সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সম্মেলন ঢাকায় শুরু হলো

দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, লুণ্ঠন, দখলদারি ও অবরোধের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গতকাল রবিবার ঢাকায় শুরু হয়েছে তৃতীয় আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সম্মেলন। ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, পাকিস্তান, মরক্কো, লেবানন, মিসর, কানাডা, হাঙ্গেরি, ভেনিজুয়েলা, ইরানসহ বিভিন্ন দেশের বাম নেতারা জড়ো হয়েছেন।


গতকাল সকালে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ঢাকা সম্মেলন ২০১১-এর সূচনা করেন সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অব ইন্ডিয়ার (এসইউসিআই) পলিটব্যুরো সদস্য মানিক মুখার্জি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।
উদ্বোধনী ভাষণে বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জমান বলেন, 'মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সারা বিশ্বে গণহত্যা ও লুণ্ঠন চালাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ চায় শান্তি। তাই এ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।' তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর যখন বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার, তখন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।'
উদ্বোধনী আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নেপালের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী মাওবাদী নেতা কৃষ্ণ বাহাদুর মাহারা, পাকিস্তানের কমিউনিস্ট নেতা মোহাম্মদ ইকবাল, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সারাহ ক্লাউন্ডাস, বাংলাদেশের তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। সমাবেশে বিশ্বের ২৭টি দেশের শতাধিক নেতা যোগ দিয়েছেন।
নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ডের সম্মেলনে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তবে তিনি সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য পাঠ করেন কৃষ্ণ বাহাদুর মাহারা। লিখিত বক্তব্যে প্রচণ্ড বলেন, 'নেপালের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ইচ্ছা সত্ত্বেও আমি আসতে পারলাম না। তবে শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব।' পরে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী একটি মিছিল রাজপথ ঘুরে নাট্যমঞ্চে এসে শেষ হয়।

No comments

Powered by Blogger.