জেএমবির পলাতক তিন সদস্য গ্রেপ্তার
১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা মামলার পলাতক আসামি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা'আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. ফারুক হোসেন ওরফে কসাই ফারুক (৩৯), আবুল হোসেন (২৭) ও মো. আবদুল গফফার (২৯)। আবুল হোসেন ভুয়া নাম পরিচয় দিয়ে গার্মেন্টে চাকরি করে আসছিল।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪-এর কয়েকটি দল গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল রবিবার ভোর পর্যন্ত রাজধানী ও এর আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় ধামরাই এলাকা থেকে ফারুক ওরফে কসাই ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। কাফরুল এলাকা থেকে ওইদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় আবুল হোসেনকে। গতকাল ভোর ৬টার দিকে মিরপুরের রূপনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মো. আবদুল গফফারকে।
গ্রেপ্তারকৃত ফারুকের বাবার নাম আবদুস সামাদ। তার বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের কাকরান নয়াপাড়া গ্রামে। আবুল হোসেনের বাবার নাম ইমতাজুল। বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের উত্তর ভদ্রেরচাক গ্রামে। আবদুল গফফারের বাবার নাম নাজিম উদ্দিন মোল্লা। বাড়ি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার হাবেলী দয়ারামপুর গ্রামে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আবুল হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সিরিজ বোমা হামলায় মামলা হওয়ার পর নিজের বেশভূষা পরিবর্তনের জন্য বড় চুল ছোট করে সে। দাড়ি কেটে ফেলে এবং রাজম নামে চলতে শুরু করে। আবুল হোসেন দাবি করেছে, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গার্মেন্টে সে চাকরি করে। ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জের ফকিরা গার্মেন্টে কাজ করার সময় একই গার্মেন্টে কর্মরত নরসিংদীর রবিউল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জের আতাউর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয়। আতাউর রহমানের মাধ্যমেই আবুল হোসেন জিহাদে অনুপ্রাণিত হয়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের হামলায় অংশ নেওয়ার পর আবুল হোসেন নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে গিয়ে পরিচয় গোপন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে গার্মেন্টে চাকরি করে আসছিল।
কসাই ফারুক র্যাবকে জানায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানার মামলায় ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হয় তারা। ২০ মাস কারাভোগের পর সেসহ সাত জেএমবি সদস্য গত ১৫ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পায়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের প্রধান কমান্ডার এম সোহায়েল কালের কণ্ঠকে জানান, ফারুকের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় সে জেলে ছিল। অন্য তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। র্যাব জানায়, ২০০৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টার-লিফলেট বিলির সময় দুই সহযোগীসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল ফারুক।
গ্রেপ্তারকৃত আবদুল গফফার র্যাবকে জানায়, মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় সে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকত। তার দাবি, ২০০২ সালে মাদারীপুরের মাওলানা আবদুর রউফের সঙ্গে ফরিদপুর শহরে তার প্রথম পরিচয় হয়। মার্কাজ মসজিদের মাওলানা আবদুর রউফ তাকে জিহাদের পথে উদ্বুদ্ধ করেন।
র্যাব জানায়, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি, হুজি এবং হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্য ও পলাতক আসামিরা গোপনে সংগঠনের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে। এ জন্য তারা বেশভূষাও পরিবর্তন করছে।
গ্রেপ্তারকৃত ফারুকের বাবার নাম আবদুস সামাদ। তার বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের কাকরান নয়াপাড়া গ্রামে। আবুল হোসেনের বাবার নাম ইমতাজুল। বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের উত্তর ভদ্রেরচাক গ্রামে। আবদুল গফফারের বাবার নাম নাজিম উদ্দিন মোল্লা। বাড়ি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার হাবেলী দয়ারামপুর গ্রামে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আবুল হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সিরিজ বোমা হামলায় মামলা হওয়ার পর নিজের বেশভূষা পরিবর্তনের জন্য বড় চুল ছোট করে সে। দাড়ি কেটে ফেলে এবং রাজম নামে চলতে শুরু করে। আবুল হোসেন দাবি করেছে, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গার্মেন্টে সে চাকরি করে। ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জের ফকিরা গার্মেন্টে কাজ করার সময় একই গার্মেন্টে কর্মরত নরসিংদীর রবিউল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জের আতাউর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয়। আতাউর রহমানের মাধ্যমেই আবুল হোসেন জিহাদে অনুপ্রাণিত হয়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের হামলায় অংশ নেওয়ার পর আবুল হোসেন নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে গিয়ে পরিচয় গোপন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে গার্মেন্টে চাকরি করে আসছিল।
কসাই ফারুক র্যাবকে জানায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানার মামলায় ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হয় তারা। ২০ মাস কারাভোগের পর সেসহ সাত জেএমবি সদস্য গত ১৫ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পায়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের প্রধান কমান্ডার এম সোহায়েল কালের কণ্ঠকে জানান, ফারুকের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় সে জেলে ছিল। অন্য তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। র্যাব জানায়, ২০০৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টার-লিফলেট বিলির সময় দুই সহযোগীসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল ফারুক।
গ্রেপ্তারকৃত আবদুল গফফার র্যাবকে জানায়, মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় সে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকত। তার দাবি, ২০০২ সালে মাদারীপুরের মাওলানা আবদুর রউফের সঙ্গে ফরিদপুর শহরে তার প্রথম পরিচয় হয়। মার্কাজ মসজিদের মাওলানা আবদুর রউফ তাকে জিহাদের পথে উদ্বুদ্ধ করেন।
র্যাব জানায়, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি, হুজি এবং হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্য ও পলাতক আসামিরা গোপনে সংগঠনের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে। এ জন্য তারা বেশভূষাও পরিবর্তন করছে।
No comments