প্রতিবাদের মধ্যেই আজ মিসরে নির্বাচন-ঐক্য সরকারের নেতৃত্ব দিতে চান এলবারাদি
অব্যাহত প্রতিবাদ ও সহিংসতার মধ্যেই আজ সোমবার মিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হোসনি মোবারক পরবর্তী প্রথম নির্বাচন। সামরিক পরিষদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনে মিসরীয়রা আপত্তি করলেও ঘোষিত তারিখেই নির্বাচন হচ্ছে দেশটিতে। নির্বাচনের আগের দিন গতকাল রোববারও তাহরির স্কয়ারসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। এ অবস্থায় নতুন করে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে মিসরীয়দের মনে।
গত ফেব্রুয়ারিতে তীব্র গণআন্দোলনের মুখে পতন হয়েছিল ৩০ বছরের একনায়ক হোসনি মোবারকের। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রাণ দিয়েছিলেন অসংখ্য মিসরীয়। কিন্তু প্রায় ৯ মাস অতিক্রান্ত হলেও তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। মোবারকের পর অন্তর্বর্তীকালের জন্য ক্ষমতায় যাওয়া সামরিক পরিষদ রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করছে এমন খবরে আবারও ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারে জমায়েত হয় মিসরীয়রা। এবার তাদের দাবি সামরিক কর্তৃত্ব নয়, বেসামরিক কর্তৃপক্ষের শাসন। গত সপ্তাহের শুরুতে কায়রোর তাহরির স্কয়ার, আলেকজান্দ্রিয়া, ইসমাইলিয়া শহরে বিক্ষোভ শুরু করে গণতন্ত্রকামী জনতা। পুলিশের বেপরোয়া আক্রমণে নিহত হয় বেশ ক'জন আন্দোলনকারী। এ অবস্থায় আজকের নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এক সপ্তাহের সহিংসতায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত ও তিন হাজার আহত হয়েছেন। বিপুল হতাহতের ঘটনার পর এ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে মিসরে জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মোহাম্মদ এল বারাদি। এতে করে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের জনদাবির মুখে চাপে থাকা মিসরের সেনা শাসকদের ওপর চাপ আরও বাড়ল।
মিসরে নির্বাচন প্রক্রিয়ার তদারকিতে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের পরিবর্তে একটি বেসামরিক প্রশাসনের নেতৃত্বে এল বারাদিকেই চাইছে বিক্ষোভকারী কয়েকটি দল।
এ ব্যাপারে এল বারাদি বিপ্লবী যুব জোট ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠকও করেছেন।
বারাদির পক্ষের নির্বাচনী প্রচারকর্মীরা এক বিতৃতিতে জানায়, অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য পুরোপুরি নিরপেক্ষ একটি সরকার গঠনের জন্য বারাদিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাদ দেবেন।
এক সপ্তাহের সহিংসতায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত ও তিন হাজার আহত হয়েছেন। বিপুল হতাহতের ঘটনার পর এ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে মিসরে জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মোহাম্মদ এল বারাদি। এতে করে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের জনদাবির মুখে চাপে থাকা মিসরের সেনা শাসকদের ওপর চাপ আরও বাড়ল।
মিসরে নির্বাচন প্রক্রিয়ার তদারকিতে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের পরিবর্তে একটি বেসামরিক প্রশাসনের নেতৃত্বে এল বারাদিকেই চাইছে বিক্ষোভকারী কয়েকটি দল।
এ ব্যাপারে এল বারাদি বিপ্লবী যুব জোট ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠকও করেছেন।
বারাদির পক্ষের নির্বাচনী প্রচারকর্মীরা এক বিতৃতিতে জানায়, অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য পুরোপুরি নিরপেক্ষ একটি সরকার গঠনের জন্য বারাদিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাদ দেবেন।
No comments