সতী দেবীর মন্দির
প্রাচীন গ্রিস মানেই কিংবদন্তি, অসংখ্য দেব-দেবীর বিস্ময়কর কাহিনী। আজ থেকে বহুকাল আগেই গড়ে উঠেছিল প্রাচীন এ সভ্যতা। মজার ব্যাপার হলো, আজও সে সভ্যতার অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন বহন করে চলছে দেশটি। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে অক্ষত কিংবা বিধ্বস্ত অসংখ্য স্থাপনা। অসাধারণ আর শৈল্পিক স্থাপত্যের সেসব নিদর্শন পৃথিবীর এক অমূল্য সম্পদ। এমনই এক স্থাপনার নাম পার্থেনন। গ্রিক দেবী অ্যাথেনার নামে এ মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল
খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের দিকে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, দেবী অ্যাথেনা হলো যুদ্ধবিগ্রহ এবং চারুশিল্পের দেবী। যুদ্ধে তিনি হারকিউলেস, জেসন এবং অডিসিউসের মতো পৌরাণিক অসংখ্য বীর যোদ্ধাকে সহায়তা করেছিলেন। তাই তিনি জয়ের দেবী হিসেবেও সবার কাছে পরিচিত।
অ্যাথেনা জন্মগ্রহণ করেন দেবতা জিউসের মস্তক থেকে। এ নিয়ে প্রচলিত আছে মজার এক কাহিনী। দেবী মেটিসের গর্ভস্থ সন্তান জিউসের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে_ এ ভয়ে ভিতু হয়ে জিউস গর্ভবতী মেটিসকে গিলে ফেলেন। এর কিছুদিন পরই দেবতা জিউস মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। ব্যথা অসহনীয় হওয়ায় সঙ্গী হেফাস্টাসকে নির্দেশ দেন হাতুড়ি দিয়ে জোরে জোরে আঘাত করতে। নিদের্শমতো হেফাস্টাসকে তাই করলেন। হাতুড়ির প্রচণ্ড আঘাতে এক সময় জিউসের মাথা ফেটে চৌচির হয়ে যায়। ঠিক তখনই মস্তক থেকে রণরঙ্গিনী বেশে চারদিক প্রকম্পিত করে বেরিয়ে আসেন পূর্ণযুবতী অ্যাথিনা।
১৪৫৬ খ্রিস্টাব্দে এথেন্স চলে যায় অটোম্যানদের হাতে। অটোম্যানরা ছিলেন উদারপন্থি। তারা এথেন্সের কিছুই ধ্বংস করেননি। কিন্তু ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে ভেনেটিয়ানরা এথেন্সে হামলা করলে মন্দিরটি ব্যবহৃত হয় অস্ত্রাগার হিসেবে। শত্রুপক্ষের প্রবল আক্রমণে মন্দিরটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর দীর্ঘদিন মন্দিরটি ধ্বংসাবশেষ নিয়েই টিকে ছিল। তবে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে গ্রিস এথেন্সের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে ওই ভবনসহ অন্য প্রতিষ্ঠানও সংস্কার করে। তবে দালানটির দামি কিছু পাথর ও ভাস্কর্য চলে গেছে ব্রিটিশ জাদুঘর, ল্যুভর জাদুঘর, কোপেনহেগেন জাদুঘরে। অ্যাক্রোপলিস জাদুঘরে রক্ষিত সামান্য। গ্রিক সরকার অবশ্য তাদের অমূল্য সম্পদগুলো ফিরিয়ে দিতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ব্রিটিশ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ তা মোটেও ফিরিয়ে দিচ্ছে না। হয়তো দেবেও না কোনোদিন।
কিন্তু তাতে মোটেও দমে যায়নি গ্রিস সরকার। তারা ভগ্নপ্রায় দালানকোঠা ও ভাস্কর্য, যা এখনও টিকে আছে, সেগুলোই সংস্কার করছে। নতুন করে তৈরি করছে, যাতে ভ্রমণপিপাসুরা নিরাশ না হন। গ্রিসে যারাই আসেন, তারাই প্রথম ছুটে যান পার্থেনন মন্দিরে। দেবীকে তারা দেখেন আর ভাবেন, 'জোর যার, মুল্লুক তার' সময়ে অ্যাথেনা কীভাবে নিজের সতীত্ব রক্ষা করেছিল?
আশরাফুল আলম মিলন
অ্যাথেনা জন্মগ্রহণ করেন দেবতা জিউসের মস্তক থেকে। এ নিয়ে প্রচলিত আছে মজার এক কাহিনী। দেবী মেটিসের গর্ভস্থ সন্তান জিউসের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে_ এ ভয়ে ভিতু হয়ে জিউস গর্ভবতী মেটিসকে গিলে ফেলেন। এর কিছুদিন পরই দেবতা জিউস মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। ব্যথা অসহনীয় হওয়ায় সঙ্গী হেফাস্টাসকে নির্দেশ দেন হাতুড়ি দিয়ে জোরে জোরে আঘাত করতে। নিদের্শমতো হেফাস্টাসকে তাই করলেন। হাতুড়ির প্রচণ্ড আঘাতে এক সময় জিউসের মাথা ফেটে চৌচির হয়ে যায়। ঠিক তখনই মস্তক থেকে রণরঙ্গিনী বেশে চারদিক প্রকম্পিত করে বেরিয়ে আসেন পূর্ণযুবতী অ্যাথিনা।
১৪৫৬ খ্রিস্টাব্দে এথেন্স চলে যায় অটোম্যানদের হাতে। অটোম্যানরা ছিলেন উদারপন্থি। তারা এথেন্সের কিছুই ধ্বংস করেননি। কিন্তু ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে ভেনেটিয়ানরা এথেন্সে হামলা করলে মন্দিরটি ব্যবহৃত হয় অস্ত্রাগার হিসেবে। শত্রুপক্ষের প্রবল আক্রমণে মন্দিরটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর দীর্ঘদিন মন্দিরটি ধ্বংসাবশেষ নিয়েই টিকে ছিল। তবে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে গ্রিস এথেন্সের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে ওই ভবনসহ অন্য প্রতিষ্ঠানও সংস্কার করে। তবে দালানটির দামি কিছু পাথর ও ভাস্কর্য চলে গেছে ব্রিটিশ জাদুঘর, ল্যুভর জাদুঘর, কোপেনহেগেন জাদুঘরে। অ্যাক্রোপলিস জাদুঘরে রক্ষিত সামান্য। গ্রিক সরকার অবশ্য তাদের অমূল্য সম্পদগুলো ফিরিয়ে দিতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ব্রিটিশ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ তা মোটেও ফিরিয়ে দিচ্ছে না। হয়তো দেবেও না কোনোদিন।
কিন্তু তাতে মোটেও দমে যায়নি গ্রিস সরকার। তারা ভগ্নপ্রায় দালানকোঠা ও ভাস্কর্য, যা এখনও টিকে আছে, সেগুলোই সংস্কার করছে। নতুন করে তৈরি করছে, যাতে ভ্রমণপিপাসুরা নিরাশ না হন। গ্রিসে যারাই আসেন, তারাই প্রথম ছুটে যান পার্থেনন মন্দিরে। দেবীকে তারা দেখেন আর ভাবেন, 'জোর যার, মুল্লুক তার' সময়ে অ্যাথেনা কীভাবে নিজের সতীত্ব রক্ষা করেছিল?
আশরাফুল আলম মিলন
No comments