শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন-আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ সুষ্ঠু হোক
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১১ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করতে পারে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই মন্তব্য জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের পর থেকেই করে আসছিলেন। তবে একই সঙ্গে শুরু থেকেই এতদসংক্রান্ত একটি আইনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছিলেন সবাই। আশার কথা, সেই আইন প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আইনের খসড়াও প্রণয়ন হয়ে গেছে।
তবে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে জনমত নেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে মনে হয় না। সাধারণত আইন প্রণয়নের সময় জনমত নেওয়ার কথা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয় না। কিন্তু শিক্ষা আইনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনমত সংশ্লিষ্ট করতে পারলে এই আইন সমৃদ্ধতর হতো, নিঃসন্দেহে বলা যায়।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হলে এবং তাকে সর্বসাধারণের জন্য যথার্থ করে তুলতে হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কারণ একই দেশে বিভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থা থাকার ফলে সামাজিক ব্যবস্থায় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের কাছে বাংলা উপেক্ষিত থাকছে; একইভাবে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থায়ও আধুনিক জীবন ব্যবস্থাকে পাশ কাটানোর একটা প্রবণতা লক্ষণীয়। মাদ্রাসা শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির সুবিধাও ছিল না একসময়। এখন সেই দূরত্ব অনেকটা কমে গেলেও কওমি মাদ্রাসাগুলোর ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ কিংবা তাদের আদৌ কোনো জবাবদিহিতাই নেই। সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমের লেখাপড়ায় যতদূর সম্ভব সামঞ্জস্য আনার জন্য আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষাকে বাণিজ্যসম্ভারের মতো ব্যবহারের যে কুপ্রবণতা তৈরি হয়েছে, তাও রোধ করতে হবে। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাব্যবস্থা এবং ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়ার জন্য ইচ্ছামাফিক বেতন নির্ধারণের বিষয়টি নজরে আনতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা কিংবা ইংরেজি মাধ্যমে যেভাবে বাংলাদেশকে উপেক্ষা করার নীতি অবলম্বন করা হয়, তা পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। আশার কথা, প্রণীত খসড়া আইনে সেসব বিষয় স্থান পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার শিক্ষানীতি প্রণয়নের আগে যেভাবে জনগণের কাছে এই নীতি সম্পর্কে মতামত আহ্বান করেছিল, বিভিন্ন মাধ্যমে যেভাবে আলোচনা-পর্যালোচনা করেছিল, এই আইনের ক্ষেত্রেও যদি সরকার সেভাবে জনগণকে সম্পৃক্ত করে নিতে পারে, তাহলে খুবই ভালো হবে। তবে যেকোনো আইনেরই সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করে তা কতটা বাস্তবায়ন হলো তার ওপর। শিক্ষা আইনেই বিধান থাকছে শিক্ষাসূচি এবং পাঠ্যক্রম নিয়েও। সেখানে বাড়তি বইয়ের চাপ কমিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শ্রেণীভেদে প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করবে শিক্ষাবোর্ড। পাঠ্যভুক্ত সেসব বইয়ের বাইরে কোনো বই পড়ার সুযোগ থাকবে না। শুধু তাই নয়, তালিকাভুক্ত বইয়ের বাইরে যদি কেউ কোনো নোটবই কিংবা সাজেশন বই পড়ানোর উদ্যোগ নেয়, তাহলে শক্ত হাতে তা দমন করার জন্য জেল-জরিমানার ব্যবস্থাও করা হতে পারে বলে জানা গেছে। ধানের শত্রু আগাছা যেমন নিড়ানি দিয়ে তুলে ফেলতে হয় তেমনি পাঠ্যবহির্ভূত নোটবই, সাজেশন ইত্যাদিকেও শক্ত হাতেই উপড়ে ফেলতে হবে। এই উদ্যোগটি তাই কার্যকর হোক। শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হোক।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হলে এবং তাকে সর্বসাধারণের জন্য যথার্থ করে তুলতে হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কারণ একই দেশে বিভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থা থাকার ফলে সামাজিক ব্যবস্থায় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের কাছে বাংলা উপেক্ষিত থাকছে; একইভাবে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থায়ও আধুনিক জীবন ব্যবস্থাকে পাশ কাটানোর একটা প্রবণতা লক্ষণীয়। মাদ্রাসা শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির সুবিধাও ছিল না একসময়। এখন সেই দূরত্ব অনেকটা কমে গেলেও কওমি মাদ্রাসাগুলোর ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ কিংবা তাদের আদৌ কোনো জবাবদিহিতাই নেই। সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমের লেখাপড়ায় যতদূর সম্ভব সামঞ্জস্য আনার জন্য আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষাকে বাণিজ্যসম্ভারের মতো ব্যবহারের যে কুপ্রবণতা তৈরি হয়েছে, তাও রোধ করতে হবে। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাব্যবস্থা এবং ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়ার জন্য ইচ্ছামাফিক বেতন নির্ধারণের বিষয়টি নজরে আনতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা কিংবা ইংরেজি মাধ্যমে যেভাবে বাংলাদেশকে উপেক্ষা করার নীতি অবলম্বন করা হয়, তা পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। আশার কথা, প্রণীত খসড়া আইনে সেসব বিষয় স্থান পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার শিক্ষানীতি প্রণয়নের আগে যেভাবে জনগণের কাছে এই নীতি সম্পর্কে মতামত আহ্বান করেছিল, বিভিন্ন মাধ্যমে যেভাবে আলোচনা-পর্যালোচনা করেছিল, এই আইনের ক্ষেত্রেও যদি সরকার সেভাবে জনগণকে সম্পৃক্ত করে নিতে পারে, তাহলে খুবই ভালো হবে। তবে যেকোনো আইনেরই সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করে তা কতটা বাস্তবায়ন হলো তার ওপর। শিক্ষা আইনেই বিধান থাকছে শিক্ষাসূচি এবং পাঠ্যক্রম নিয়েও। সেখানে বাড়তি বইয়ের চাপ কমিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শ্রেণীভেদে প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করবে শিক্ষাবোর্ড। পাঠ্যভুক্ত সেসব বইয়ের বাইরে কোনো বই পড়ার সুযোগ থাকবে না। শুধু তাই নয়, তালিকাভুক্ত বইয়ের বাইরে যদি কেউ কোনো নোটবই কিংবা সাজেশন বই পড়ানোর উদ্যোগ নেয়, তাহলে শক্ত হাতে তা দমন করার জন্য জেল-জরিমানার ব্যবস্থাও করা হতে পারে বলে জানা গেছে। ধানের শত্রু আগাছা যেমন নিড়ানি দিয়ে তুলে ফেলতে হয় তেমনি পাঠ্যবহির্ভূত নোটবই, সাজেশন ইত্যাদিকেও শক্ত হাতেই উপড়ে ফেলতে হবে। এই উদ্যোগটি তাই কার্যকর হোক। শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হোক।
No comments