড দিয়ে কাটত রাসেল। যেদিন আয় বেশি হতো সেদিন গাঁজার পাশাপাশি নকটিন সেবন করত রাসেল।
১৬ বছরের কিশোর মাইনুদ্দিন জানায়, চার বছর আগে ইমরান নামে এক যুবকের মাধ্যমে মাদক সেবন শুরু। এরপর নিয়মিত মাদক সেবন করত সে।
সুমন নামে এক মাদকাসক্ত শিশু জানায়, রাস্তায় থাকতে থাকতে আশপাশের ছেলেদের সঙ্গে গাঁজা সেবন শুরু করে। এরপর কারওয়ান বাজারে নিয়মিত মাদক সেবন করত সুমন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানায়, শিশু-কিশোরদের কাউন্সেলিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষার্থী সহায়তা করেছেন। তারা হলেন_ সাফায়াত হোসেন, আন্দালিব ও তাসনোভা হক।
No comments